ঢাকায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া-দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,
দেশে এখন ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে। এই সরকারের পোষ্য সন্ত্রাসীদের হাতে দেশের
বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু ভয়াবহভাবে নির্যাতিত হচ্ছে।
দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামাদেরও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ আদালতেও
ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। সরকার স্বীয় স্বার্থে আদালতকে ব্যবহার করছে। এ দেশে
এখন বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে।
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। আজ ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতনবিরোধী দিবস। বাণীতে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বছরের শুরুর দিকে বর্তমান সরকার চরম দমনমূলক নীতি অবলম্বন করে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। সাংবাদিক হত্যাসহ অসংখ্য সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করতে একের পর এক সংবাদপত্র, টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরণের প্রতিবাদ করতে গেলেই লেলিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিশ্বের সব গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমেই নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী মহল ও স্বৈরশাসককে পরাস্ত করা সম্ভব।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে জাতিসমূহ স্বাধীনতা অর্জন করলেও আজো বিশ্বব্যাপী চলছে জাতিগত, বর্ণগত, ভাষাগত এবং ধর্ম ও সম্প্রদায়গত সংঘাত। এই সংঘাত ও বিরোধের কারণেই সাধারণ মানুষ দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে। সারা বিশ্ব আজ যান্ত্রিক সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশি দূর এগোতে পারেনি।’
এর আগে গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, কামাল ইবনে ইউসূফ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. এ জেড এম জাহিদ প্রমুখ। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি গুলশানের বাসভবনে চলে যান।
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। আজ ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতনবিরোধী দিবস। বাণীতে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বছরের শুরুর দিকে বর্তমান সরকার চরম দমনমূলক নীতি অবলম্বন করে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। সাংবাদিক হত্যাসহ অসংখ্য সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করতে একের পর এক সংবাদপত্র, টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরণের প্রতিবাদ করতে গেলেই লেলিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিশ্বের সব গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমেই নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী মহল ও স্বৈরশাসককে পরাস্ত করা সম্ভব।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে জাতিসমূহ স্বাধীনতা অর্জন করলেও আজো বিশ্বব্যাপী চলছে জাতিগত, বর্ণগত, ভাষাগত এবং ধর্ম ও সম্প্রদায়গত সংঘাত। এই সংঘাত ও বিরোধের কারণেই সাধারণ মানুষ দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে। সারা বিশ্ব আজ যান্ত্রিক সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশি দূর এগোতে পারেনি।’
এর আগে গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, কামাল ইবনে ইউসূফ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. এ জেড এম জাহিদ প্রমুখ। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি গুলশানের বাসভবনে চলে যান।
No comments