সংসদের ভাষা-জনপ্রতিনিধিদের কাছে শালীনতাই কাম্য
মহান সংসদের কার্যক্রম সরাসরি দেশবাসীকে
দেখানোর জন্য সংসদ টেলিভিশন নামে একটি আলাদা চ্যানেল আছে, যেখানে শুধু
জাতীয় সংসদের অধিবেশন সম্প্রচার করা হয়। নবম সংসদের চলতি অধিবেশনের পর থেকে
এ চ্যানেলটি নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
চ্যানেলটি
কি সব বয়সের দর্শকের জন্য উন্মুক্ত? কয়েক দিন ধরে সংসদে যে ভাষায় আমাদের
মাননীয় আইনপ্রণেতারা কথা বলছেন, তাতে তাঁদের রুচিবোধও যে প্রশ্নবিদ্ধ
হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সংসদে ব্যবহারযোগ্য ভাষা আছে। সব শব্দ সংসদে ব্যবহারযোগ্য নয়। সংসদে আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোন ভাষায় কথা বলবেন, সেটা তাঁদেরর শিখতে হয়। নতুন যাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান, তাঁরা অভিজ্ঞ ও পুরনো পার্লামেন্টারিয়ানদের কাছ থেকে সংসদীয় আচরণ শিখবেন- এটাই প্রচলিত রীতি। সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি। জনসমক্ষে হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়, এমন আচরণ তাঁদের কাছ থেকে আশা করা যায় না। কিন্তু আমাদের জাতীয় সংসদে বেশ কয়েক দিন ধরে আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, তা জাতির জন্যই লজ্জাজনক। যেহেতু টেলিভিশনের মাধ্যমে সংসদ অধিবেশন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ রয়েছে, তাতে সংসদ সদস্যরা নিজেদের এ রূপটি কেমন করে জাতির সামনে তুলে ধরছেন, তা ভাবতে গেলেও অবাক হতে হয়। বিশেষ করে আমাদের কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্য সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা ভদ্রসমাজে ব্যবহারযোগ্য নয়। কেউ আঞ্চলিক শব্দ উচ্চারণ করে, কেউ কবিতা উদ্ধৃত করে যা বলতে চেয়েছেন, তা যে তাঁদের পর্যায়ের কারো মুখ থেকে সংসদে শোভা পায় না, তা তাঁদের বোধগম্য নয়, এটাও ভাবনার অতীত। প্রতিপক্ষকে হেয়প্রতিপন্ন করতে গিয়ে শালীনতার সীমা অতিক্রম করা কোনোভাবেই উচিত নয়।
সংসদে প্রণিধানযোগ্য বিতর্ক হবে। কোনো বিষয়ে সারগর্ভ আলোচনা হবে। দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাণ্ডিত্য সেসব কথায় ফুটে উঠবে। কিন্তু আমাদের জাতীয় সংসদে কয়েক দিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা বলতে উঠে অনেক সংসদ সদস্য অন্যের চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করছেন, তা সুরুচির পরিচায়ক হচ্ছে না।
ব্যক্তিগত রেষারেষি ও দলীয় সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সংসদ অধিবেশনকে সত্যিকার অর্থে উদাহরণযোগ্য করে তুলতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ করা উচিত হবে না, যা জাতিকে সংক্রমিত করতে পারে।
সংসদে ব্যবহারযোগ্য ভাষা আছে। সব শব্দ সংসদে ব্যবহারযোগ্য নয়। সংসদে আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোন ভাষায় কথা বলবেন, সেটা তাঁদেরর শিখতে হয়। নতুন যাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান, তাঁরা অভিজ্ঞ ও পুরনো পার্লামেন্টারিয়ানদের কাছ থেকে সংসদীয় আচরণ শিখবেন- এটাই প্রচলিত রীতি। সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি। জনসমক্ষে হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়, এমন আচরণ তাঁদের কাছ থেকে আশা করা যায় না। কিন্তু আমাদের জাতীয় সংসদে বেশ কয়েক দিন ধরে আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, তা জাতির জন্যই লজ্জাজনক। যেহেতু টেলিভিশনের মাধ্যমে সংসদ অধিবেশন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ রয়েছে, তাতে সংসদ সদস্যরা নিজেদের এ রূপটি কেমন করে জাতির সামনে তুলে ধরছেন, তা ভাবতে গেলেও অবাক হতে হয়। বিশেষ করে আমাদের কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্য সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা ভদ্রসমাজে ব্যবহারযোগ্য নয়। কেউ আঞ্চলিক শব্দ উচ্চারণ করে, কেউ কবিতা উদ্ধৃত করে যা বলতে চেয়েছেন, তা যে তাঁদের পর্যায়ের কারো মুখ থেকে সংসদে শোভা পায় না, তা তাঁদের বোধগম্য নয়, এটাও ভাবনার অতীত। প্রতিপক্ষকে হেয়প্রতিপন্ন করতে গিয়ে শালীনতার সীমা অতিক্রম করা কোনোভাবেই উচিত নয়।
সংসদে প্রণিধানযোগ্য বিতর্ক হবে। কোনো বিষয়ে সারগর্ভ আলোচনা হবে। দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাণ্ডিত্য সেসব কথায় ফুটে উঠবে। কিন্তু আমাদের জাতীয় সংসদে কয়েক দিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা বলতে উঠে অনেক সংসদ সদস্য অন্যের চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করছেন, তা সুরুচির পরিচায়ক হচ্ছে না।
ব্যক্তিগত রেষারেষি ও দলীয় সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সংসদ অধিবেশনকে সত্যিকার অর্থে উদাহরণযোগ্য করে তুলতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ করা উচিত হবে না, যা জাতিকে সংক্রমিত করতে পারে।
No comments