কর্মক্ষেত্র কাজটা তো আমিই করলাম! by মো. সাইফুল্লাহ
কাজ করলাম সবাই মিলে, কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে গিয়ে কৃতিত্ব নিলেন একজনই। মন ভেঙে গেল দলের...
একটা দলের সবাই কাজ করছে আর একজন আয়েশ করে বসে আছে।
একটা দলের সবাই কাজ করছে আর একজন আয়েশ করে বসে আছে।
এমন
সহকর্মী কি আপনার অফিসে আছে? সে ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে রাগে নিশ্চয়ই আপনার
দাঁত কিড়মিড় করে উঠতে পারে।অফিসগুলোয় ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য থাকে ভিন্ন
ভিন্ন দল। ‘দল’ হিসেবে কাজ করার সুবিধা পেতে দলের সবার কমবেশি সমান
অংশগ্রহণ লাগে।
ধরুন, শুভ, সজীব আর সোহেল একটি প্রতিষ্ঠানে ‘টিম’ হয়ে কাজ করছেন। কোনো প্রকল্পের কাজ বর্তেছে তাঁদের ওপর। শুভ বেচারা খেটে খেটে হয়রান, সজীবও কাজ করেছেন যথাসাধ্য। সোহেল স্রেফ হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকেছেন আর মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে বলেছেন, ‘আহা! কী যে করছ তোমরা! কিছুই হচ্ছে না। বস বকা দিলে আমি কিছু জানি না।’ কিন্তু এই বাস্তব ঘটনা উল্টে গেল বসের সামনে গিয়ে।বস বললেন, ‘বাহ্, চমৎকার কাজ দেখিয়েছ।’ সোহেলের সেখানে গদগদ মন্তব্য, ‘আর বলবেন না স্যার, রাত-দিন কাজ করে একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছি।’ বস সোহেলের পিঠ চাপড়ে দিলেন। আড়ালেই থেকে গেল শুভ আর সজীবের পরিশ্রম।
সোহেলের মতো ‘খয়ের খাঁ’দের উৎপাত তো আছেই, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল আরও বেশ কিছু সমস্যা। কখনো দলের ভেতর বেধে যায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব। কখনো পরস্পরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা। কেউ ‘একটু বেশিই বোঝে’, কেউ একেবারেই বোঝে না। কখনো দলের ভেতরেও ছোট ছোট ‘দল’ হয়ে যায়!
করপোরেট কোচের প্রধান পরামর্শক যিশু তরফদার বললেন, ‘টিমের ভেতরে তিনটি জিনিস থাকা প্রয়োজন—সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, সম্পূরক দক্ষতা ও পারস্পরিক সমঝোতা। পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার অভাব থাকলেও টিমওয়ার্কটা ভালো হয় না। অফিসের বসেরও উচিত দলের সবার সঙ্গেই সমান যোগাযোগ রাখা। কাউকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া, আবার কারও সঙ্গে যোগাযোগই না রাখা—এটা ভালো নেতৃত্বের উদাহরণ নয়।’
নানা বিপত্তি দেখে ‘টিমওয়ার্কের’ ধারণাকে বাতিলের খাতায় ফেলবেন না যেন। একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কপিরাইটার জানালেন দল বেঁধে কাজ করার সুফল। ‘অফিসে আমাদের টিমের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুণ! সবাই সবার দক্ষতার জায়গাটা জানি, দুর্বলতাটাও জানি। সেভাবেই কাজ ভাগ করে নিই। খুব সুবিধা হয়। আমরা কাজ করি একসঙ্গে, ফাঁকিও দিই একসঙ্গে। মাঝেমধ্যে মাথা কাজ না করলে বসের চোখ ফাঁকি দিয়ে টিমের সবাই মিলে কফি খেতে যাই! হা হা হা...।’ বলা বাহুল্য, তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
টিমওয়ার্কের সুফল পেতে হলে অফিসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কটাও স্বচ্ছ হতে হবে। প্রয়োজনে অফিসের বাইরেও দল বেঁধে বেড়াতে যান, গল্প করুন। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকাও জরুরি। সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন পুরো টিমের, তেমনি ব্যর্থতার দায়ভারও সবাইকে নিতে হবে। টিমের ভেতরে নিজেদের সমালোচনা যেমন করবেন, তেমনি ভালো কাজে কাউকে বাহবা দিতেও কার্পণ্য বোধ করবেন না।
কথা হলো বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রের মহাব্যবস্থাপক এম এ মারুফের সঙ্গে। তাঁর মতে, হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয় না, তেমনি একটা টিমের একেকজন একেক রকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। সবার আগে প্রয়োজন নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার প্রবণতা। একে অপরের কথা শুনতে হবে। একটা টিমে প্রত্যেকের কথাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মিলে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
ধরুন, শুভ, সজীব আর সোহেল একটি প্রতিষ্ঠানে ‘টিম’ হয়ে কাজ করছেন। কোনো প্রকল্পের কাজ বর্তেছে তাঁদের ওপর। শুভ বেচারা খেটে খেটে হয়রান, সজীবও কাজ করেছেন যথাসাধ্য। সোহেল স্রেফ হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকেছেন আর মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে বলেছেন, ‘আহা! কী যে করছ তোমরা! কিছুই হচ্ছে না। বস বকা দিলে আমি কিছু জানি না।’ কিন্তু এই বাস্তব ঘটনা উল্টে গেল বসের সামনে গিয়ে।বস বললেন, ‘বাহ্, চমৎকার কাজ দেখিয়েছ।’ সোহেলের সেখানে গদগদ মন্তব্য, ‘আর বলবেন না স্যার, রাত-দিন কাজ করে একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছি।’ বস সোহেলের পিঠ চাপড়ে দিলেন। আড়ালেই থেকে গেল শুভ আর সজীবের পরিশ্রম।
সোহেলের মতো ‘খয়ের খাঁ’দের উৎপাত তো আছেই, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল আরও বেশ কিছু সমস্যা। কখনো দলের ভেতর বেধে যায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব। কখনো পরস্পরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা। কেউ ‘একটু বেশিই বোঝে’, কেউ একেবারেই বোঝে না। কখনো দলের ভেতরেও ছোট ছোট ‘দল’ হয়ে যায়!
করপোরেট কোচের প্রধান পরামর্শক যিশু তরফদার বললেন, ‘টিমের ভেতরে তিনটি জিনিস থাকা প্রয়োজন—সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, সম্পূরক দক্ষতা ও পারস্পরিক সমঝোতা। পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার অভাব থাকলেও টিমওয়ার্কটা ভালো হয় না। অফিসের বসেরও উচিত দলের সবার সঙ্গেই সমান যোগাযোগ রাখা। কাউকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া, আবার কারও সঙ্গে যোগাযোগই না রাখা—এটা ভালো নেতৃত্বের উদাহরণ নয়।’
নানা বিপত্তি দেখে ‘টিমওয়ার্কের’ ধারণাকে বাতিলের খাতায় ফেলবেন না যেন। একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কপিরাইটার জানালেন দল বেঁধে কাজ করার সুফল। ‘অফিসে আমাদের টিমের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুণ! সবাই সবার দক্ষতার জায়গাটা জানি, দুর্বলতাটাও জানি। সেভাবেই কাজ ভাগ করে নিই। খুব সুবিধা হয়। আমরা কাজ করি একসঙ্গে, ফাঁকিও দিই একসঙ্গে। মাঝেমধ্যে মাথা কাজ না করলে বসের চোখ ফাঁকি দিয়ে টিমের সবাই মিলে কফি খেতে যাই! হা হা হা...।’ বলা বাহুল্য, তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
টিমওয়ার্কের সুফল পেতে হলে অফিসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কটাও স্বচ্ছ হতে হবে। প্রয়োজনে অফিসের বাইরেও দল বেঁধে বেড়াতে যান, গল্প করুন। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকাও জরুরি। সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন পুরো টিমের, তেমনি ব্যর্থতার দায়ভারও সবাইকে নিতে হবে। টিমের ভেতরে নিজেদের সমালোচনা যেমন করবেন, তেমনি ভালো কাজে কাউকে বাহবা দিতেও কার্পণ্য বোধ করবেন না।
কথা হলো বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রের মহাব্যবস্থাপক এম এ মারুফের সঙ্গে। তাঁর মতে, হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয় না, তেমনি একটা টিমের একেকজন একেক রকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। সবার আগে প্রয়োজন নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার প্রবণতা। একে অপরের কথা শুনতে হবে। একটা টিমে প্রত্যেকের কথাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মিলে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
No comments