ভালো থাকুন-ক্ষতিকর মাদক ইয়াবা
বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের নেশার অন্যতম
উপকরণ ইয়াবা। ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্তদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয়
জীবনের সব যন্ত্রণা। কিন্তু এই মাদক যে তাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে তা
টের পাওয়ারও অবকাশ সে সময় তাদের থাকে না।
প্রথমে কম ডোজে
এই ট্যাবলেট কাজ করলেও পরে ধীরে ধীরে ডোজ বাড়াতে হয়, ক্ষণস্থায়ী আনন্দের পর
বাড়তে থাকে ক্ষতিকর নানা উপসর্গও। রাত কাটে নির্ঘুম, শরীর নিস্তেজ হয়ে
পড়তে থাকে, গলা-মুখ শুকিয়ে আসতে থাকে অনবরত। প্রচণ্ড ঘাম হয়। বাড়ে নাড়ির
গতি, রক্তচাপ, দেহের তাপমাত্রা আর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি। দীর্ঘদিনের
আসক্তরা উচ্চ রক্তচাপের রোগীই হয়ে পড়ে। ব্রেনের ভেতরকার ছোট রক্তনালিগুলো
ক্ষয় হতে থাকে, স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানসিক নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।
বেশি পরিমাণে নেওয়া ইয়াবা রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। আসক্তরা
একবার ইয়াবা নেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর আবার না নিলে শরীরে ও মনে নানা উপসর্গ
দেখা দেয়, ফলে বাধ্য হয়ে আসক্তরা আবার ফিরে যায় নেশার জগতে।
তবে হ্যাঁ, যারা আবার ফিরে পেতে চায় স্বাভাবিক সুস্থ জীবন তাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি তাদের আশার আলো দেখাচ্ছে; তারা ফিরে যেতে পারছে মাদকমুক্ত জীবনধারায়। তবে চিকিৎসায় মানসিক রোগ চিকিৎসক ও সাইকোলজিস্টের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবার, স্বজন আর প্রকৃত ভালো বন্ধুরও।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
তবে হ্যাঁ, যারা আবার ফিরে পেতে চায় স্বাভাবিক সুস্থ জীবন তাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি তাদের আশার আলো দেখাচ্ছে; তারা ফিরে যেতে পারছে মাদকমুক্ত জীবনধারায়। তবে চিকিৎসায় মানসিক রোগ চিকিৎসক ও সাইকোলজিস্টের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবার, স্বজন আর প্রকৃত ভালো বন্ধুরও।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
No comments