জনপ্রতিনিধির আমলনামা!নির্বাচিতদের অভিযোগমুক্ত হতে হবে
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর বিজয়ী
শিবির উৎফুল্ল। হতাশ বিজিত পক্ষ। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সিটি
করপোরেশনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই রাজনৈতিক
পরিচয় আছে।
প্রার্থীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও সেই
পরিচয় পরিচিতি মুছে ফেলতে চায় না। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে যাঁরা নির্বাচন
করছেন, তাঁদের নৈতিক অবস্থান কতটা শক্ত বা নীতিগতভাবে তাঁরা কতটা
গ্রহণযোগ্য সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে, বিশেষ করে বিজয়ীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি
ভাবতে হবে। কারণ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, তা থেকে
মুক্ত হতে না পারলে আমাদের দেশে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হবে না। এই
পরিবর্তনের সূচনা করতে হবে স্থানীয় সরকার পর্যায় থেকেই। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত
চার সিটি করপোরেশন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী ৫৭ জনপ্রতিনিধি
সম্পর্কে যে প্রতিবেদন কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে, তা মোটেও স্বস্তিদায়ক
নয়। রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, খুলনা- সর্বত্রই একই অবস্থা। যেখানে
নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিজয়ে উৎফুল্ল হওয়ার কথা, সেখানে কিছুসংখ্যক
জনপ্রতিনিধির আমলনামা রীতিমতো হতাশাজনক।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচিত ১১৬ জন সাধারণ ওয়ার্ড কমিশনারের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, অবৈধ অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে মামলা ছিল বা আছে। তাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসায় এলাকাবাসী অবাক হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বিষয়টিকে প্রীতিকর মনে করছেন না। কিন্তু জনরায়ের বিপক্ষে যাওয়া যাবে না। অবশ্য নির্বাচিত হলেও কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাই জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন হতে পারে। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত নবনির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধিরা অবশ্য বলছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক। রাজনৈতিক কারণে মামলা হলে তার একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। যাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন, তাঁদের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ থাকা উচিত নয়। তৃণমূলের মানুষের সঙ্গেই তো কাউন্সিলরদের যোগাযোগ হয় বেশি। সমাজের জন্য ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অভিযোগমুক্ত হতে হবে। নবনির্বাচিত ৫৭ কাউন্সিলর সম্পর্কে যে প্রতিবেদন কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে, তা যদি কিছুটা হলেও সত্য হয়, তাহলে তাতে আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যই ফুটে উঠেছে।
জনপ্রতিনিধিদের এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো নির্বাচনে জনসচেতনতার প্রমাণও রাখতে হবে। দল কিংবা ব্যক্তি নয়, সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বোধ থেকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচিত ১১৬ জন সাধারণ ওয়ার্ড কমিশনারের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, অবৈধ অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে মামলা ছিল বা আছে। তাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসায় এলাকাবাসী অবাক হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বিষয়টিকে প্রীতিকর মনে করছেন না। কিন্তু জনরায়ের বিপক্ষে যাওয়া যাবে না। অবশ্য নির্বাচিত হলেও কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাই জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন হতে পারে। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত নবনির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধিরা অবশ্য বলছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক। রাজনৈতিক কারণে মামলা হলে তার একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। যাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন, তাঁদের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ থাকা উচিত নয়। তৃণমূলের মানুষের সঙ্গেই তো কাউন্সিলরদের যোগাযোগ হয় বেশি। সমাজের জন্য ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অভিযোগমুক্ত হতে হবে। নবনির্বাচিত ৫৭ কাউন্সিলর সম্পর্কে যে প্রতিবেদন কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে, তা যদি কিছুটা হলেও সত্য হয়, তাহলে তাতে আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যই ফুটে উঠেছে।
জনপ্রতিনিধিদের এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো নির্বাচনে জনসচেতনতার প্রমাণও রাখতে হবে। দল কিংবা ব্যক্তি নয়, সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বোধ থেকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
No comments