বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল: গিবসন by তানজির আহমেদ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক
পরিস্থিতিকে খুবই জটিল বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাই
কমিশনার রবার্ট গিবসন। তিনি বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়িয়ে বাংলাদেশ যাতে
উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে,
সে লক্ষ্যে বৃটিশ সরকারের
প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে কাজ
করে যাচ্ছে। তিনি গত বৃহস্পতিবার বৃটিশ পার্লামেন্টের এলান্ড হাউজে
ডিপার্টমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটিজ বিভাগ আয়োজিত বাংলাদেশে সাম্প্রতিক
পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত
বৃটিশ-বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত
বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
রবার্ট গিবসন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে বৃটেন বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কামনা করে। বাংলাদেশে বৃটেনের পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেদিকে বৃটিশ সরকারের নজর রয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে বাদী বিবাদী পক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে। সাভার রানা প্লাজার ধসে প্রাণহানির ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই নেত্রীর সংলাপের জন্য বৃটিশ হাই কমিশনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে রবার্ট গিবসন বলেন, হেনরি কিসিঞ্জার, নেলসন ম্যান্ডেলা, বিল ক্লিনটনসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় নেতা এ উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে বৃটিশ হাই কমিশনের উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
রবার্ট গিবসন বলেন, বৃটিশ সরকার বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এই বিষয়টি দেশের উচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চর্চা হচ্ছে না।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে বৃটিশ হাই কমিশনার জানান, বাংলাদেশে অত্যন্ত শক্তিশালী গণমাধ্যম থাকার পরও বিভিন্ন কারণে তারা যথাযথ সংবাদ তুলে ধরতে পারছে না। এজন্য আমরা যথাযথ তথ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
বৃটিশ হাই কমিশনার গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বাংলাদেশে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম, রানা প্লাজার ধসে প্রাণহানির ঘটনা, হেফাজতের ঢাকা অবরোধ, পুলিশের গুলিতে প্রাণহানি, বিচার-বহির্ভূত হত্যকাণ্ড, মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রভৃতি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
রবার্ট গিবসন বাংলাদেশের দুর্নীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এর ফলে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে বৃটেনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বৃটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে বৃটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে অবস্থানকারী বৃটিশ নাগরিকদের ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করার অনুরোধ জানান।
বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ অবস্থান করছে। বৃটিশ পালার্মেন্টের সিনিয়র এমপি লর্ড এ্যাভব্যারিসহ অনেকেই দুই দলের সংলাপের অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলের বক্তব্যে কর্ণপাত করছে না উল্লেখ করে রুশনারা বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত মাঠ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এক দল অন্য দলের সঙ্গে ব্লেইম গেইম খেলছে। বৃটেন মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি ও জিম ফিজপ্যাট্রিক এমপি এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন সমপ্রদায়ের প্রতিনিধিত্বশীল নেতারাও এ বিচারের বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।
রবার্ট গিবসন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে বৃটেন বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কামনা করে। বাংলাদেশে বৃটেনের পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেদিকে বৃটিশ সরকারের নজর রয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে বাদী বিবাদী পক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে। সাভার রানা প্লাজার ধসে প্রাণহানির ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই নেত্রীর সংলাপের জন্য বৃটিশ হাই কমিশনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে রবার্ট গিবসন বলেন, হেনরি কিসিঞ্জার, নেলসন ম্যান্ডেলা, বিল ক্লিনটনসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় নেতা এ উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে বৃটিশ হাই কমিশনের উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
রবার্ট গিবসন বলেন, বৃটিশ সরকার বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এই বিষয়টি দেশের উচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চর্চা হচ্ছে না।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে বৃটিশ হাই কমিশনার জানান, বাংলাদেশে অত্যন্ত শক্তিশালী গণমাধ্যম থাকার পরও বিভিন্ন কারণে তারা যথাযথ সংবাদ তুলে ধরতে পারছে না। এজন্য আমরা যথাযথ তথ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
বৃটিশ হাই কমিশনার গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বাংলাদেশে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম, রানা প্লাজার ধসে প্রাণহানির ঘটনা, হেফাজতের ঢাকা অবরোধ, পুলিশের গুলিতে প্রাণহানি, বিচার-বহির্ভূত হত্যকাণ্ড, মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রভৃতি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
রবার্ট গিবসন বাংলাদেশের দুর্নীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এর ফলে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে বৃটেনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বৃটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে বৃটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে অবস্থানকারী বৃটিশ নাগরিকদের ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করার অনুরোধ জানান।
বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ অবস্থান করছে। বৃটিশ পালার্মেন্টের সিনিয়র এমপি লর্ড এ্যাভব্যারিসহ অনেকেই দুই দলের সংলাপের অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলের বক্তব্যে কর্ণপাত করছে না উল্লেখ করে রুশনারা বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত মাঠ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এক দল অন্য দলের সঙ্গে ব্লেইম গেইম খেলছে। বৃটেন মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি ও জিম ফিজপ্যাট্রিক এমপি এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন সমপ্রদায়ের প্রতিনিধিত্বশীল নেতারাও এ বিচারের বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।
No comments