শিশুখাদ্যের কৌটা দিয়ে প্রতিবাদীমানচিত্র
চীনের ভিন্নমতাবলম্বী শিল্পী আই ওয়েইওয়েই শিশুখাদ্যের ১৮শর বেশিক্যান দিয়ে একটি চীনা মানচিত্র তৈরি করেছেন। চীনের মূল ভূখণ্ডে গুঁড়া দুধ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ককে কেন্দ্র করে তিনি এ শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন। ‘বেবি ফর্মুলা ২০১৩’ শিরোনামের ওই মানচিত্র তৈরিতে সাতটি ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধের এক হাজার ৮১৫টি ক্যান ব্যবহার করা হয়েছে। ওয়েইওয়েই গতকাল শুক্রবার এএফপিকে বলেন, ‘এই মানচিত্র কয়েকটি সমস্যার প্রতিবিম্ব।’ তিনি বলেন, একটি সমস্যা হচ্ছে—চীনের মূল বাসিন্দাদের হংকংয়ে গিয়ে গুঁড়া দুধ কেনা এবং তা চীনে নিয়ে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে হংকংয়ে কোনো পর্যটকের এক কেজি ৮০০ গ্রামের বেশি গুঁড়া দুধ কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীনা সরকার। প্রসঙ্গত, হংকং চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা। সেখানে পৃথক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ২০০৮ সালে চীনে তৈরি গুঁড়া দুধে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেলামিন পাওয়া যায়। এই দুধ খেয়ে ছয়টি শিশু মারা যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে তিন লাখের বেশি শিশু। এ ছাড়া গত বছরও একটি কোম্পানির গুঁড়া দুধে বিষাক্ত উপাদান পাওয়া যায়। অথচ কর্তৃপক্ষ ২০০৮ সালের ঘটনার পর ঘোষণা দিয়েছিল, আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ওয়েইওয়েই বলেন, ‘আমরা জানি যে (চীনের) মূল ভূখণ্ডে খাদ্যনিরাপত্তা খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। যথাযথ তদারকির অভাব এবং উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই এমনটি ঘটছে।’ ভোক্তা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইউরোমনিটর বলেছে, গুঁড়া দুধের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে চীন। দেশটিতে শিশুদের বুকের দুধ পান করানোর হার খুবই কম।
No comments