সিটি মেয়রদের ধনদৌলত
সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী—এই চার সিটি করপোরেশনের মেয়াদ পূরণ করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিশ্চয়ই আনন্দের খবর। আরও আনন্দের খবর হলো, চার সিটির মেয়ররাই আবার প্রার্থী হচ্ছেন। এর মাধ্যমে ভোটাররা তাঁদের আমলনামাটি পরখ করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু মেয়র পদপ্রার্থীরা হলফনামায় নিজ নিজ সম্পদ ও আয়ের যে হিসাব দিয়েছেন, তাতে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম হবে। গত পাঁচ বছরে নগরবাসীর আয় ও সুযোগ-সুবিধা তেমন না বাড়লেও কোনো কোনো মেয়রের বৈধ আয় বেড়েছে শতগুণেরও বেশি।
২০০৮ সালে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার খালেকের বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৬২ হাজার টাকা, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। ২০০৮ সালে বরিশাল সিটি মেয়র শওকত হোসেনের বার্ষিক আয় ছয় লাখ ১২ হাজার টাকা হলেও অলৌকিক উপায়ে বর্তমানে তিন কোটি ৪৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। সিলেট সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। আর এই সম্পদের উৎস হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন প্রবাসী স্বজনদের উপহার ও মেয়র হিসেবে পাওয়া বেতন-ভাতা।
চার সিটি মেয়রের সম্পদ ও আয়ের স্ফীতি ঘটলেও নগরবাসীর সুবিধা তেমন বাড়েনি। নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য এই জনপ্রতিনিধিরা সরকারের সঙ্গে জোরালো দেনদরবার করেছেন, তারও প্রমাণ নেই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিয়ে তাঁরা কীভাবে ‘ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য’ করেন, সেই প্রশ্নও না উঠে পারে না। নির্বাচনের সময় চার মেয়রই নগরবাসীর কাছে নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় সরকারের সঙ্গে তাঁদের যথেষ্ট সদ্ভাব ছিল এবং এখনো আছে। অতএব সরকারের অসহযোগিতার কারণে নগরের উন্নয়ন থেমে আছে—এই অজুহাত খাড়া করারও সুযোগ নেই।
আগামী সিটি নির্বাচনে ভোটাররা নিশ্চয়ই মেয়র ও কাউন্সিলর বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের আমলনামা দেখে নেবেন। তবে ভোটারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিদায়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদেরই উচিত আয়নায় একবার নিজেদের মুখ দেখে নেওয়া।
২০০৮ সালে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার খালেকের বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৬২ হাজার টাকা, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। ২০০৮ সালে বরিশাল সিটি মেয়র শওকত হোসেনের বার্ষিক আয় ছয় লাখ ১২ হাজার টাকা হলেও অলৌকিক উপায়ে বর্তমানে তিন কোটি ৪৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। সিলেট সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। আর এই সম্পদের উৎস হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন প্রবাসী স্বজনদের উপহার ও মেয়র হিসেবে পাওয়া বেতন-ভাতা।
চার সিটি মেয়রের সম্পদ ও আয়ের স্ফীতি ঘটলেও নগরবাসীর সুবিধা তেমন বাড়েনি। নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য এই জনপ্রতিনিধিরা সরকারের সঙ্গে জোরালো দেনদরবার করেছেন, তারও প্রমাণ নেই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিয়ে তাঁরা কীভাবে ‘ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য’ করেন, সেই প্রশ্নও না উঠে পারে না। নির্বাচনের সময় চার মেয়রই নগরবাসীর কাছে নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় সরকারের সঙ্গে তাঁদের যথেষ্ট সদ্ভাব ছিল এবং এখনো আছে। অতএব সরকারের অসহযোগিতার কারণে নগরের উন্নয়ন থেমে আছে—এই অজুহাত খাড়া করারও সুযোগ নেই।
আগামী সিটি নির্বাচনে ভোটাররা নিশ্চয়ই মেয়র ও কাউন্সিলর বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের আমলনামা দেখে নেবেন। তবে ভোটারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিদায়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদেরই উচিত আয়নায় একবার নিজেদের মুখ দেখে নেওয়া।
No comments