হাজার হাজার ছবি তুলে সুস্থ ভ্রূণ নির্বাচন
যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক বলেছেন, নির্দিষ্ট সময় পর পর বিকাশমান ভ্রূণের ছবি তোলার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়া আইভিএফের সাফল্যের হার বাড়ানো সম্ভব। আইভিএফ অর্থাৎ ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে গবেষণাগারে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত করে সৃষ্ট ভ্রুণ গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। নতুন এ কৌশল অনুযায়ী, সদ্য নিষিক্ত ভ্রূণের কয়েক হাজার ছবি ধারাবাহিকভাবে তোলা হয়। এর মাধ্যমে গর্ভে প্রতিস্থাপনের জন্য সবচেয়ে ‘সবল’ ও ‘সুস্থ’ ভ্রূণ নির্বাচন সম্ভব হয়। তবে অন্য গবেষকেরা বলেছেন, ব্যবহারিক পর্যায়ে যাওয়ার আগে এই বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। উদ্ভাবনকারী গবেষকেরা নতুন এই আইভিএফ কৌশলের নাম দিয়েছেন, মরফোকিনেটিক অ্যালগোরিদমস টু প্রেডিক্ট সাকসেস (এমএপিএস)। যুক্তরাজ্যের আইভিএফ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যানচেস্টারের কেয়ার ফার্টিলিটির অন্যতম পরিচালক ও বিশিষ্ট বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ সিমোন ফিশেলসহ কয়েকজন চিকিৎসক এই গবেষণা করেন। তাঁদের গবেষণাপত্র অনলাইন সাময়িকী রিপ্রোডাকটিভ বায়োমেডিসিন অনলাইন- এ প্রকাশিত হয়। কেয়ার ফার্টিলিটির ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ অ্যালিসন ক্যাম্পবেল বলেন, আইভিএফের প্রচলিত পদ্ধতিতে নিষিক্ত হওয়া ভ্রূণ পাঁচ দিনে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ছয়বার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এমএপিএস পদ্ধতিতে ভ্রূণের পাঁচ হাজারের বেশি ছবি তোলা হয়। এই ছবি বিশ্লেষণ করে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁতভাবে ভ্রূণের বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়।
No comments