‘মা চোখ জ্বলে গেল’ by মহিউদ্দীন জুয়েল
‘মা মা চোখ জ্বলে গেল। জ্বালা করছে। কিছুই
দেখতে পাচ্ছি না’- বলেই হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে মেয়েটি। ঘটনাটি দেখে
তখন আশপাশের দুই একজন লোক এগিয়ে আসেন। মেয়ের এমন করুণ অবস্থা দেখে তার মা-ও
কাঁদতে থাকেন।
‘ভাইসাহেব একটু সাহায্য করুন না। আমাদেরকে
ককটেল মেরেছে। মেয়েটার চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।’ চট্টগ্রাম মোমিন রোডে গতকাল
এভাবেই চিৎকার করছিল স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়া। মাকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে
যাচ্ছিল কোচিং সেন্টারে। পথে গলি থেকে বেরিয়ে দুই পিকেটার ককটেল ছুড়ে মারে।
এতে সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় শুয়ে পড়ে অন্তু।
তার পাশে বিকট আওয়াজে পড়ে যান মা শিউলি বড়ুয়া। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ককটেলের স্প্লিন্টারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন মেয়েটি। তার ডান চোখ দিয়ে গড়িয়ে রক্ত ঝরছিল। মাকে বলছিল, চোখের ভেতরটা কেমন যেন করছে। একটু পানি দিতে পারলে ভাল হতো।
২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্তু বড়ুয়ার চিকিৎসক জানান, ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই তার ডান চোখের চারপাশে স্প্লিন্টার গেঁথে যায়। তবে চোখের ভেতরে কতটুকু আঘাত লেগেছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে আরও দু’দিন পর। এখন আপাতত ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তবে সে মানসিকভাবে ভয় পাওয়ায় অনেকটুকু দুর্বল হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে ডা. সুব্রত বলেন, মেয়েটির ভাগ্য ভাল। আঘাত বড় ধরনের হয়নি। সে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় স্প্লিন্টার চোখের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। তা না হলে হয়তো বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা মেয়েটিকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হতো।
শিউলি বড়ুয়া বলেন, আমার মেয়ে অন্তু এবার নগরীর অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ছে। সায়েন্সে পড়ার কারণে তাকে প্রতিদিন বাসা থেকে কোচিংয়ে নিয়ে যেতে হয়। আজ (গতকাল) সকালে যখন মা-মেয়ে দুই জনে মোমিন রোড এলাকা দিয়ে যাই তখনই পিকেটাররা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সে ডান চোখে মারাত্মক আঘাত পায়। ডাক্তাররা চোখের অবস্থা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। তবে ডান চোখ দিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরছে।
তিনি জানান, সকাল ৮টায় ওই এলাকার মূল সড়ক দিয়ে চেরাগী পাহাড়ের দিকে মেয়ে অন্তুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মেয়ে অন্তুর কোচিং সেন্টারটি জামাল খান চেরাগী পাহাড় এলাকায়। প্রতিদিনের মতো গতকালও নগরীর আসকার দীঘির পাড় বাসা থেকে ভোরে বের হন তিনি। এই সময় হেমসেন লেনের কাছে আসতেই তাদের পেছনের দিকে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়। লোকজনের বেশির ভাগ রাস্তায় শুয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফুল বিক্রেতা মনসুর বলেন, ককটেলের আওয়াজে মেয়েটি ভীষণভাবে কাঁদছিল। তার ব্যাগ, বই-খাতা যে কোথায় চলে গিয়েছিল তা কে জানে। মেয়ের অবস্থা দেখে মা-ও পাগলপ্রায়। এমন বাচ্চা মেয়ের শরীরে ককটেল আঘাত হানলে কার মন ঠিক থাকে বলুন?
স্থানীয় যুবক শাহেদ বলেন, পিকেটাররা হরতালের সমর্থনে এসব ককটেল ফাটিয়েছে। পরপর দু’টো ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এই সময় আমি বাসায় ছিলাম। দৌড়ে রাস্তায় এসে দেখি লোকজন সবাই জটলা করে মেয়েটিকে টেনে তুলছে। তার চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।
অন্তু বড়ুয়ার পিতা অঞ্জন বড়ুয়া পেশায় একজন ব্যাংকার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, অল্পের জন্য বেঁচে গেছে আমার মেয়েটা। প্রতিদিনই ওর মা তাকে নিয়ে কোচিংয়ে যায়। কিন্তু হরতাল যেভাবে কঠোর হচ্ছে তাতে সামনের দিনগুলোতে বাচ্চারা পড়ালেখা কিভাবে করবে তাই এখন ভাবার বিষয়।
তার পাশে বিকট আওয়াজে পড়ে যান মা শিউলি বড়ুয়া। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ককটেলের স্প্লিন্টারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন মেয়েটি। তার ডান চোখ দিয়ে গড়িয়ে রক্ত ঝরছিল। মাকে বলছিল, চোখের ভেতরটা কেমন যেন করছে। একটু পানি দিতে পারলে ভাল হতো।
২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্তু বড়ুয়ার চিকিৎসক জানান, ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই তার ডান চোখের চারপাশে স্প্লিন্টার গেঁথে যায়। তবে চোখের ভেতরে কতটুকু আঘাত লেগেছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে আরও দু’দিন পর। এখন আপাতত ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তবে সে মানসিকভাবে ভয় পাওয়ায় অনেকটুকু দুর্বল হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে ডা. সুব্রত বলেন, মেয়েটির ভাগ্য ভাল। আঘাত বড় ধরনের হয়নি। সে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় স্প্লিন্টার চোখের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। তা না হলে হয়তো বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা মেয়েটিকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হতো।
শিউলি বড়ুয়া বলেন, আমার মেয়ে অন্তু এবার নগরীর অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ছে। সায়েন্সে পড়ার কারণে তাকে প্রতিদিন বাসা থেকে কোচিংয়ে নিয়ে যেতে হয়। আজ (গতকাল) সকালে যখন মা-মেয়ে দুই জনে মোমিন রোড এলাকা দিয়ে যাই তখনই পিকেটাররা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সে ডান চোখে মারাত্মক আঘাত পায়। ডাক্তাররা চোখের অবস্থা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। তবে ডান চোখ দিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরছে।
তিনি জানান, সকাল ৮টায় ওই এলাকার মূল সড়ক দিয়ে চেরাগী পাহাড়ের দিকে মেয়ে অন্তুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মেয়ে অন্তুর কোচিং সেন্টারটি জামাল খান চেরাগী পাহাড় এলাকায়। প্রতিদিনের মতো গতকালও নগরীর আসকার দীঘির পাড় বাসা থেকে ভোরে বের হন তিনি। এই সময় হেমসেন লেনের কাছে আসতেই তাদের পেছনের দিকে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়। লোকজনের বেশির ভাগ রাস্তায় শুয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফুল বিক্রেতা মনসুর বলেন, ককটেলের আওয়াজে মেয়েটি ভীষণভাবে কাঁদছিল। তার ব্যাগ, বই-খাতা যে কোথায় চলে গিয়েছিল তা কে জানে। মেয়ের অবস্থা দেখে মা-ও পাগলপ্রায়। এমন বাচ্চা মেয়ের শরীরে ককটেল আঘাত হানলে কার মন ঠিক থাকে বলুন?
স্থানীয় যুবক শাহেদ বলেন, পিকেটাররা হরতালের সমর্থনে এসব ককটেল ফাটিয়েছে। পরপর দু’টো ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এই সময় আমি বাসায় ছিলাম। দৌড়ে রাস্তায় এসে দেখি লোকজন সবাই জটলা করে মেয়েটিকে টেনে তুলছে। তার চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।
অন্তু বড়ুয়ার পিতা অঞ্জন বড়ুয়া পেশায় একজন ব্যাংকার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, অল্পের জন্য বেঁচে গেছে আমার মেয়েটা। প্রতিদিনই ওর মা তাকে নিয়ে কোচিংয়ে যায়। কিন্তু হরতাল যেভাবে কঠোর হচ্ছে তাতে সামনের দিনগুলোতে বাচ্চারা পড়ালেখা কিভাবে করবে তাই এখন ভাবার বিষয়।
No comments