যুদ্ধাবস্থায় ঢুকে পড়েছি: উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া স্রেফ জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ
কোরিয়ার সঙ্গে তারা যুদ্ধাবস্থায় ঢুকে পড়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এই ঘোষণাকে
বাগাড়ম্বর ছাড়া কিছুই ভাবছে না। বিবদমান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা চলছে
ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে।
যদিও সশস্ত্র সংঘাত চলছিলো
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত। তবে শনিবার উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে
দিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধাবস্থায় ঢুকে পড়েছে। দুই দেশের মধ্যে
সবকিছুরই সমাধান হবে যুদ্ধের মাধ্যমে। সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এই
বার্তা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, উত্তর কোরীয় সরকার, সরকারি দল ও অন্যান্য
সংগঠন যৌথভাবে এক বিবৃতিতে যুদ্ধাবস্থার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়া এমন ঘোষণা দিলের তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সামরিক নড়াচড়া টের পাওয়া যায়নি।
মূলত মার্চের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়া তার নিয়মিত সামরিক মহড়া শুরু করার পর থেকে উত্তর কোরিয়া অবশ্য প্রতিদিনই এমন হামলার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে দক্ষিণের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যৌথ শিল্প-এলাকা পুরোদমে চালু আছে। কাইসং জোন নামের এই শিল্প এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়া বিপুল অংকের নগদ অর্থ আয় করে। প্রতিদিনই শত শত দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিক ও তাদের গাড়িগুলো সামরিক অস্ত্রসজ্জিত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কাজে যাচ্ছে বা আসছে।
এর আগে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন দক্ষিণ কোরিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে বসানো মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানার জন্য এর ক্ষেপনাস্ত্র ইউনিটগুলো সদাপ্রস্তুত রাখার নির্দেশনায় সই করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র আনবিক শক্তিসম্মৃদ্ধ দুটি স্টিলথ বোমার কোরীয় উপদ্বীপে পাঠানোর পর উত্তর কোরিয়া এই সিদ্ধান্ত নেয়। স্টিলথ বোমার পাঠানোর এই ঘটনাকে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বিরল ঘটনা বলেও মনে করছেন অনেকে।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, বি-২ বোমার দুটি পাঠানো হয়েছে দুই মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে কিছুটা আশ্বস্ত করতে এবং পিয়ংইয়ং-এর ওপর আলোচনায় বসার চাপ সৃষ্টি করতে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা কিম জং-উন বুঝতে পেরেছেন কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
দক্ষিণ কোরীয় সরকার অবশ্য উত্তর কোরিয়ার শনিবারের বিবৃতিকে উড়িয়ে দিয়েছে এই বলে যে, আরও সতর্ক হওয়ার জন্য তারা নতুন কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। মার্চ জুড়েই উত্তর কোরিয় হুমকি দিয়ে আসছে তাই দক্ষিণ কোরিয় একে থোরাই পাত্তা দিয়ে বরং নাগরিকের দৈনন্দিন জীবন-যাত্রা নিশ্চিত করতেই ব্যস্ত রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ইউনিফিকেশন মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার শনিবারের হুমকিকে আমরা নতুন কোনো হুমকি নয় বরং গত কয়েকদিন ধরে উস্কানিমূলক কথা-বার্তার অংশ হিসেবেই মনে করছি।
এ ধরনের হুমকি-ধমকি বন্ধ করতেও উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ।
তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটলে দক্ষিণ কোরিয়া কাউকেই ক্ষমা করবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে দেশটি।
২০১০ সালে উত্তর কোরিয়া সমুদ্র সীমার কাছে দক্ষিণ কোরীয় একটি দ্বীপে বোমা হামলা চালায়। এতে দুই বেসামরিক নাগরিক ও দুই সেনা সদস্য নিহত হয়। এর প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়া তার পদাতিক বাহিনী পাঠিয়ে হামলা চালায়। ওই বছর আরও আগের দিকে একটি টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নৌজাহাজ ডুবে যায়। এতে নিহত হয় ৪৬ জন নাবিক। এই ঘটনায়ও উত্তর কোরিয়াকেই দায়ী করে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে পিয়ংইয়ং এর দায় বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়া এমন ঘোষণা দিলের তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সামরিক নড়াচড়া টের পাওয়া যায়নি।
মূলত মার্চের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়া তার নিয়মিত সামরিক মহড়া শুরু করার পর থেকে উত্তর কোরিয়া অবশ্য প্রতিদিনই এমন হামলার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে দক্ষিণের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যৌথ শিল্প-এলাকা পুরোদমে চালু আছে। কাইসং জোন নামের এই শিল্প এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়া বিপুল অংকের নগদ অর্থ আয় করে। প্রতিদিনই শত শত দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিক ও তাদের গাড়িগুলো সামরিক অস্ত্রসজ্জিত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কাজে যাচ্ছে বা আসছে।
এর আগে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন দক্ষিণ কোরিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে বসানো মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানার জন্য এর ক্ষেপনাস্ত্র ইউনিটগুলো সদাপ্রস্তুত রাখার নির্দেশনায় সই করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র আনবিক শক্তিসম্মৃদ্ধ দুটি স্টিলথ বোমার কোরীয় উপদ্বীপে পাঠানোর পর উত্তর কোরিয়া এই সিদ্ধান্ত নেয়। স্টিলথ বোমার পাঠানোর এই ঘটনাকে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বিরল ঘটনা বলেও মনে করছেন অনেকে।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, বি-২ বোমার দুটি পাঠানো হয়েছে দুই মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে কিছুটা আশ্বস্ত করতে এবং পিয়ংইয়ং-এর ওপর আলোচনায় বসার চাপ সৃষ্টি করতে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা কিম জং-উন বুঝতে পেরেছেন কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
দক্ষিণ কোরীয় সরকার অবশ্য উত্তর কোরিয়ার শনিবারের বিবৃতিকে উড়িয়ে দিয়েছে এই বলে যে, আরও সতর্ক হওয়ার জন্য তারা নতুন কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। মার্চ জুড়েই উত্তর কোরিয় হুমকি দিয়ে আসছে তাই দক্ষিণ কোরিয় একে থোরাই পাত্তা দিয়ে বরং নাগরিকের দৈনন্দিন জীবন-যাত্রা নিশ্চিত করতেই ব্যস্ত রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ইউনিফিকেশন মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার শনিবারের হুমকিকে আমরা নতুন কোনো হুমকি নয় বরং গত কয়েকদিন ধরে উস্কানিমূলক কথা-বার্তার অংশ হিসেবেই মনে করছি।
এ ধরনের হুমকি-ধমকি বন্ধ করতেও উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ।
তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটলে দক্ষিণ কোরিয়া কাউকেই ক্ষমা করবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে দেশটি।
২০১০ সালে উত্তর কোরিয়া সমুদ্র সীমার কাছে দক্ষিণ কোরীয় একটি দ্বীপে বোমা হামলা চালায়। এতে দুই বেসামরিক নাগরিক ও দুই সেনা সদস্য নিহত হয়। এর প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়া তার পদাতিক বাহিনী পাঠিয়ে হামলা চালায়। ওই বছর আরও আগের দিকে একটি টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নৌজাহাজ ডুবে যায়। এতে নিহত হয় ৪৬ জন নাবিক। এই ঘটনায়ও উত্তর কোরিয়াকেই দায়ী করে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে পিয়ংইয়ং এর দায় বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
No comments