সেনাবাহিনী যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করবে by কাফি কামাল
দেশবাসীর উদ্দেশে বিরোধী দলীয় নেতা ও
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, মানুষ হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায়
নেমে আসায় বগুড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেনাবাহিনী রাস্তায় নামলেও গুলি
না করার কারণে তাদের ধন্যবাদ।
তারা শান্তি রক্ষায় সারা
বিশ্বে কাজ করেন। কিন্তু দেশে শান্তি নেই। তাহলে কিভাবে তারা বিদেশে শান্তি
রক্ষায় ক্জা করবেন। তাতে আমাদের চিন্তার বিষয় রয়েছে। তবে তারা দেশের
শান্তি রক্ষায় যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করবে। বগুড়া শহরের মাটিডালি বিমান
মোড়ের শোকসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া সার্কিট
হাউজ থেকে রওনা হন তিনি। বেলা ১২টার দিকে তিনি মাটিডালির বিমান মোড়ে
পৌঁছান। খালেদা জিয়া বলেন, আগামী ২৬শে মার্চ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সেই কর্মসূচি কঠোরভাবে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার বিরোধী দলের
নেতাকর্মীদের এমনভাবে জেলখানায় ভরছে সেখানে আর জায়গা নেই। রাজনীতিবিদদের
ডান্ডবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করছে। এই সরকারের নেতাকর্মীদেরও ডান্ডাবেড়ি
পরতে হবে। তাদেরকে পরতেই হবে। সকল শ্রেণী-পেশার লোকজনকে জনতার কাতারে নেমে
আসার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ জেগে উঠলে গুলি, বোমা,
গ্রেপ্তার, নির্যাতন কাজে আসবে না। তিনি বলেন, আর চোখের পানি ফেলবো না।
এবার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। প্রয়োজনে সারা দেশ
অচল করে দেয়া হবে। খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে
আমরা শোক পালন করেছি। কিন্তু সরকার শোক পালন করেনি। শোক দিবসে ছুটি দিতে
হয়। এটা সরকার জানে না। অর্ধদিবস কাজ করার পর ছুটি দিয়েছে। তাহলে কিসের
সরকার। তারা শোক দিবসে আমাদের দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বর্তমান
সরকারকে রক্তপিপাসু সরকার আখ্যায়িত করে বিরোধী নেতা বলেন, তার আর ক্ষমতায়
থাকতে পারে না। এতদিন বলেছি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা।
এখন বলছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। বিদায় নিতেই হবে। এজন্য রাজপথে
কঠোর আন্দোলন করতে হবে। স্থানীয় উপজেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুলের
সভাপতিত্বে শোক সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া গতকাল বিকালে তার গুলশানের বাসভবন থেকে থেকে বগুড়ার
পথে রওনা হন। রাতে পৌঁছান বগুড়া সার্কিট হাউসে। সেখানে রাত্রিযাপন করেন।
আজ রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা বিরোধী নেতার।
‘সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, একটু ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে’
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে তরুণ সমাজের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের অতিদুঃশাসনের বই আছে। সেগুলো পড়ে তাদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানো। তারা মানুষের সামনে চোখের জল ফেলে আর পেছনে মানুষ হত্যার নির্দেশ দেয়। আওয়ামী লীগের নীতি হলো খুন-গুমের নীতি। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, একটু ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। তাই তারা পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে। গত এক মাসে ১৭০ জন লোককে হত্যা করেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের মাওলানা নাসিরউদ্দিনকে দাড়ি ধরে পুলিশের গুলি করার ছবি প্রদর্শন করে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের দেশের পুলিশ মুসলমানদের দাড়ি ধরে এভাবে হত্যা করতে পারে না। এরা কি আমাদের দেশের পুলিশ? পাকিস্তানিরা গুলি করতো, আওয়ামী লীগও গুলি করছে। তাহলে পাকিস্তানি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলেন, পুলিশ সেখান থেকে বোমা উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছ। বিএনপি জনগণের দল। বিএনপির বোমার নাম জনগণ। জনগণ থাকলে বোমা লাগে না। খুন গুম ও দুর্নীতির খতিয়ান বিএনপির কাছে আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ভবিষ্যতে এগুলোর জন্য সরকারের লোকজনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী পালাতে চান। তবে পৃথিবীর যে প্রান্তেই পালান না কেন সেখান থেকে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে বিরোধী নেতা বলেন, গতবার চল চল ঢাকা চল কর্মসূচীতে পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছিল। এবার বাধায় কাজ হবে না। প্রয়োজনে আবার চল চল ঢাকা চলো কর্মসূচী দেয়া হবে। আগামীতে পুলিশ গুলি চালালে পরিণতি হবে ভয়াবহ। পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, জনগণের ওপর গুলি চালাবেন না। এই সরকারের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। খালেদা জিয়া বগুড়া ও জয়পুরহাটের দুই শোকসভায় সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলম গুমের বিচার করা হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বর্তমান সরকারের ধর্মনিরপেক্ষতার লেবাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে কোন ধর্মই নিরাপদ নয়। তারা মসজিদে তালা দিচ্ছে। হিন্দুদের মন্দির ভাঙছে। বৌদ্ধদের প্যাগোডা জ্বালিয়ে দিচ্ছে। খিষ্টানদের চার্চে হামলা চালাচ্ছে। কোন ধর্মের লোকজনকেই তারা নিরাপত্তা দিতে পারছে না। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছালাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে ১৮ দল আয়োজিত শোকসভায় এ বক্তব্য দেন তিনি। এর আগে খালেদা জিয়া নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা এবং সমবেদনা জানান। স্থানীয় জেলা বিএনপি সভাপতির সভাপতিত্বে শোকসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
‘সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, একটু ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে’
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে তরুণ সমাজের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের অতিদুঃশাসনের বই আছে। সেগুলো পড়ে তাদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানো। তারা মানুষের সামনে চোখের জল ফেলে আর পেছনে মানুষ হত্যার নির্দেশ দেয়। আওয়ামী লীগের নীতি হলো খুন-গুমের নীতি। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, একটু ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। তাই তারা পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে। গত এক মাসে ১৭০ জন লোককে হত্যা করেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের মাওলানা নাসিরউদ্দিনকে দাড়ি ধরে পুলিশের গুলি করার ছবি প্রদর্শন করে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের দেশের পুলিশ মুসলমানদের দাড়ি ধরে এভাবে হত্যা করতে পারে না। এরা কি আমাদের দেশের পুলিশ? পাকিস্তানিরা গুলি করতো, আওয়ামী লীগও গুলি করছে। তাহলে পাকিস্তানি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলেন, পুলিশ সেখান থেকে বোমা উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছ। বিএনপি জনগণের দল। বিএনপির বোমার নাম জনগণ। জনগণ থাকলে বোমা লাগে না। খুন গুম ও দুর্নীতির খতিয়ান বিএনপির কাছে আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ভবিষ্যতে এগুলোর জন্য সরকারের লোকজনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী পালাতে চান। তবে পৃথিবীর যে প্রান্তেই পালান না কেন সেখান থেকে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে বিরোধী নেতা বলেন, গতবার চল চল ঢাকা চল কর্মসূচীতে পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছিল। এবার বাধায় কাজ হবে না। প্রয়োজনে আবার চল চল ঢাকা চলো কর্মসূচী দেয়া হবে। আগামীতে পুলিশ গুলি চালালে পরিণতি হবে ভয়াবহ। পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, জনগণের ওপর গুলি চালাবেন না। এই সরকারের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। খালেদা জিয়া বগুড়া ও জয়পুরহাটের দুই শোকসভায় সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলম গুমের বিচার করা হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বর্তমান সরকারের ধর্মনিরপেক্ষতার লেবাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে কোন ধর্মই নিরাপদ নয়। তারা মসজিদে তালা দিচ্ছে। হিন্দুদের মন্দির ভাঙছে। বৌদ্ধদের প্যাগোডা জ্বালিয়ে দিচ্ছে। খিষ্টানদের চার্চে হামলা চালাচ্ছে। কোন ধর্মের লোকজনকেই তারা নিরাপত্তা দিতে পারছে না। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছালাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে ১৮ দল আয়োজিত শোকসভায় এ বক্তব্য দেন তিনি। এর আগে খালেদা জিয়া নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা এবং সমবেদনা জানান। স্থানীয় জেলা বিএনপি সভাপতির সভাপতিত্বে শোকসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
No comments