সরকার পতনে প্রয়োজনে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি খালেদার by আরেফিন শাকিল
সরকার পতনে প্রয়োজনে দেশকে অচল করার হুশিঁয়ারি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি রবিবার সকালে বগুড়ার মাটিঢালি চার রাস্তার বিমান মোড়ে হরতালে পুলিশের
গুলিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান ও শোকসমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন।
খালেদা
জিয়া বলেন, ‘এতদিন আমরা শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের
জন্য আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু তারা যখন পাখির মত মানুষ হত্যার শুরু করল,
তখন আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক
দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আর তাই এই খুনি ও রক্তপিপাসু সরকারের পতনের জন্য প্রয়োজনে আমরা দেশকে অচল করে দেব।’
আওয়ামী লীগকে বেঈমান, মুনাফেক, হত্যাকারী ও লুটেরা উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এরা মানুষের রক্ত খেয়ে দেশকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও তাদের হাতে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়।’
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সন্ত্রাস ও লুট-তরাজের। এদের হাতে দাড়ি-টুপিওলারা নিরাপদ নয়। সারা দেশের মানুষ শোক পালন করে আর আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে।
ক্ষমতাসীন দলকে অপদার্থ আখ্যা দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নরপিপাসু সরকার। তারা প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে। সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সর্বশেষ দুর্নীতিকে আড়াল করতে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে।’
তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘খুনি আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সরকার পতনের জন্য আগামীকাল সোমবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেই কর্মসূচিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে হবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতার মাসে আওয়ামী লীগ অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। তারপরও তাদের রক্ত খাওয়ার সাধ মিটে নাই। আপনারা আরেকটু কষ্ট করুন, বিজয় আমাদের নিশ্চিত।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘সরকার সারা দেশে গণহত্যা চালিয়ে মানুষ মারবে আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বসে থাকবে না। আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তি রক্ষী বাহিনীর কাজ করে। কিন্তু দেশে যদি অশান্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে তারাও সময়মত নিজ দায়িত্ব পালন করবে।’
এরআগে খালেদা জিয়া গত ৩ মার্চ হরতালে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩টি পরিবারের মধ্যে ৭টি পরিবারকে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করেন এবং সমবেদনা জানান।
জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, জামায়াত নেতা শামসুল ইসলাম এমপি, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সফু।
এরআগে খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে শোকমঞ্চে এসে পৌঁছান। এ সময় সকাল থেকে খালেদা জিয়াকে এক নজর দেখতে জড়ো হওয়া হাজারো শোকার্ত জনতা স্লোগানে তাকে শুভেচ্ছা জানান। খালেদা জিয়াও জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
শোকসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড শোক মিছিল নিয়ে জড়ো হয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে শোকসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াতে।
বগুড়ার উদ্দেশে শনিবার বিকেল ৪টায় খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন। রাতে তিনি জেলার সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। মাটিঢালির শোকসভা শেষে ১২টার দিকে জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগকে বেঈমান, মুনাফেক, হত্যাকারী ও লুটেরা উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এরা মানুষের রক্ত খেয়ে দেশকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও তাদের হাতে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়।’
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সন্ত্রাস ও লুট-তরাজের। এদের হাতে দাড়ি-টুপিওলারা নিরাপদ নয়। সারা দেশের মানুষ শোক পালন করে আর আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে।
ক্ষমতাসীন দলকে অপদার্থ আখ্যা দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নরপিপাসু সরকার। তারা প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে। সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সর্বশেষ দুর্নীতিকে আড়াল করতে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে।’
তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘খুনি আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সরকার পতনের জন্য আগামীকাল সোমবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেই কর্মসূচিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে হবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতার মাসে আওয়ামী লীগ অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। তারপরও তাদের রক্ত খাওয়ার সাধ মিটে নাই। আপনারা আরেকটু কষ্ট করুন, বিজয় আমাদের নিশ্চিত।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘সরকার সারা দেশে গণহত্যা চালিয়ে মানুষ মারবে আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বসে থাকবে না। আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তি রক্ষী বাহিনীর কাজ করে। কিন্তু দেশে যদি অশান্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে তারাও সময়মত নিজ দায়িত্ব পালন করবে।’
এরআগে খালেদা জিয়া গত ৩ মার্চ হরতালে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩টি পরিবারের মধ্যে ৭টি পরিবারকে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করেন এবং সমবেদনা জানান।
জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, জামায়াত নেতা শামসুল ইসলাম এমপি, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সফু।
এরআগে খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে শোকমঞ্চে এসে পৌঁছান। এ সময় সকাল থেকে খালেদা জিয়াকে এক নজর দেখতে জড়ো হওয়া হাজারো শোকার্ত জনতা স্লোগানে তাকে শুভেচ্ছা জানান। খালেদা জিয়াও জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
শোকসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড শোক মিছিল নিয়ে জড়ো হয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে শোকসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াতে।
বগুড়ার উদ্দেশে শনিবার বিকেল ৪টায় খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন। রাতে তিনি জেলার সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। মাটিঢালির শোকসভা শেষে ১২টার দিকে জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।
No comments