ফরিদপুর চিনিকলে ৩৬ বছরে ক্ষতি ১০০ কোটি টাকা by রেজাউল করিম বিপুল
বৃহত্তর ফরিদপুরের একমাত্র ভারী শিল্প
প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর সুগার মিল্স লিমিটেডের (মধুখালী চিনিকলে) ৩৬ বছরে
লোকসান ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম ৩২ বছরে লোকসানের পরিমাণ ৭২ কোটি
টাকা থাকলেও গত ৪ বছরে ২৮ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
স্থানীয়দের
অভিযোগ, সরকারি লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানে সঠিক তদারকি না থাকা ও সরকারি
সম্পত্তি বলে অবেহেলার কারণে দীর্ঘদিনেও লাভের মুখ দেখতে পারেনি ফরিদপুর
চিনিকল।
১৯৭৬
সালে পরীক্ষামূলকভাবে ও পরে ১৯৭৭ সালের ২ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতির শিল্প
বিষয়ক উপদেষ্টা হাফিজউদ্দিন মিলটির উদ্বোধন করেন। ওই বছরই প্রথম বাণিজ্যিক
আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়। আশির দশকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু থাকলেও
বর্তমানে তা আর নেই। নব্বুইয়ের দশক থেকে লোকসানের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে
থাকে। ২০১৩ সালে এসে ৩৬ বছরে লোকসান শতকোটি টাকা।
স্থানীয় আখচাষী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিনিকলে লোকসানের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম উন্নত জাতের আখবীজের অভাব, এক ফসলি আখচাষীদের আখ চাষে অনীহা, সরকার কর্তৃক চিনির মূল্য কম নির্ধারণ করাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম বিদ্যমান রয়েছে।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমল কান্তি সরকার জানান, এ বছর ফরিদপুর চিনিকলের উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার চিনি গোডাউনে পড়ে থাকা অবস্থায়ই ২০১২-২০১৩ সালের চলতি আখ মাড়াই শুরু করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “চিনি অবিক্রিত থাকার কারণে বর্তমানে আর্থিক সংকট চলছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বাকি পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “মিলে কোনো দুনীর্তি হয় না। মিলকে লাভজনক অবস্থায় নিতে চেষ্টা করছি।”
আখ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মিলে ৯শ’ ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি কাজ করছেন। চিনি ঠিকমতো বিক্রি না হওয়ায় গত ৩ মাস শ্রমিক-কর্মচারিরা বেতন পাচ্ছে না।
ফরিদপুর চিনিকল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে আখ মাড়াইয়ের টার্গেট ছিল এক লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। মাড়াই করা আখ থেকে চিনি উৎপাদনের টার্গেট ছিল ৭ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন। এখান থেকে চিনি আহরণের মাত্রা ধার্য্য ছিল সাড়ে ৭ ভাগ। কিন্তু চিনি আহরিত হয়েছে ৬ দশমিক ২৯ ভাগ।
এছাড়া ফরিদপুর চিনিকলের ২০১২-১৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ১১০ দিন কার্যদিবস নির্ধারণ করা হলেও আখের অভাবে ১০১ দিন কর্মদিবস শেষে শুক্রবার ২২ মার্চ নির্ধারিত সময়ের ৯ দিন আগেই চিনিকল বন্ধ হয়ে গেছে।
কলের সহকারির ব্যবস্থাপক (ভান্ডার) বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক জানান, মিলটির মাড়াই ক্ষমতাবছরে ১০ হাজার ৬১ মেট্রিকটন। আখের অভাবে এটি বছরের ১২ মাসের ৩ মাস চালু থাকলেও ৯ মাস থাকে বন্ধ। এ পর্যন্ত ৩৬টি মাড়াই মৌসুমের মধ্যে লাভের মুখ দেখে ৯ মৌসুমে। আর লোকসান হয় ২৭ মাড়াই মৌসুমে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ শে ডিসেম্বর আখ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন করেন ফরিদপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান। উদ্বোধনের কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে প্রায় ৭ দিন মাড়াই বন্ধ থাকে। সেসময় চিনি কলের মাঠে রোদে শুকিয়ে যায় প্রায় ২ হাজার টন আখ।
চলতি ৩৭তম আখ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদনের বিভিন্ন টার্গেট পূরণ না হওয়ায় এ মাড়াই মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকার লোকসান হবে বলে জানায় মিল কর্তৃপক্ষ।
গত ৩৬ মাড়াই মৌসুম ২০১১-১২ পর্যন্ত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৯১ কোটি টাকা ও এ বছরের লোকসানসহ ফরিদপুর চিনিকলের ৩৬ বছরে লোকসান ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তবে ফরিদপুর চিনিকল বিগত ৩৬ বৎসরে আবগারী শুল্ক, ভ্যাট ও আয়করসহ সরকারের কোষাগারে প্রায় ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় আখচাষী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিনিকলে লোকসানের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম উন্নত জাতের আখবীজের অভাব, এক ফসলি আখচাষীদের আখ চাষে অনীহা, সরকার কর্তৃক চিনির মূল্য কম নির্ধারণ করাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম বিদ্যমান রয়েছে।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমল কান্তি সরকার জানান, এ বছর ফরিদপুর চিনিকলের উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার চিনি গোডাউনে পড়ে থাকা অবস্থায়ই ২০১২-২০১৩ সালের চলতি আখ মাড়াই শুরু করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “চিনি অবিক্রিত থাকার কারণে বর্তমানে আর্থিক সংকট চলছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বাকি পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “মিলে কোনো দুনীর্তি হয় না। মিলকে লাভজনক অবস্থায় নিতে চেষ্টা করছি।”
আখ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মিলে ৯শ’ ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি কাজ করছেন। চিনি ঠিকমতো বিক্রি না হওয়ায় গত ৩ মাস শ্রমিক-কর্মচারিরা বেতন পাচ্ছে না।
ফরিদপুর চিনিকল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে আখ মাড়াইয়ের টার্গেট ছিল এক লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। মাড়াই করা আখ থেকে চিনি উৎপাদনের টার্গেট ছিল ৭ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন। এখান থেকে চিনি আহরণের মাত্রা ধার্য্য ছিল সাড়ে ৭ ভাগ। কিন্তু চিনি আহরিত হয়েছে ৬ দশমিক ২৯ ভাগ।
এছাড়া ফরিদপুর চিনিকলের ২০১২-১৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ১১০ দিন কার্যদিবস নির্ধারণ করা হলেও আখের অভাবে ১০১ দিন কর্মদিবস শেষে শুক্রবার ২২ মার্চ নির্ধারিত সময়ের ৯ দিন আগেই চিনিকল বন্ধ হয়ে গেছে।
কলের সহকারির ব্যবস্থাপক (ভান্ডার) বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক জানান, মিলটির মাড়াই ক্ষমতাবছরে ১০ হাজার ৬১ মেট্রিকটন। আখের অভাবে এটি বছরের ১২ মাসের ৩ মাস চালু থাকলেও ৯ মাস থাকে বন্ধ। এ পর্যন্ত ৩৬টি মাড়াই মৌসুমের মধ্যে লাভের মুখ দেখে ৯ মৌসুমে। আর লোকসান হয় ২৭ মাড়াই মৌসুমে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ শে ডিসেম্বর আখ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন করেন ফরিদপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান। উদ্বোধনের কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে প্রায় ৭ দিন মাড়াই বন্ধ থাকে। সেসময় চিনি কলের মাঠে রোদে শুকিয়ে যায় প্রায় ২ হাজার টন আখ।
চলতি ৩৭তম আখ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদনের বিভিন্ন টার্গেট পূরণ না হওয়ায় এ মাড়াই মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকার লোকসান হবে বলে জানায় মিল কর্তৃপক্ষ।
গত ৩৬ মাড়াই মৌসুম ২০১১-১২ পর্যন্ত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৯১ কোটি টাকা ও এ বছরের লোকসানসহ ফরিদপুর চিনিকলের ৩৬ বছরে লোকসান ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তবে ফরিদপুর চিনিকল বিগত ৩৬ বৎসরে আবগারী শুল্ক, ভ্যাট ও আয়করসহ সরকারের কোষাগারে প্রায় ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
No comments