চট্টগ্রামে বোমা হামলা গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ সড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে জামায়াতের হরতাল চলছে
গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নগর জুড়ে
জামায়াত শিবিরের ঝটিকা মিছিলের মধ্যে চলছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে
সকাল-সন্ধ্যা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। হরতালে ভোর থেকে নগরী ও জেলায় ব্যাপক
গাড়ি ভাংচুর, টায়ার পোড়ানো, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে
কয়েকজন আহত হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম জুড়ে এ হরতাল হওয়ায় মূলত
চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হরতালের কারণে
আজকে চিটাগাং চেম্বারের নির্বাচন হতে পারছে না। এটি অনুষ্ঠিত হবে ২৭ মার্চ।
বেলা
সোয়া ১১টার দিকে নগরীর থানার খুলশী থানার দামপাড়া ওয়াসা এলাকায়
পিকেটারেরা শহর এলাকার বাসকে লক্ষ্য করে পরপর ৩টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়।
এতে একজন বাস যাত্রী আহত হয়েছে। এর কাছেই আওয়ামীলীগের হরতাল বিরোধী
সমাবেশ চলছিলো। বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের পর নেতাকর্মী দৌড়ে নিরাপদে চলে
যায়।
খুলশী থানার ওসি জানান, এঘটনায় কেউ আটক হয়নি। তিনি বলেন, আতংক সৃষ্টির জন্য হরতালকারী ২টি ককটেল ফাটিয়েছে। এটা তেন কোন ঘটনা না।
এর আগে সকালে হরতালের সমর্থনে নগরী ও জেলার বিভিন্নস্থানে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির। নগরীর এনায়েতবাজার তিনপুলের মাথা, মুরাদপুর, পাহাড়তলী ও বাকলিয়া এলাকায় মিছিল সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মসরুর হোসাইন, সেক্রেটারী নুরুল আমিনসহ অন্যরা।
এদিকে মিরসরাই ও সীতাকুন্ডের বিভিন্নস্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে পিকেটাররা। সীতাকুন্ডে ভাংচুর করা হয়ে অন্তত ২০ গাড়ি।
হরতাল চলাকালে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বায়োজিদ এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা। সকাল ৮টার দিকে মুরাদপুরে রেললাইনের পাশে একটি টেম্পুতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। পাঁচলাইশ এলাকায় সকাল জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে দু’টি অটোরিক্সা ভাংচুর করেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সেলিম জানান, হরতালে দুপুর পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা নাই। পুলিশের সাথে বিজিবির সদস্যরা কড়া দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
হরতালে দূরপাল্লার সব যানবাহন বন্ধ রয়েছে। তবে রিকসা, অটোরিকসাসহ হালকা যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান। বন্দরের বিভিন্ন জেটি এবং বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামাও স্বাভাবিক থাকলেও কোন পণ্য বাইওে যেতে পারছেনা।
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে কোতোয়ালী, নিউ মার্কেট, ষ্টেশন রোড, টাইগারপাস লালখান বাজার এলাকায় টেম্পু, হিউম্যান হলার চলাচল করছে। মাঝে মাঝে এসব এলাকায় দু একটি মিনিবাসও বিচ্ছিন্নভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে নগর জুড়ে রিক্সা চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও কিন্তু ট্রেন এবং বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
হরতালকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর অর্ধশতাধিক স্পটে এক হাজার ৬৭৩ জন পুলিশ এবং এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতোয়েন আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
১৬ মার্চ নগরীর বাকলিয়ায় একটি বাড়িতে সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার ভাগ্নে মুন্নাকে ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তার আতœীয় স্বজন। এতে গুরুতর আহন হন মুন্না। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার রাত ১২টায় তিনি মারা যান। তার হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় জামায়াত। জামায়াতের ডাকা এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে নগরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কয়েক জায়গায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। আজ সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ নগরীর অর্ধশতাধিক পয়েন্টে দেড় হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলশী থানার ওসি জানান, এঘটনায় কেউ আটক হয়নি। তিনি বলেন, আতংক সৃষ্টির জন্য হরতালকারী ২টি ককটেল ফাটিয়েছে। এটা তেন কোন ঘটনা না।
এর আগে সকালে হরতালের সমর্থনে নগরী ও জেলার বিভিন্নস্থানে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির। নগরীর এনায়েতবাজার তিনপুলের মাথা, মুরাদপুর, পাহাড়তলী ও বাকলিয়া এলাকায় মিছিল সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মসরুর হোসাইন, সেক্রেটারী নুরুল আমিনসহ অন্যরা।
এদিকে মিরসরাই ও সীতাকুন্ডের বিভিন্নস্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে পিকেটাররা। সীতাকুন্ডে ভাংচুর করা হয়ে অন্তত ২০ গাড়ি।
হরতাল চলাকালে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বায়োজিদ এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা। সকাল ৮টার দিকে মুরাদপুরে রেললাইনের পাশে একটি টেম্পুতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। পাঁচলাইশ এলাকায় সকাল জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে দু’টি অটোরিক্সা ভাংচুর করেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সেলিম জানান, হরতালে দুপুর পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা নাই। পুলিশের সাথে বিজিবির সদস্যরা কড়া দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
হরতালে দূরপাল্লার সব যানবাহন বন্ধ রয়েছে। তবে রিকসা, অটোরিকসাসহ হালকা যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান। বন্দরের বিভিন্ন জেটি এবং বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামাও স্বাভাবিক থাকলেও কোন পণ্য বাইওে যেতে পারছেনা।
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে কোতোয়ালী, নিউ মার্কেট, ষ্টেশন রোড, টাইগারপাস লালখান বাজার এলাকায় টেম্পু, হিউম্যান হলার চলাচল করছে। মাঝে মাঝে এসব এলাকায় দু একটি মিনিবাসও বিচ্ছিন্নভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে নগর জুড়ে রিক্সা চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও কিন্তু ট্রেন এবং বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
হরতালকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর অর্ধশতাধিক স্পটে এক হাজার ৬৭৩ জন পুলিশ এবং এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতোয়েন আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
১৬ মার্চ নগরীর বাকলিয়ায় একটি বাড়িতে সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার ভাগ্নে মুন্নাকে ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তার আতœীয় স্বজন। এতে গুরুতর আহন হন মুন্না। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার রাত ১২টায় তিনি মারা যান। তার হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় জামায়াত। জামায়াতের ডাকা এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে নগরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কয়েক জায়গায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। আজ সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ নগরীর অর্ধশতাধিক পয়েন্টে দেড় হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments