চালচিত্র-এবার শুধু মহাজোট নয়, টার্গেট কি গোটা গণপ্রজাতন্ত্রই! by শুভ রহমান

চারদিকের অবস্থাদৃষ্টে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, এবার শুধু আওয়ামী লীগ তথা শাসক মহাজোটের বিরুদ্ধেই নয়, পুরো গণপ্রজাতন্ত্রকেই উৎখাত করে আবার পুরনো ধারা, পুরনো বিধিবিধান, পুরনো ঘুণে ধরা ধর্মীয় রাষ্ট্র-কাঠামো বহাল করার একটা ষড়যন্ত্রই ভেতরে ভেতরে পাকিয়ে উঠছে।

তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র ইস্যুবিহীন ও অহেতুক স্থিতিশীলতা ধ্বংসকারী সব হরতাল, বিক্ষোভ, গণ-অনশন করা হচ্ছে। সূচনাটা করেছে একটানা সংসদ বর্জনকারী প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার অনুষঙ্গী (কালের কণ্ঠের ভাষায়, তার ঘাড়ে সওয়ার) মৌলবাদী ও যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত। তার সঙ্গে নাকি এক ডজন ছোট ছোট তথাকথিত ইসলামী দলও এসে জুটেছে, যদিও তাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করতে দেখা যায় কয়েকটি অপেক্ষাকৃত বড় ইসলামী সংগঠনকেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে স্পেন গণপ্রজাতন্ত্রকে যেভাবে ফ্যাসিস্ট একনায়ক ফ্রাঙ্কোর আগ্রাসন ঘটিয়ে তাকে হিটলার-মুসোলিনি বাইরে থেকে সামরিক মদদ জুগিয়ে স্পেনে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, এখনকার একমেরু বিশ্বে অবস্থা সে রকম হওয়ার নয়। তার চেয়েও অনেক বেশি হতাশাজনক ও জটিল আকার ধারণ করেছে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি। আজকে প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বীহীনভাবেই একক পরাশক্তি ইরাক, আফগানিস্তানের পর গোটা মধ্যপ্রাচ্যে কোথাও আপাত-রাজতন্ত্র ও স্বৈরশাসনবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানকে মদদ দিয়ে এবং নিজস্ব পেটোয়া সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে, কোথাওবা সদ্যস্বাধীন দক্ষিণ সুদানের মতো দেশকে উপরসা স্বাধীনতা দিয়েই নিজের একচ্ছত্র কব্জা সুদৃঢ় করার নবতর খেলায় মেতেছে।
এখানে, বাংলাদেশে, এখন পর্যন্ত পাশ্চাত্যের বৃহৎ লগি্ন পুঁজির অতটা সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় মহাজোটের পপুলার গভর্নমেন্টকে তার মাঝপথেই বৈরী শক্তিকে একজোট করে থামিয়ে এবং হটিয়ে দিয়ে আবার কার্যত পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার এক রকম মরিয়া একটা খেলাই শুরু হয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে পাশ্চাত্য দেশগুলোর একান্ত সাক্ষাৎ, কোনো কারণ থাকুক না থাকুক ক্রমাগত হরতাল ডেকে তাকে ধাপে ধাপে ২৪, ৩০, ৩৬, ৪৮ ঘণ্টার উচ্চগ্রামে নিয়ে যাওয়া এবং তারপর এই ১৩ তারিখের গণ-অনশনের মতো একটা বড় রকম মবিলাইজেশন করে ক্ষমতা দখলের বৃহত্তর কর্মসূচি ছেড়ে দেওয়ার বেশ আটঘাট-বাঁধা পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে। এসব দিয়ে ক্ষমতা দখলের কতটা কী হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, কেননা এখন পর্যন্ত ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান কিংবা নব্বইয়ের স্বৈরশাসন উৎখাতের মতো গোটা অবস্থাটাকে এককেন্দ্রিক ও এক দফার আন্দোলনে উন্নীত করার কথা মুখে বলা হলেও বাস্তবে তার অপরিহার্য শর্ত যে ব্যাপক জনসমষ্টির সমর্থন, সেটাই এখন পর্যন্ত এসবের পেছনে সমবিষ্ট করার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী ও ইসলামী দলগুলোর তৎপরতায় ব্যাপক জনসমষ্টি কোনো কোনো ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু সায় দিয়েছে ঠিক, তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনকে যেমন একদিকে মানুষ প্রত্যাখ্যানই করেছে, তেমনি অন্যদিকে শাসক মহাজোটের বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রম মানুষ সমর্থনই করছে। সেগুলো হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) ও তার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, দুই-একটি বিষয় বাদে বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনায় ফিরে যাওয়া প্রভৃতি ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড। তার পরও সরকারের ব্যর্থতার সীমা নেই, সরকার ব্যর্থ হচ্ছে রমজানের আগে রোজাদারদের দুশ্চিন্তা লাঘব করার মতো ছোলা, তেল ইত্যাদির দাম কমানো নিশ্চিত করতে, ব্যর্থ হচ্ছে খুন-খারাবি, ছিনতাই ইত্যাদি শক্ত হাতে দমন করে আইনশৃঙ্খলার স্বস্তিদায়ক উন্নতি ঘটাতে, ব্যর্থ হচ্ছে সাধারণভাবে শাকসবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম, পরিবহন ব্যয়, বাড়ি ভাড়ার ক্রম ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরে বাজার নিম্নমুখী ও স্থিতিশীল করতে। ব্যর্থ হচ্ছে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য ও সীমান্তবিরোধ দূর করতে, তিস্তাসহ বিভিন্ন অভিন্ন নদীর পানি সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান করতে, জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ট্রানজিটের প্রবর্তন করে বৃহৎ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাঞ্ছিত সুসম্পর্ক বজায় রাখতে, ইত্যাদি অনেক রকম ব্যর্থতার অভিযোগই আড়াই বছরের মহাজোট সরকারকে ঘিরে বিরোধী বৈরী শক্তিগুলোর মধ্য থেকে উত্থাপিত হচ্ছে। বস্তুত বিরোধী দলের সব দাবিই সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারত এবং মানুষ তাতে সায় দিয়ে হয়তো সত্যি সত্যিই একটা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতেও সংগঠিতও হতে পারত, যদি বিরোধী দল ও তাদের অনুসারীদের স্ট্র্যাটেজি যুক্তিসংগত ও বিজ্ঞানসম্মত হতো। তারা নেপথ্যের ষড়যন্ত্রে যতটা বিশ্বাসী হয়ে এসব দাবি উত্থাপন করছে, তার চেয়ে যদি জনগণের প্রতি আস্থা স্থাপন, সংসদে গিয়ে নিজেদের নৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করা কিংবা হরতাল, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াওয়ের বদলে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ গ্রহণ করে সমস্যা সমাধানের গঠনমূলক প্রচেষ্টা চালাতে পারত, তাহলে রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি লাভবান হতো। কিন্তু কেন জানি তারা ক্রমাগত ভুল স্ট্র্যাটেজিই আঁকড়ে ধরে থাকছে, ভুল নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক পথ গ্রহণকেই শ্রেয় মনে করছে। সদ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্য দিয়ে সূচিত উপমহাদেশ ও গোটা বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় সুস্থ এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি, শিষ্টাচার, দেশ পরিচালনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ_এসবের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।
আমরা জানি না, এভাবে বিরোধী ও ইসলামী দলগুলোর ভ্রান্ত রাজনৈতিক ক্রুসেড কোথায় গিয়ে ক্ষান্ত হবে এবং আদৌ দেশে একটি সুস্থ ও জনগণের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ ফিরে আসবে কি না।
ইতিমধ্যে বরং খুব ক্ষুদ্র আকারে হলেও পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক অত্যন্ত উদ্বেগজনক খবরে নেপথ্যের এক বড় রকম ষড়যন্ত্রের আভাসই পাওয়া গেল। হরতাল, বিক্ষোভ, অনশন প্রভৃতি আপাত নেতিবাচক সব কার্যক্রমের আড়ালে তাহলে বড় রকম সর্বনাশা কোনো ষড়যন্ত্রের নেটওয়ার্কই গড়ে তোলা হচ্ছে কি না, খবরটি এখানে সে প্রশ্নই মানুষের মনে উচ্চকিত করে তুলেছে। খবরটির শিরোনাম হচ্ছে, 'পুরনো ঢাকা থেকে জামায়াত নেতাসহ সাত শিক্ষক গ্রেপ্তার'। এর বিবরণীতে যা বলা হয়েছে, সংক্ষেপে তা হলো, পুরান ঢাকার সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেনে (তার মানে, লায়ন সিনেমা হলের গলিতে) একটি স্কুলে গত শনিবার দুপুরে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিভিন্ন পোস্টার, এ সংক্রান্ত নানা ধরনের বই, নারীনীতিসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তবিরোধী বিপুল পরিমাণ উসকানিমূলক লিফলেট, চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করেছে এবং স্কুলের অধ্যক্ষ ও সাত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। অধ্যক্ষ নাকি স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতা। স্কুলটিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, খবরটি ছোট হলেও ধোঁয়ার কুণ্ডলী নির্গত হওয়ার মতো নেপথ্যে বিরাজমান বিরাট এক ষড়যন্ত্রের অগি্নকুণ্ডের ইঙ্গিতবহ। বস্তুত, অতীতে পুরান ঢাকাসহ দেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন সময়েই পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন, পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান ও বক্তব্য রাখা, এসব বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে সেসবের আর বিস্তার ঘটতে পারেনি। বিশেষ বিশেষ সময়ে দেশ যখন হরতাল, বিক্ষোভ, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদির কারণে অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হয়, তখনই যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে এহেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
সাধারণত দেশে সুস্থ ও গঠনমূলক এবং জনসমর্থনপুষ্ট ইতিবাচক আন্দোলন পরিচালিত হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো দূরের কথা, বরং চুরি, ডাকাতি, খুন-খারাবি, ঘুষ, দুর্নীতি এসব হ্রাস পেতেই দেখা যায়। অতীতে ১৯৫২, '৬২, '৬৩, '৬৬, '৬৯ ও নব্বইয়ের গণসংগ্রামের সময় এ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা গেছে। জনমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সব অপরাধমূলক তৎপরতা রোধ করে এবং তার হার লক্ষণীয়ভাবেই হ্রাস পায়। কিন্তু দেশে অসুস্থ ও অরাজক আন্দোলন-সংগ্রাম হতে শুরু করলে দেখা যায়, খুন-খারাবি, নারী ধর্ষণ, লুটপাট, নৈরাজ্য যেন সমাজকে গ্রাস করতেই উদ্যত হয়। এখন যেন সে রকমই শুরু হয়েছে। ভিকারুননিসা স্কুলে শিক্ষার্থী ধর্ষণের উদ্বেগজনক ঘটনা, বাসে ধড়, রাস্তায় ছিন্ন মস্তক পাওয়া, হরতাল চলার মধ্যেই রাজধানীর প্রকাশ্য এলাকায় ব্যাংকে টাকা জমাদানকারীদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে ২০ লাখ টাকা লুট করে নেওয়া, টুঙ্গিপাড়ায় শ্রেণীকক্ষে বসা নিয়ে সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হওয়া, স্বামীর বর্বরতায় স্ত্রীর চোখ উৎপাটন, ড্রাইভারের বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন গাড়ি চালনায় চট্টগ্রাম-মিরসরাই রোডে প্রায় অর্ধশত শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটার মহা শোকাবহ ঘটনা, এ রকম অচিন্তনীয় সব নৃশংস অনাচার, উচ্ছৃঙ্খলতা, মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের দৃষ্টান্তে সমাজ ভরে উঠছে।
দেশে রাজনীতি সুস্থ ও সঠিক খাতে পরিচালিত করতে না পারলে সমাজে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা ক্রমেই বেড়েই চলবে এবং সরকারের নারীনীতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, ধর্মীয় অনুভূতিকে আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যে সংবিধানের সংশোধনীতে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিধান সংযোজনের আপসমূলক ও আত্মঘাতী কার্যক্রম_সবই দুর্ভাগ্যজনক পরিণতিই ডেকে আনবে এবং দেশ দ্রুত নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত হতে থাকবে। অথচ শান্তিপূর্ণ ও সার্বিক আলোচনা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে এসব সম্পন্ন করা গেলে দেশ এর দরুন পরিশেষে লাভবানই হতে পারত।
নিছক ভোটের রাজনীতির স্বার্থে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে মহাজোট সরকারের আপসের নীতি বস্তুত ইসলামী ফ্যানাটিক শক্তির ফুসফুসে হাওয়া দিচ্ছে এবং বিএনপির মতো সংসদ বর্জনকারী দায়িত্বজ্ঞানহীন দলের উসকানিতে তারা ৩০ ঘণ্টা হরতাল ও ফতুল্লা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে লাঠিসোঁটা, দা, ছোরা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার আস্পর্ধাও দেখাতে পেরেছে। এসবের পেছনেই যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানো, তারেক-কোকোর অবৈধ কার্যকলাপের শাস্তিকে রোখা, দেশকে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে হটিয়ে দিয়ে আবার সামরিক বা স্বৈরতান্ত্রিক বা একনায়কত্বমূলক শাসনের নিগড়ে বাঁধা, এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশ করে জামায়াত-শিবিরের সহায়তায় দেশে ধর্মীয় শাসনের নামে বাঙালির এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রকেই উৎখাত করার নেপথ্য নেটওয়ার্ক কাজ করছে, সেটা কোনো কষ্টকল্পনা নয়। ভরে উঠছে সোনার বাংলা ক্রমেই শ্মশানের শকুনি-গৃধিনীর ভয়াল চিৎকারে। বাংলার মাটি থেকে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে সব সচেতন নাগরিক এবং বাম গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেই মহাজোটের সঙ্গে মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের একান্ত জরুরি দাবি।
১২.৭.২০১১

No comments

Powered by Blogger.