বাস্তবতা পাচ্ছে আষাঢ়ে গল্প-মেট্রো রেল স্থাপনের কাজ দ্রুত শুরু হোক
আকাশ রেল আর পাতাল রেলের গল্প শুনতে শুনতে আমাদের শ্রবণযন্ত্র অনেকটাই ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছিল এই সব আষাঢ়ে গল্প। বিগত জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তো আমাদের সুপারসনিক ট্রেনের গল্পও শুনিয়েছিলেন।
যা হোক, অবশেষে আষাঢ় মাসে এসেই শুনতে পেলাম এত দিনের আষাঢ়ে গল্প এবার একটু একটু করে বাস্তব রূপ নিতে যাচ্ছে। জাপান সরকার ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের অর্থ জোগান দিতে রাজি হয়েছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন করে কিছু অংশের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হতে পারে। সব কিছু ঠিকঠাকমতো এগোলে বর্তমান সরকারের আমলেই উত্তরা থেকে পল্লবী, বিজয়সরণি হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার মেট্রো রেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং তা শেষ হবে ২০১৮ সাল নাগাদ।
ঢাকায় প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে এবং তাদের চলাচলের প্রয়োজনে বাড়ছে নানারকম যানবাহনের সংখ্যা। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে যানজটের দুর্বিষহ চিত্র। আবার অপরিকল্পিতভাবে শহরের মাঝখানে প্রচুর কলকারখানা গড়ে ওঠায় বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ফলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের কোটি কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে কেবল যানজটে আটকে থেকে। অনেক মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে পেঁৗছানোর আগেই যানজটে আটকে থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন। কারো পক্ষেই এখন বলা সম্ভব নয়, তিনি কখন গন্তব্যে পেঁৗছাবেন। এ অবস্থা জাতীয় সমৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথেও একটি প্রধান বাধা। সবাই সেটা স্বীকার করলেও এতদিন আষাঢ়ে গল্প শোনানো ছাড়া বাস্তব উদ্যোগ তেমন কিছু দেখা যায়নি। একই ঘটনা ঘটেছিল পদ্মা সেতু এবং কুড়িল থেকে গুলিস্তান হয়ে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের ক্ষেত্রেও। যাহোক, মন্দের ভালো মহাজোট সরকারের সময় এসে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজও অনেক দূর এগিয়েছে। পদ্মা সেতুর ব্যাপারেও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মেট্রো রেলের ব্যাপারেও আশা করার মতো কিছু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকার এ জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
রাজধানীর ভয়াবহ যানজট নিরসনের লক্ষে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায়ও (এসটিপি) তিনটি রুটে মেট্রো রেল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সরকারের আমলেই এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান সরকারই এ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এগোনোর গতি খুবই ধীর। এর মধ্যে বিজয়সরণি দিয়ে মেট্রো রেল স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকেও আপত্তি জানানো হয়েছে। আমরা আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে অতি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে। দেড় কোটি মানুষের এ শহরে যানজটের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি, সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্পের কাজকে এগিয়ে নিতে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন_এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ঢাকায় প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে এবং তাদের চলাচলের প্রয়োজনে বাড়ছে নানারকম যানবাহনের সংখ্যা। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে যানজটের দুর্বিষহ চিত্র। আবার অপরিকল্পিতভাবে শহরের মাঝখানে প্রচুর কলকারখানা গড়ে ওঠায় বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ফলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের কোটি কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে কেবল যানজটে আটকে থেকে। অনেক মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে পেঁৗছানোর আগেই যানজটে আটকে থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন। কারো পক্ষেই এখন বলা সম্ভব নয়, তিনি কখন গন্তব্যে পেঁৗছাবেন। এ অবস্থা জাতীয় সমৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথেও একটি প্রধান বাধা। সবাই সেটা স্বীকার করলেও এতদিন আষাঢ়ে গল্প শোনানো ছাড়া বাস্তব উদ্যোগ তেমন কিছু দেখা যায়নি। একই ঘটনা ঘটেছিল পদ্মা সেতু এবং কুড়িল থেকে গুলিস্তান হয়ে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের ক্ষেত্রেও। যাহোক, মন্দের ভালো মহাজোট সরকারের সময় এসে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজও অনেক দূর এগিয়েছে। পদ্মা সেতুর ব্যাপারেও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মেট্রো রেলের ব্যাপারেও আশা করার মতো কিছু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকার এ জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
রাজধানীর ভয়াবহ যানজট নিরসনের লক্ষে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায়ও (এসটিপি) তিনটি রুটে মেট্রো রেল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সরকারের আমলেই এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান সরকারই এ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এগোনোর গতি খুবই ধীর। এর মধ্যে বিজয়সরণি দিয়ে মেট্রো রেল স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকেও আপত্তি জানানো হয়েছে। আমরা আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে অতি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে। দেড় কোটি মানুষের এ শহরে যানজটের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি, সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্পের কাজকে এগিয়ে নিতে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন_এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments