বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লাখনি বন্দোবস্ত নেবে কোলবাংলা by অরুণ কর্মকার
সরকার ‘কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি’ সংক্ষেপে ‘কোলবাংলা’ নামের একটি নতুন কোম্পানি গঠন করেছে। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে এ কোম্পানি। ইতিমধ্যে কোম্পানির প্রথম বোর্ড সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা আমদানির পাশাপাশি দেশের কয়লাখনি লিজ নেবে। পরে কোম্পানি বিদেশেও কয়লাখনি লিজ নিতে পারে।
কোম্পানির সূত্র জানায়, দেশের কয়লাখনির ক্ষেত্রে তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, খনি লিজ নিয়ে কোনো বিশেষজ্ঞ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কিংবা ঠিকাদার নিয়োগ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা তোলা।
সরকারি খাতের নতুন এই কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যানকে। বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন অর্থ, পরিবেশ ও বন, নৌপরিবহন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে একাধারে পিডিবি ও কোলবাংলার চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, কয়লাখনি লিজ নেওয়ার ব্যাপারে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মৌখিক কথাবার্তা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে তাঁরা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিতভাবে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনায় সরকার বিপুল পরিমাণ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে একক জ্বালানিনির্ভরতার বিপদ থেকে বের হয়ে আসা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্যাসের পরই অপেক্ষাকৃত কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৬ সাল নাগাদ সাত হাজার এবং ২০৩০ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রে, যা উভয় ক্ষেত্রেই মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি। দেশের বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিমত হচ্ছে, দেশের খনি থেকে কয়লা উত্তোলন পরিমিত রেখে শুধু আমদানি করে এ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ জানুয়ারি প্রকৌশলীদের এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন, দেশের খনি থেকে কয়লা না তুলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জমা রাখা হবে। আর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা কয়লা দিয়ে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
একাধিক বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা কার্যকর করতে হলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনাই ঢেলে সাজাতে হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারি পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। উপরন্তু নবগঠিত কোলবাংলা সরকারের সবুজ সংকেত অনুযায়ীই খনি লিজ নিয়ে কয়লা তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও বলা হয়েছিল, ‘এযাবৎ প্রাপ্ত কয়লার অর্থনৈতিক ব্যবহার এবং কয়লাভিত্তিক শিল্প নির্মাণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
কোম্পানির সূত্র জানায়, দেশের কয়লাখনির ক্ষেত্রে তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, খনি লিজ নিয়ে কোনো বিশেষজ্ঞ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কিংবা ঠিকাদার নিয়োগ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা তোলা।
সরকারি খাতের নতুন এই কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যানকে। বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন অর্থ, পরিবেশ ও বন, নৌপরিবহন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে একাধারে পিডিবি ও কোলবাংলার চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, কয়লাখনি লিজ নেওয়ার ব্যাপারে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মৌখিক কথাবার্তা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে তাঁরা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিতভাবে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনায় সরকার বিপুল পরিমাণ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে একক জ্বালানিনির্ভরতার বিপদ থেকে বের হয়ে আসা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্যাসের পরই অপেক্ষাকৃত কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৬ সাল নাগাদ সাত হাজার এবং ২০৩০ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রে, যা উভয় ক্ষেত্রেই মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি। দেশের বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিমত হচ্ছে, দেশের খনি থেকে কয়লা উত্তোলন পরিমিত রেখে শুধু আমদানি করে এ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ জানুয়ারি প্রকৌশলীদের এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন, দেশের খনি থেকে কয়লা না তুলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জমা রাখা হবে। আর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা কয়লা দিয়ে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
একাধিক বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা কার্যকর করতে হলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনাই ঢেলে সাজাতে হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারি পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। উপরন্তু নবগঠিত কোলবাংলা সরকারের সবুজ সংকেত অনুযায়ীই খনি লিজ নিয়ে কয়লা তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও বলা হয়েছিল, ‘এযাবৎ প্রাপ্ত কয়লার অর্থনৈতিক ব্যবহার এবং কয়লাভিত্তিক শিল্প নির্মাণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
No comments