সংবিধান সংস্কারের পক্ষে রায় দিলেন মরক্কোর জনগণ
মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদের একচ্ছত্র ক্ষমতা কমানো নিয়ে আয়োজিত গণভোটে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন দেশটির জনগণ। গত শুক্রবার সেখানে খসড়া সংবিধান অনুমোদনের জন্য গণভোট হয়।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তায়েব চেরকাউয়ি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভোটের ফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। এর মধ্যে প্রায় ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার দেশে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। চেরকাউয়ি জানান, গণভোটে তরুণ ভোটাররা দারুণ সাড়া দিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন এমন ভোটারের শতকরা ৩০ ভাগেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
গতকাল মরক্কোর স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ওই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে। ভোটের জন্য দেশটির প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হন। আরব বিশ্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
তিউনিসিয়া ও মিসরে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর মরক্কোতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাদশাহ মোহাম্মদ তাঁর কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে গত মাসে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন।
খসড়া সংবিধান অনুসারে পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রধান দল থেকে প্রধানমন্ত্রী বাছাই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন মরক্কো সরকারের প্রধান। সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাদশাহই রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন। তাঁর হাতেই সেনাবাহিনী, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও বিচার বিভাগ থাকবে।
মরক্কোর প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল, ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় নেতা ও সংবাদমাধ্যমগুলো খসড়া সংবিধানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে গণতন্ত্রের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া মূলত তরুণদের সংগঠন ফেব্রুয়ারি ২০ মুভমেন্ট গণভোটের নিন্দা জানিয়েছে। এই মুভমেন্টের অন্যতম নেতা নাজিব চায়োউকি বলেন, ‘এই গণভোট অবৈধ। কারণ, এতে গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলো লঙ্ঘিত হয়েছে।’ তিনি জানান, এর প্রতিবাদে তাঁরা আজ রোববার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
মরক্কোয় গণভোটের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শান্তিপূর্ণভাবে গণভোট আয়োজনের জন্য মরক্কোর জনগণ ও নেতৃত্বের প্রতি অভিনন্দন।
আরব দেশ মরক্কোয় রাজতন্ত্র চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। ১৯৯৯ সালে ষষ্ঠ মোহাম্মদ বাদশাহ হন। গত ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থা ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভ চলে। এরপর মোহাম্মদ রাজনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দেন।
বাদশাহ মোহাম্মদের ১২ বছরের শাসনে এটাই প্রথম গণভোট। তিনি এ সংস্কার উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেন।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তায়েব চেরকাউয়ি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভোটের ফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। এর মধ্যে প্রায় ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার দেশে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। চেরকাউয়ি জানান, গণভোটে তরুণ ভোটাররা দারুণ সাড়া দিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন এমন ভোটারের শতকরা ৩০ ভাগেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
গতকাল মরক্কোর স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ওই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে। ভোটের জন্য দেশটির প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হন। আরব বিশ্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
তিউনিসিয়া ও মিসরে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর মরক্কোতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাদশাহ মোহাম্মদ তাঁর কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে গত মাসে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন।
খসড়া সংবিধান অনুসারে পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রধান দল থেকে প্রধানমন্ত্রী বাছাই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন মরক্কো সরকারের প্রধান। সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাদশাহই রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন। তাঁর হাতেই সেনাবাহিনী, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও বিচার বিভাগ থাকবে।
মরক্কোর প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল, ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় নেতা ও সংবাদমাধ্যমগুলো খসড়া সংবিধানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে গণতন্ত্রের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া মূলত তরুণদের সংগঠন ফেব্রুয়ারি ২০ মুভমেন্ট গণভোটের নিন্দা জানিয়েছে। এই মুভমেন্টের অন্যতম নেতা নাজিব চায়োউকি বলেন, ‘এই গণভোট অবৈধ। কারণ, এতে গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলো লঙ্ঘিত হয়েছে।’ তিনি জানান, এর প্রতিবাদে তাঁরা আজ রোববার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
মরক্কোয় গণভোটের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শান্তিপূর্ণভাবে গণভোট আয়োজনের জন্য মরক্কোর জনগণ ও নেতৃত্বের প্রতি অভিনন্দন।
আরব দেশ মরক্কোয় রাজতন্ত্র চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। ১৯৯৯ সালে ষষ্ঠ মোহাম্মদ বাদশাহ হন। গত ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থা ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভ চলে। এরপর মোহাম্মদ রাজনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দেন।
বাদশাহ মোহাম্মদের ১২ বছরের শাসনে এটাই প্রথম গণভোট। তিনি এ সংস্কার উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেন।
No comments