ভুয়া ভোটার বাতিল চেয়ে সালিসি বোর্ডে আবেদন
দিনাজপুর চেম্বারের নির্বাচন ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটার তালিকায় অসংখ্য ভুয়া ভোটার রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। আর এসব ভুয়া ভোটার বাতিল করার জন্য নির্বাচনী আপিল বোর্ডে আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু আপিল বোর্ড ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সালিসি বোর্ডে আবেদন করেছেন। গত ২৩ জুন দিনাজপুরের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়েছে।
দিনাজপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামসহ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, এক চরম ও লজ্জাজনক ও অরাজকতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন চেম্বারের বর্তমান সভাপতি নূরুল মঈন মিনু। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের ঐক্য ধ্বংস হয়ে গেছে। আসন্ন নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে চেম্বার সভাপতি শহরের অত্যন্ত নামকরা তিনজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। তা ছাড়া নিজের পছন্দমতো নির্বাচনী ও আপিল বোর্ডও গঠন করেছেন।
তবে নূরুল মঈন মিনু ওই অভিযোগ অস্বীকার করে গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জেলা প্রশাসন। ওই ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমদানিকারক হিসেবে ১৫৯ জন ব্যক্তির বাণিজ্যিক সনদ (ট্রেড লাইসেন্স) নিয়ে চেম্বারের সদস্য করেছেন। অথচ ওই ইউনিয়নে একজন আমদানিকারকের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের অধিবাসী হিসেবে আরও ৩২ জন বাণিজ্যিক সনদ নিয়ে চেম্বারের সদস্য হয়েছেন। ওই এলাকায় যাঁদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি জানান, এসব অস্তিত্বহীন ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি করে সব তথ্য-প্রমাণসহ নির্বাচনী আপিল বোর্ডে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আপিল বোর্ড গত ২৩ জুন এক আদেশে তাঁদের সদস্যপদ বহাল রেখেছেন।
অন্যদিকে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই ৩২ জন সদস্য যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেই বাঁশেরহাট এলাকায় ওই নাম ও টিআইএন নম্বরে কোনো ব্যবসায়ীকে পাওয়া যায়নি।
চেম্বারের সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, খসড়া ভোটার তালিকায় একই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ২০ পরিচালক চেম্বারের ভোটার হয়েছে। এ ছাড়া একই টিন নম্বরে দেখিয়ে ১৭ জন ভোটার হয়েছেন। এ ছাড়া আরও আটজন ভুয়া টিআইএন ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে দেওয়ার জন্য তথ্য-প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী আপিল বোর্ড এ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচনী আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ বলেন, ‘আপিল বোর্ডের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তা ছাড়া কাগজের খুঁটিনাটি দেখার সময় ছিল না। ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স, টিন নম্বরসহ মূল কাগজ আছে কি না, আমরা তা আমলে নিয়েছি। কিন্তু ওই সব কাগজ আসল না নকল তা দেখার প্রয়োজন বা সময় কোনোটাই আপিল বোর্ডের ছিল না।’ এসব কারণে আপিল বোর্ড কোনো সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করেনি বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সালিসি বোর্ডে আবেদন করেছেন। গত ২৩ জুন দিনাজপুরের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়েছে।
দিনাজপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামসহ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, এক চরম ও লজ্জাজনক ও অরাজকতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন চেম্বারের বর্তমান সভাপতি নূরুল মঈন মিনু। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের ঐক্য ধ্বংস হয়ে গেছে। আসন্ন নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে চেম্বার সভাপতি শহরের অত্যন্ত নামকরা তিনজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। তা ছাড়া নিজের পছন্দমতো নির্বাচনী ও আপিল বোর্ডও গঠন করেছেন।
তবে নূরুল মঈন মিনু ওই অভিযোগ অস্বীকার করে গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জেলা প্রশাসন। ওই ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমদানিকারক হিসেবে ১৫৯ জন ব্যক্তির বাণিজ্যিক সনদ (ট্রেড লাইসেন্স) নিয়ে চেম্বারের সদস্য করেছেন। অথচ ওই ইউনিয়নে একজন আমদানিকারকের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের অধিবাসী হিসেবে আরও ৩২ জন বাণিজ্যিক সনদ নিয়ে চেম্বারের সদস্য হয়েছেন। ওই এলাকায় যাঁদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি জানান, এসব অস্তিত্বহীন ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি করে সব তথ্য-প্রমাণসহ নির্বাচনী আপিল বোর্ডে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আপিল বোর্ড গত ২৩ জুন এক আদেশে তাঁদের সদস্যপদ বহাল রেখেছেন।
অন্যদিকে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই ৩২ জন সদস্য যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেই বাঁশেরহাট এলাকায় ওই নাম ও টিআইএন নম্বরে কোনো ব্যবসায়ীকে পাওয়া যায়নি।
চেম্বারের সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, খসড়া ভোটার তালিকায় একই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ২০ পরিচালক চেম্বারের ভোটার হয়েছে। এ ছাড়া একই টিন নম্বরে দেখিয়ে ১৭ জন ভোটার হয়েছেন। এ ছাড়া আরও আটজন ভুয়া টিআইএন ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে দেওয়ার জন্য তথ্য-প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী আপিল বোর্ড এ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচনী আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ বলেন, ‘আপিল বোর্ডের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তা ছাড়া কাগজের খুঁটিনাটি দেখার সময় ছিল না। ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স, টিন নম্বরসহ মূল কাগজ আছে কি না, আমরা তা আমলে নিয়েছি। কিন্তু ওই সব কাগজ আসল না নকল তা দেখার প্রয়োজন বা সময় কোনোটাই আপিল বোর্ডের ছিল না।’ এসব কারণে আপিল বোর্ড কোনো সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করেনি বলে তিনি জানান।
No comments