১৮ বছর পর...
প্রিয় ছাত্রকে উপহার হিসেবে দুটি বই দিয়েছিলেন ইংরেজির শিক্ষক। ছাত্র বই দুটি খুলেও দেখেনি। রেখে দিয়েছিল তাকে। ভেতরে যে শিশুমনের পরম আকাঙ্ক্ষার কিছু থাকতে পারে, তা মাথায় খেলেনি। ১৮ বছর পর যখন ওই ছাত্রের স্ত্রী তাক গোছাতে গেলেন, বই খুললেন, অমনি চক্ষুস্থির! বইয়ের ভেতর শিক্ষকের হূদয়-নিংড়ানো স্নেহ হিসেবে সাজানো রয়েছে ছয়টি চকলেট বার।
যুক্তরাজ্যের সারে এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সম্প্রতি বিবিসির অ্যান্টিকস রোড শো চলাকালে সেই ছাত্র মার্ক জেমসের (৫৫) স্ত্রী আলেক্সান্ড্রা (৫৩) সবার সামনে বইয়ের ভেতর সাজানো বহু বছর আগের চকলেটগুলো তুলে ধরেন।
মার্ক জেমস তখন ১১ বছরের শিশু। সারের ফার্নহামে এজবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তেন। সেখানে ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন স্টিভেন বেইনস। প্রিয় ছাত্র জেমসকে তিনি ‘দ্য আইল্যান্ড সিক্রেট’ ও ‘মার্ট অব নেশন’ নামের দুটি বই উপহার দেন। বই দুটি এমনভাবে বাঁধা ছিল যে ভেতরের পাতাগুলো সরিয়ে বিভিন্ন ধরন ও স্বাদের ছয়টি চকলেট বার রয়েছে, তা বোঝার উপায় ছিল না। বই দুটি তেমন আকর্ষণীয় মনে না হওয়ায় সেগুলো একটি তাকের ওপর রেখে দেন তিনি। তারপর কেটে গেছে বহু বছর।
এরই মধ্যে জেমস বড় হয়েছেন, বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। পেরিয়ে গেছে ১৮ বছর। বই রয়ে গেছে বইয়ের জায়গায়। ১৯৮৫ সালের দিকে জেমসের স্ত্রী বইয়ের ভেতর চকলেট আবিষ্কার করেন। কিন্তু পরে বইটি কোথায় রাখেন, সে জায়গার কথা বেমালুম ভুলে যান। গত বছর অন্য বাড়িতে জিনিস সরিয়ে নেওয়ার সময় চকলেটসহ বইয়ের দেখা মেলে।
ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকাকে আলেক্সান্ড্রা বলেন, তিনি ঠিকানা খুঁজে ওই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন। চকলেটসহ বইগুলো দেখালে তিনি পুরোনো দিনের স্মৃতি আওড়ে বলেন, ‘চকলেট পেয়ে ও আমাকে ধন্যবাদ জানাবে, এ জন্য অনেক অপেক্ষা করেছি। এখন বুঝতে পারছি কেন ও আমাকে ধন্যবাদ জানায়নি।
যুক্তরাজ্যের সারে এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সম্প্রতি বিবিসির অ্যান্টিকস রোড শো চলাকালে সেই ছাত্র মার্ক জেমসের (৫৫) স্ত্রী আলেক্সান্ড্রা (৫৩) সবার সামনে বইয়ের ভেতর সাজানো বহু বছর আগের চকলেটগুলো তুলে ধরেন।
মার্ক জেমস তখন ১১ বছরের শিশু। সারের ফার্নহামে এজবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তেন। সেখানে ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন স্টিভেন বেইনস। প্রিয় ছাত্র জেমসকে তিনি ‘দ্য আইল্যান্ড সিক্রেট’ ও ‘মার্ট অব নেশন’ নামের দুটি বই উপহার দেন। বই দুটি এমনভাবে বাঁধা ছিল যে ভেতরের পাতাগুলো সরিয়ে বিভিন্ন ধরন ও স্বাদের ছয়টি চকলেট বার রয়েছে, তা বোঝার উপায় ছিল না। বই দুটি তেমন আকর্ষণীয় মনে না হওয়ায় সেগুলো একটি তাকের ওপর রেখে দেন তিনি। তারপর কেটে গেছে বহু বছর।
এরই মধ্যে জেমস বড় হয়েছেন, বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। পেরিয়ে গেছে ১৮ বছর। বই রয়ে গেছে বইয়ের জায়গায়। ১৯৮৫ সালের দিকে জেমসের স্ত্রী বইয়ের ভেতর চকলেট আবিষ্কার করেন। কিন্তু পরে বইটি কোথায় রাখেন, সে জায়গার কথা বেমালুম ভুলে যান। গত বছর অন্য বাড়িতে জিনিস সরিয়ে নেওয়ার সময় চকলেটসহ বইয়ের দেখা মেলে।
ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকাকে আলেক্সান্ড্রা বলেন, তিনি ঠিকানা খুঁজে ওই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন। চকলেটসহ বইগুলো দেখালে তিনি পুরোনো দিনের স্মৃতি আওড়ে বলেন, ‘চকলেট পেয়ে ও আমাকে ধন্যবাদ জানাবে, এ জন্য অনেক অপেক্ষা করেছি। এখন বুঝতে পারছি কেন ও আমাকে ধন্যবাদ জানায়নি।
No comments