তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ-পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ
দেরিতে হলেও পুঁজিবাজারসংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন সরকার প্রকাশ করেছে এবং তদন্ত কমিটির অনেক সুপারিশ ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন, কিছু বিষয়ে অধিকতর তদন্ত ও এসইসি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুরুতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা নিয়ে সরকারের দ্বিধাদ্বন্দ্ব, সময়ক্ষেপণ ও কাটছাঁট করে প্রতিবেদন প্রকাশ করার ঘোষণা জনমনে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছিল। সরকার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে হুবহু তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাই এখন সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শেয়ারবাজারে ধস নামা ও বিপর্যয়ের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের দায়ী করা হয়েছে, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সরকার যদি সত্যিই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, তবে বিনিয়োগকারীরা অন্তত এই স্বস্তি পাবেন যে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপকর্ম করে পার পাবেন না। তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হোক অথবা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমেই হোক, সরকারকে কাজটি করতে হবে।
তবে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এসইসি) পুনর্গঠন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী গত শনিবার এসইসি পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা মনে করি, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পরিবর্তনের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবেই এসইসিকে পুনর্গঠন করা উচিত। প্রথমত, এসইসির চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগে যাতে কোনো ধরনের দলীয় বিবেচনা কাজ না করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যোগ্যতা ও দক্ষতাই হতে হবে এর মাপকাঠি।
দ্বিতীয়ত, এসইসির সামগ্রিক পুনর্গঠনের জন্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের পরিবর্তন ও রদবদলের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন নির্বাহীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। এর বাইরেও কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের সরিয়ে ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পদে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
তৃতীয়ত, এসইসিকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করতে হলে এর লোকবল বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই এবং সেই লোকবল হতে হবে যোগ্য ও দক্ষ। এসইসির কাজকর্মের ওপর বাইরে থেকে হস্তক্ষেপের পথ বন্ধ করতে হবে। এই উদ্যোগগুলো নেওয়া গেলে পুঁজিবাজারে আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টি পৃথক করা, পুঁজিবাজারের কর্মকাণ্ডে সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং বর্তমান আইনকানুনগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে সরকার পুঁজিবাজার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে পারে। এ ধরনের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা গেলে পুঁজিবাজার বিষয়ে সরকারের অবস্থানটি পরিষ্কার থাকবে। আমরা আশা করব, সরকার যেসব উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তা আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
শেয়ারবাজারে ধস নামা ও বিপর্যয়ের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের দায়ী করা হয়েছে, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সরকার যদি সত্যিই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, তবে বিনিয়োগকারীরা অন্তত এই স্বস্তি পাবেন যে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপকর্ম করে পার পাবেন না। তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হোক অথবা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমেই হোক, সরকারকে কাজটি করতে হবে।
তবে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এসইসি) পুনর্গঠন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী গত শনিবার এসইসি পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা মনে করি, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পরিবর্তনের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবেই এসইসিকে পুনর্গঠন করা উচিত। প্রথমত, এসইসির চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগে যাতে কোনো ধরনের দলীয় বিবেচনা কাজ না করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যোগ্যতা ও দক্ষতাই হতে হবে এর মাপকাঠি।
দ্বিতীয়ত, এসইসির সামগ্রিক পুনর্গঠনের জন্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের পরিবর্তন ও রদবদলের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন নির্বাহীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। এর বাইরেও কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের সরিয়ে ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পদে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
তৃতীয়ত, এসইসিকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করতে হলে এর লোকবল বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই এবং সেই লোকবল হতে হবে যোগ্য ও দক্ষ। এসইসির কাজকর্মের ওপর বাইরে থেকে হস্তক্ষেপের পথ বন্ধ করতে হবে। এই উদ্যোগগুলো নেওয়া গেলে পুঁজিবাজারে আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টি পৃথক করা, পুঁজিবাজারের কর্মকাণ্ডে সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং বর্তমান আইনকানুনগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে সরকার পুঁজিবাজার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে পারে। এ ধরনের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা গেলে পুঁজিবাজার বিষয়ে সরকারের অবস্থানটি পরিষ্কার থাকবে। আমরা আশা করব, সরকার যেসব উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তা আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
No comments