ন্যাটোর হামলায় গাদ্দাফির ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত
লিবিয়ায় ন্যাটোর বিমান হামলায় দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির এক ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাদ্দাফিকে হত্যা করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওই হামলা চালানো হয়। তবে তিনি অক্ষত আছেন।
ন্যাটোর হামলায় গাদ্দাফির ছেলে নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ইতালির দূতাবাস এবং ইতালি ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে হামলার সময় ভবনগুলোতে কেউ ছিল না।
লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম গত রোববার বলেন, পূর্ণ শক্তি নিয়ে গাদ্দাফির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ন্যাটো। তিনি বলেন, হামলায় সাইফ আল-আরব (২৯) ও গাদ্দাফির তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছে।
ইব্রাহিম বলেন, হামলার সময় গাদ্দাফি ও তাঁর স্ত্রী ওই ভবনে ছিলেন। তবে তাঁরা অক্ষত রয়েছেন। তিনি বলেন, ওই হামলা ছিল দেশের নেতাকে হত্যার জন্য একটি সরাসরি অভিযান। লিবিয়া সরকারের এই মুখপাত্র জানান, নিহত শিশুদের মধ্যে দুটি মেয়ে ও একটি ছেলেশিশু রয়েছে। একটি মেয়েশিশুর বয়স দুই ও অন্যটির চার মাস। ছেলেশিশুটির বয়স দুই বছর।
ইব্রাহিম বলেন, গাদ্দাফি ভালো আছেন; তিনি কোনো আঘাত পাননি। তাঁর স্ত্রীও ভালো আছেন; তিনিও কোনো আঘাত পাননি। তবে অন্য লোকজন আহত হয়েছে।
সরকারের এই মুখপাত্র বলেন, তাঁদের কাছে মনে হচ্ছে গাদ্দাফির অবস্থান-সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘তারা জানত, গাদ্দাফি এখানে আছেন অথবা তারা কোনো কারণে গাদ্দাফিকে সেখানে আশা করেছিল।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে মার্কিন বিমান হামলায় গাদ্দাফির পালিত মেয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এদিকে ত্রিপোলিতে নিজ নিজ মিশনে হামলার খবর নিশ্চিত করেছে রোম ও লন্ডন। হামলার জবাবে ব্রিটেনে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘আমি ত্রিপোলিতে ব্রিটিশ দূতাবাসসহ অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার নিন্দা করছি।’
হেগ আরও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী গাদ্দাফির সরকারকে ত্রিপোলিতে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। তা করতে ব্যর্থ হয়ে গাদ্দাফির সরকার আবারও নিজেদের আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাসে হামলার নিন্দা করেছেন।
ফেব্রুয়ারিতে সংঘাত শুরু হওয়ার সময় ব্রিটেনের দূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়। আর মার্চে ত্রিপোলিতে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ইতালি।
জাতিসংঘ কার্যালয়ে হামলার পর ত্রিপোলি থেকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সব কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ন্যাটোর বিমান হামলায় গাদ্দাফির ছেলে নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা জাতিসংঘের ভবন ও কয়েকটি বিদেশি দূতাবাসে হামলা চালায়।
জাতিসংঘ বলেছে, তাদের সব বিদেশি কর্মী তিউনিসিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
গত রোববার গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতা বন্দরে ভারী গোলা বর্ষণ করেছে। লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়, বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র খালাস বন্ধ করতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা বলেছে, হামলার সময় বন্দরে একটি জাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী খালাস করা হচ্ছিল। এএফপি ও বিবিসি।
গাদ্দাফিকেও বরণ করতে হবে লাদেনের ভাগ্য: মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকেও সেই ভাগ্য বরণ করতে হবে। গতকাল সোমবার লিবিয়ার বিদ্রোহীদের মুখপাত্র কর্নেল আহমেদ বানি এ কথা বলেন।
লাদেনের মৃত্যুর ঘটনায় মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি। এখন আমরা পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা চাই, মার্কিনরা গাদ্দাফিরও একই দশা করুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, লাদেন আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। তিনি আমাদেরও শত্রু।’ আল-কায়েদার সমর্থকেরা লিবিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছিল—তাদের কাছে প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন মুখপাত্র।
ন্যাটোর হামলায় গাদ্দাফির ছেলে নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ইতালির দূতাবাস এবং ইতালি ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে হামলার সময় ভবনগুলোতে কেউ ছিল না।
লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম গত রোববার বলেন, পূর্ণ শক্তি নিয়ে গাদ্দাফির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ন্যাটো। তিনি বলেন, হামলায় সাইফ আল-আরব (২৯) ও গাদ্দাফির তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছে।
ইব্রাহিম বলেন, হামলার সময় গাদ্দাফি ও তাঁর স্ত্রী ওই ভবনে ছিলেন। তবে তাঁরা অক্ষত রয়েছেন। তিনি বলেন, ওই হামলা ছিল দেশের নেতাকে হত্যার জন্য একটি সরাসরি অভিযান। লিবিয়া সরকারের এই মুখপাত্র জানান, নিহত শিশুদের মধ্যে দুটি মেয়ে ও একটি ছেলেশিশু রয়েছে। একটি মেয়েশিশুর বয়স দুই ও অন্যটির চার মাস। ছেলেশিশুটির বয়স দুই বছর।
ইব্রাহিম বলেন, গাদ্দাফি ভালো আছেন; তিনি কোনো আঘাত পাননি। তাঁর স্ত্রীও ভালো আছেন; তিনিও কোনো আঘাত পাননি। তবে অন্য লোকজন আহত হয়েছে।
সরকারের এই মুখপাত্র বলেন, তাঁদের কাছে মনে হচ্ছে গাদ্দাফির অবস্থান-সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘তারা জানত, গাদ্দাফি এখানে আছেন অথবা তারা কোনো কারণে গাদ্দাফিকে সেখানে আশা করেছিল।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে মার্কিন বিমান হামলায় গাদ্দাফির পালিত মেয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এদিকে ত্রিপোলিতে নিজ নিজ মিশনে হামলার খবর নিশ্চিত করেছে রোম ও লন্ডন। হামলার জবাবে ব্রিটেনে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘আমি ত্রিপোলিতে ব্রিটিশ দূতাবাসসহ অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার নিন্দা করছি।’
হেগ আরও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী গাদ্দাফির সরকারকে ত্রিপোলিতে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। তা করতে ব্যর্থ হয়ে গাদ্দাফির সরকার আবারও নিজেদের আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাসে হামলার নিন্দা করেছেন।
ফেব্রুয়ারিতে সংঘাত শুরু হওয়ার সময় ব্রিটেনের দূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়। আর মার্চে ত্রিপোলিতে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ইতালি।
জাতিসংঘ কার্যালয়ে হামলার পর ত্রিপোলি থেকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সব কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ন্যাটোর বিমান হামলায় গাদ্দাফির ছেলে নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা জাতিসংঘের ভবন ও কয়েকটি বিদেশি দূতাবাসে হামলা চালায়।
জাতিসংঘ বলেছে, তাদের সব বিদেশি কর্মী তিউনিসিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
গত রোববার গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতা বন্দরে ভারী গোলা বর্ষণ করেছে। লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়, বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র খালাস বন্ধ করতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা বলেছে, হামলার সময় বন্দরে একটি জাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী খালাস করা হচ্ছিল। এএফপি ও বিবিসি।
গাদ্দাফিকেও বরণ করতে হবে লাদেনের ভাগ্য: মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকেও সেই ভাগ্য বরণ করতে হবে। গতকাল সোমবার লিবিয়ার বিদ্রোহীদের মুখপাত্র কর্নেল আহমেদ বানি এ কথা বলেন।
লাদেনের মৃত্যুর ঘটনায় মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি। এখন আমরা পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা চাই, মার্কিনরা গাদ্দাফিরও একই দশা করুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, লাদেন আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। তিনি আমাদেরও শত্রু।’ আল-কায়েদার সমর্থকেরা লিবিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছিল—তাদের কাছে প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন মুখপাত্র।
No comments