লাদেনের উত্তরসূরি হচ্ছেন জাওয়াহিরি?
আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর তাঁর উত্তরসূরি হতে পারেন সংগঠনটির দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় নেতা আইমান আল-জাওয়াহিরি। তবে আল-কায়েদা এখনো এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাওয়াহিরি বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। আবার অনেক বিশ্লেষক তাঁকে আল-কায়েদার মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এ ছাড়া তাঁকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
টুইন টাওয়ারে ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অভিযান শুরুর পর থেকে লাদেন পলাতক ছিলেন। এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে জওয়াহিরি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে আসছেন। ফলে তিনি সংগঠনের পরিচিত মুখ হিসেবে আবির্ভূত হন।
২০০৮ সালে জওয়াহিরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গৃহপালিত নিগ্রো’ বলে অভিহিত করেন। ওবামাকে শেতাঙ্গদের অনুগত কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস হিসেবে বোঝানোর জন্য তিনি ওই অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করেন। এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
জাওয়াহিরি ১৯৫১ সালে মিসরের কায়রোতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন চিকিৎসক ও শল্যবিদ। ১৯৭৪ সালে মিসরের সবচেয়ে স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন জাওয়াহিরি। শল্যচিকিৎসায় তাঁর স্নাতক ডিগ্রিও রয়েছে। অধ্যয়ন শেষ হওয়ার পর তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮১ সালে মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত হত্যায় অংশ নেওয়া এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করেন। ওই সময় তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। এরপর অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি সৌদি আরব চলে আসেন। পরে তিনি পাকিস্তান ও আফগান সীমান্তে মিসরের ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের একটি অংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
আশির দশকের মাঝামাঝিতে জাওয়াহিরি ও বিন লাদেন আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের সমর্থনে পাকিস্তানের পেশওয়ারে মিলিত হন। ১৯৯৩ সালে জাওয়াহিরি মিসরের উগ্র ইসলামপন্থী সংগঠন জিহাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকার দুই নম্বরে জাওয়াহিরির নাম রয়েছে। এতে বিন লাদেনের নাম ছিল এক নম্বরে। জওয়াহিরি আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের দুর্গম এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাওয়াহিরি বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। আবার অনেক বিশ্লেষক তাঁকে আল-কায়েদার মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এ ছাড়া তাঁকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
টুইন টাওয়ারে ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অভিযান শুরুর পর থেকে লাদেন পলাতক ছিলেন। এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে জওয়াহিরি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে আসছেন। ফলে তিনি সংগঠনের পরিচিত মুখ হিসেবে আবির্ভূত হন।
২০০৮ সালে জওয়াহিরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গৃহপালিত নিগ্রো’ বলে অভিহিত করেন। ওবামাকে শেতাঙ্গদের অনুগত কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস হিসেবে বোঝানোর জন্য তিনি ওই অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করেন। এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
জাওয়াহিরি ১৯৫১ সালে মিসরের কায়রোতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন চিকিৎসক ও শল্যবিদ। ১৯৭৪ সালে মিসরের সবচেয়ে স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন জাওয়াহিরি। শল্যচিকিৎসায় তাঁর স্নাতক ডিগ্রিও রয়েছে। অধ্যয়ন শেষ হওয়ার পর তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮১ সালে মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত হত্যায় অংশ নেওয়া এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করেন। ওই সময় তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। এরপর অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি সৌদি আরব চলে আসেন। পরে তিনি পাকিস্তান ও আফগান সীমান্তে মিসরের ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের একটি অংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
আশির দশকের মাঝামাঝিতে জাওয়াহিরি ও বিন লাদেন আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের সমর্থনে পাকিস্তানের পেশওয়ারে মিলিত হন। ১৯৯৩ সালে জাওয়াহিরি মিসরের উগ্র ইসলামপন্থী সংগঠন জিহাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকার দুই নম্বরে জাওয়াহিরির নাম রয়েছে। এতে বিন লাদেনের নাম ছিল এক নম্বরে। জওয়াহিরি আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের দুর্গম এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments