ওসামা বিন লাদেনের উত্থান
ওসামা বিন লাদেনের জন্ম ১৯৫৭ সালে, সৌদি আরবের রিয়াদে। তাঁর বাবা মুহাম্মদ বিন লাদেন ছিলেন ধনবান ব্যক্তি। আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর ৫৪ সন্তানের মধ্যে ওসামা বিন লাদেন ছিলেন ১৭তম। ১৯৬৯ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় ওসামার বাবার মৃত্যু হয়। এ সময় ওসামার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। ওই বয়সেই আট কোটি ডলার মূল্যের
পৈতৃক সম্পত্তি পান তিনি। পরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে জেদ্দায় পাড়ি জমান ওসামা। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা শিক্ষকতা করতেন।
ওসামা তাঁর ১৭ বছর বয়সে দূরসম্পর্কের এক সিরীয় বোনকে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর আরও অন্তত চার নারীকে বিয়ে করেন। ওসামার ২৩ জন সন্তান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ওসামা বিন লাদেন ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেন। ওই সময়ই তিনি ‘আল-কায়েদা’ গঠন করেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর অবস্থান পাল্টান। ওসামা বিশ্বাস করতে থাকেন, সারা বিশ্বের মুসলমানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ আছে, নব্বইয়ের দশকে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ওসামার করা। এরপর তাঁকে পরিবার থেকে ত্যাজ্য করা হয়, বাতিল করা হয় সৌদি নাগরিকত্বও।
নব্বইয়ের দশকেই আবার আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন ওসামা। তালেবান শাসনের ছত্রচ্ছায়ায় সেখানে তিনি বিভিন্ন শিবিরে সারা বিশ্ব থেকে আসা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার পর আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে মার্কিন বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু ওসামা প্রাণে বেঁচে যান।
২০০১ সালে আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানায় মার্কিন বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলার মুখেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলার অনুমোদন দেন ওসামা। ওই হামলায় অন্তত তিন হাজার মানুষ নিহত হন। পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে ওসামা এক বক্তব্যে বলেন, ওই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা তাঁর প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।
৯/১১ হামলার পর বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে ওসামার মাথার দাম আড়াই কোটি ডলার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংগঠন আল-কায়েদাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রায় এক দশক ধরে বড় ধরনের অভিযান চলে। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হন তিনি।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেন, ‘ওসামা কোথায় আছেন তা আমাদের জানা নেই। আগের কয়েক বছর ধরে ওসামার কর্মকাণ্ড ও অবস্থান সম্পর্কেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে কোনো তথ্য নেই।’
তবে শেষ রক্ষা হয়নি আল-কায়েদাপ্রধানের। গত রোববার ভোরে পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি।
পৈতৃক সম্পত্তি পান তিনি। পরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে জেদ্দায় পাড়ি জমান ওসামা। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা শিক্ষকতা করতেন।
ওসামা তাঁর ১৭ বছর বয়সে দূরসম্পর্কের এক সিরীয় বোনকে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর আরও অন্তত চার নারীকে বিয়ে করেন। ওসামার ২৩ জন সন্তান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ওসামা বিন লাদেন ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেন। ওই সময়ই তিনি ‘আল-কায়েদা’ গঠন করেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর অবস্থান পাল্টান। ওসামা বিশ্বাস করতে থাকেন, সারা বিশ্বের মুসলমানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ আছে, নব্বইয়ের দশকে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ওসামার করা। এরপর তাঁকে পরিবার থেকে ত্যাজ্য করা হয়, বাতিল করা হয় সৌদি নাগরিকত্বও।
নব্বইয়ের দশকেই আবার আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন ওসামা। তালেবান শাসনের ছত্রচ্ছায়ায় সেখানে তিনি বিভিন্ন শিবিরে সারা বিশ্ব থেকে আসা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার পর আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে মার্কিন বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু ওসামা প্রাণে বেঁচে যান।
২০০১ সালে আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানায় মার্কিন বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলার মুখেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলার অনুমোদন দেন ওসামা। ওই হামলায় অন্তত তিন হাজার মানুষ নিহত হন। পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে ওসামা এক বক্তব্যে বলেন, ওই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা তাঁর প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।
৯/১১ হামলার পর বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে ওসামার মাথার দাম আড়াই কোটি ডলার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংগঠন আল-কায়েদাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রায় এক দশক ধরে বড় ধরনের অভিযান চলে। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হন তিনি।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেন, ‘ওসামা কোথায় আছেন তা আমাদের জানা নেই। আগের কয়েক বছর ধরে ওসামার কর্মকাণ্ড ও অবস্থান সম্পর্কেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে কোনো তথ্য নেই।’
তবে শেষ রক্ষা হয়নি আল-কায়েদাপ্রধানের। গত রোববার ভোরে পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি।
No comments