হোঁচট খেল শেয়ারবাজার
পুঁজিবাজারবিষয়ক তদন্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর গতকাল সোমবার প্রথম লেনদেন দিবসেই হোঁচট খেল দেশের দুই শেয়ারবাজার।
প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এ সম্পর্কে সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া গেলে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও দিন শেষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যসূচক বেশ খানিকটা কমেছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হলেও অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী এখনো বাজার থেকে দূরে রয়েছেন। কিছু কিছু বিষয়ে সরকার অধিকতর তদন্তের ঘোষণা দেওয়ায় বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকেই সক্রিয় হচ্ছেন না। বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার পেছনে এটিও একটি কারণ বলে মনে করেন তাঁরা।
এর বাইরে মুদ্রাবাজারের তারল্য-সংকটকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক বেশ তারল্য-সংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের অনেকগুলোই আবার নিয়মের বাইরে গিয়ে পুঁজিবাজারে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছিল। এর বড় অংশ গ্রাহকদের ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বাজারে ধস নামায় যেগুলো সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি।
আবার সম্প্রতি নিজেদের তহবিলে টান পড়ায় কয়েকটি ব্যাংক মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউস গ্রাহকদের শেয়ার চাপ দিয়ে (ফোর্সড সেল) বিক্রি করেছে।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহসানুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় একটি বিতর্কের অবসান ঘটল। গোটা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ইতিহাস অনেক কম, যা রীতিমতো একটি সাহসী পদক্ষেপও।
আহসানুল ইসলাম প্রতিবেদনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আরও অধিকতর তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।
বিও হিসাবধারীদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা প্রসঙ্গে আহসানুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক হিসাবের মতো বিও হিসাবও একই ধরনের হওয়া উচিত।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এর কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার তা ৪০ পয়েন্টের মতো কমে। এরপর সারা দিনে সূচক একাধিকবার ওঠানামা করে। তবে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৫৯ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে নেমে আসে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২২৮ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে এদিন ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১৪৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল সাতটি প্রতিষ্ঠানের দাম। সিএসইতে গতকাল ৭১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে দুই কোটি টাকা কম।
প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এ সম্পর্কে সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া গেলে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও দিন শেষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যসূচক বেশ খানিকটা কমেছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হলেও অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী এখনো বাজার থেকে দূরে রয়েছেন। কিছু কিছু বিষয়ে সরকার অধিকতর তদন্তের ঘোষণা দেওয়ায় বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকেই সক্রিয় হচ্ছেন না। বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার পেছনে এটিও একটি কারণ বলে মনে করেন তাঁরা।
এর বাইরে মুদ্রাবাজারের তারল্য-সংকটকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক বেশ তারল্য-সংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের অনেকগুলোই আবার নিয়মের বাইরে গিয়ে পুঁজিবাজারে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছিল। এর বড় অংশ গ্রাহকদের ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বাজারে ধস নামায় যেগুলো সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি।
আবার সম্প্রতি নিজেদের তহবিলে টান পড়ায় কয়েকটি ব্যাংক মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউস গ্রাহকদের শেয়ার চাপ দিয়ে (ফোর্সড সেল) বিক্রি করেছে।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহসানুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় একটি বিতর্কের অবসান ঘটল। গোটা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ইতিহাস অনেক কম, যা রীতিমতো একটি সাহসী পদক্ষেপও।
আহসানুল ইসলাম প্রতিবেদনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আরও অধিকতর তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।
বিও হিসাবধারীদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা প্রসঙ্গে আহসানুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক হিসাবের মতো বিও হিসাবও একই ধরনের হওয়া উচিত।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এর কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার তা ৪০ পয়েন্টের মতো কমে। এরপর সারা দিনে সূচক একাধিকবার ওঠানামা করে। তবে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৫৯ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে নেমে আসে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২২৮ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে এদিন ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১৪৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল সাতটি প্রতিষ্ঠানের দাম। সিএসইতে গতকাল ৭১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে দুই কোটি টাকা কম।
No comments