শেয়ারবাজারে দরপতন চলছে
দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন আগে থেকে যে পতন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। এ নিয়ে টানা তিন দিন সূচকের পতন ঘটল দেশের শেয়ারবাজারে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এর বিভিন্ন বিষয়ে সরকার বক্তব্য দিলেও অনেক বিষয়েই স্পষ্ট করা হয়নি। অনেক বিষয়ে অধিকতরও তদন্ত করার কথা বলা হলেও ঠিক কোন বিষয়গুলো এতে স্থান পাবে, সেটিও স্পষ্ট নয়। তাই বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকেই পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত হতে পারেননি, হননি লেনদেনে সক্রিয়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের যাঁরা অনুসরণ করেন, তাঁরাও প্রায় নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এ ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে অনেক ব্যাংকই আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে। শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের অনেকেও এখন ব্যাংকে টাকা রাখাকে বেশি নিরাপদ মনে করছেন।
এসব কারণে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কিছুটা টান পড়াটা অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাজার সূত্রে জানা যায়, নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়।
দিনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ১৮ পয়েন্ট কমে যায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সূচক কিছুটা বাড়লেও এর পর থেকে আবার তা নিম্নমুখী হতে থাকে। দিন শেষে দেখা যায়, ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১২৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৮৬৬ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩১০ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে। সিএসইতে এদিন ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ১৬৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা কম।
ডিএসইতে গতকাল ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩০টির, কমেছে ২০৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ৪৫৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৬ কোটি টাকা কম।
খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল প্রায় সব ধরনের খাতেরই দরপতন হয়েছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টির মধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। এ ছাড়া সিমেন্ট খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, সিরামিক খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, প্রকৌশল খাতের ২৩টির মধ্যে ২০টির, অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২১টির মধ্যে ১৯টির, খাদ্য ও সেবা খাতের ১৫টির মধ্যে ১২টির, বিমা খাতের ৪৪টির মধ্যে ৩৭টির, বিবিধ খাতের নয়টির মধ্যে ছয়টির, ওষুধ খাতের ২১টির মধ্যে ১৭টির, টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জিপির এবং বস্ত্র খাতের ২৫টির মধ্যে ২০টির দরপতন হয়।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল—বেক্সটেক্স, ইউসিবিএল, বেক্সিমকো, বিএসআরএম স্টিল, আফতাব অটো, আরএন স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, এনবিএল, তিতাস গ্যাস ও ইউনাইটেড এয়ার।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এর বিভিন্ন বিষয়ে সরকার বক্তব্য দিলেও অনেক বিষয়েই স্পষ্ট করা হয়নি। অনেক বিষয়ে অধিকতরও তদন্ত করার কথা বলা হলেও ঠিক কোন বিষয়গুলো এতে স্থান পাবে, সেটিও স্পষ্ট নয়। তাই বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকেই পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত হতে পারেননি, হননি লেনদেনে সক্রিয়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের যাঁরা অনুসরণ করেন, তাঁরাও প্রায় নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এ ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে অনেক ব্যাংকই আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে। শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের অনেকেও এখন ব্যাংকে টাকা রাখাকে বেশি নিরাপদ মনে করছেন।
এসব কারণে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কিছুটা টান পড়াটা অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাজার সূত্রে জানা যায়, নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়।
দিনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ১৮ পয়েন্ট কমে যায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সূচক কিছুটা বাড়লেও এর পর থেকে আবার তা নিম্নমুখী হতে থাকে। দিন শেষে দেখা যায়, ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১২৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৮৬৬ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩১০ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে। সিএসইতে এদিন ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ১৬৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা কম।
ডিএসইতে গতকাল ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩০টির, কমেছে ২০৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ৪৫৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৬ কোটি টাকা কম।
খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল প্রায় সব ধরনের খাতেরই দরপতন হয়েছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টির মধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। এ ছাড়া সিমেন্ট খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, সিরামিক খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, প্রকৌশল খাতের ২৩টির মধ্যে ২০টির, অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২১টির মধ্যে ১৯টির, খাদ্য ও সেবা খাতের ১৫টির মধ্যে ১২টির, বিমা খাতের ৪৪টির মধ্যে ৩৭টির, বিবিধ খাতের নয়টির মধ্যে ছয়টির, ওষুধ খাতের ২১টির মধ্যে ১৭টির, টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জিপির এবং বস্ত্র খাতের ২৫টির মধ্যে ২০টির দরপতন হয়।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল—বেক্সটেক্স, ইউসিবিএল, বেক্সিমকো, বিএসআরএম স্টিল, আফতাব অটো, আরএন স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, এনবিএল, তিতাস গ্যাস ও ইউনাইটেড এয়ার।
No comments