পাকিস্তান কখনোই সন্ত্রাসবাদের উর্বর ক্ষেত্র নয়: জারদারি
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের মাটিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান কখনো সন্ত্রাসবাদের উর্বর ক্ষেত্র ছিল না, কখনো হবেও না। এ-সংক্রান্ত গণমাধ্যমের দাবি কখনোই ঠিক নয়। তিনি বলেন, এ ধরনের ভিত্তিহীন খবর টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে ঠিকই, কিন্তু এর মাধ্যমে কখনোই বাস্তবতা প্রতিফলিত হয় না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার-ঘোষিত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বাড়তি কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থাও নিতে দেখা যায়নি। জনমনে কোনো প্রভাবও ফেলেনি এ ঘটনা। পেশোয়ারের দিনমজুর জাইন খান যেমনটা বলছিলেন, ‘সে (লাদেন) মারা গেল কি না গেল তাতে আমার কিছু আসে-যায় না।’
তবে নিজ দেশের মাটিতে লাদেন নিহত হওয়ায় পাকিস্তানের অনেকেই বিব্রত। দ্য নিউজ পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, সারা বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিকে খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতা এবং সেই ব্যক্তির এখানে নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার উত্তরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরের উপকণ্ঠ বিলাল এলাকায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র অভিযানে গত রোববার মারা যান বিন লাদেন। জায়গাটি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির একদম কাছেই অবস্থিত। এ অভিযানে পাকিস্তানের কোনো ভূমিকা ছিল না।
তাই মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া সে দেশের মাটিতে লাদেনের অবস্থান করার প্রশ্নই ওঠে না। হোয়াইট হাউসের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার প্রধান জন ব্রেনান বলেন, এটা অবিশ্বাস্য যে বিন লাদেন পাকিস্তানের সমর্থন পায়নি।
লাদেন নিহত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জারদারি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, অন্য যেকোনো রাষ্ট্রের মতো পাকিস্তানেরও আল-কায়েদাকে ঘৃণা করার যথেষ্ট কারণ আছে। যুক্তরাষ্ট্র যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তেমনি পাকিস্তানও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই লড়াই করতে গিয়ে পাকিস্তানকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কারণে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের দেশই।’
জারদারি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ন্যাটো জোটের যত সেনা মারা গেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সেনা মারা গেছে পাকিস্তানের। এ পর্যন্ত দুই হাজার পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্তত ৩০ হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের জনগণের জন্য সামাজিক উন্নয়নের একটা প্রজন্মও হারিয়ে গেছে।
লাদেনকে হত্যার চূড়ান্ত অভিযানে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ না থাকার ব্যাপারে জারদারি বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক দশকব্যাপী সহযোগিতা ও অংশীদারিই ওসামা বিন লাদেনকে নিশ্চিহ্ন করতে সাহায্য করেছে। তবে কীভাবে লাদেন পাকিস্তানের মাটিতে নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশে ছিলেন, সে ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এটুকু বলেছেন, ‘আমরা যেসব স্থান নিয়ে ধারণা করেছিলাম, তার কোনো জায়গাতেই বিন লাদেন ছিলেন না।’
ইসলামাবাদে কর্মরত বিবিসির সাংবাদিক সৈয়দ শোয়েব হাসান বলেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে লাদেন নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি মার্কিনদের মনেও নতুন প্রশ্ন জেগেছে, লাদেনের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তালিকাভুক্ত অন্য কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী পাকিস্তান ভূখণ্ডে আস্তানা গেড়ে আছে কি না?
ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ: যুক্তরাষ্ট্র গতকাল ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস এবং অন্য তিনটি শহরে তাদের কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা করেছে। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামাবাদের দূতাবাস এবং পেশোয়ার, লাহোর ও করাচির তিনটি কনস্যুলেট পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
ওসামা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা এসব স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে আশঙ্কা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার-ঘোষিত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বাড়তি কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থাও নিতে দেখা যায়নি। জনমনে কোনো প্রভাবও ফেলেনি এ ঘটনা। পেশোয়ারের দিনমজুর জাইন খান যেমনটা বলছিলেন, ‘সে (লাদেন) মারা গেল কি না গেল তাতে আমার কিছু আসে-যায় না।’
তবে নিজ দেশের মাটিতে লাদেন নিহত হওয়ায় পাকিস্তানের অনেকেই বিব্রত। দ্য নিউজ পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, সারা বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিকে খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতা এবং সেই ব্যক্তির এখানে নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার উত্তরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরের উপকণ্ঠ বিলাল এলাকায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র অভিযানে গত রোববার মারা যান বিন লাদেন। জায়গাটি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির একদম কাছেই অবস্থিত। এ অভিযানে পাকিস্তানের কোনো ভূমিকা ছিল না।
তাই মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া সে দেশের মাটিতে লাদেনের অবস্থান করার প্রশ্নই ওঠে না। হোয়াইট হাউসের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার প্রধান জন ব্রেনান বলেন, এটা অবিশ্বাস্য যে বিন লাদেন পাকিস্তানের সমর্থন পায়নি।
লাদেন নিহত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জারদারি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, অন্য যেকোনো রাষ্ট্রের মতো পাকিস্তানেরও আল-কায়েদাকে ঘৃণা করার যথেষ্ট কারণ আছে। যুক্তরাষ্ট্র যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তেমনি পাকিস্তানও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই লড়াই করতে গিয়ে পাকিস্তানকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কারণে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের দেশই।’
জারদারি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ন্যাটো জোটের যত সেনা মারা গেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সেনা মারা গেছে পাকিস্তানের। এ পর্যন্ত দুই হাজার পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্তত ৩০ হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের জনগণের জন্য সামাজিক উন্নয়নের একটা প্রজন্মও হারিয়ে গেছে।
লাদেনকে হত্যার চূড়ান্ত অভিযানে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ না থাকার ব্যাপারে জারদারি বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক দশকব্যাপী সহযোগিতা ও অংশীদারিই ওসামা বিন লাদেনকে নিশ্চিহ্ন করতে সাহায্য করেছে। তবে কীভাবে লাদেন পাকিস্তানের মাটিতে নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশে ছিলেন, সে ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এটুকু বলেছেন, ‘আমরা যেসব স্থান নিয়ে ধারণা করেছিলাম, তার কোনো জায়গাতেই বিন লাদেন ছিলেন না।’
ইসলামাবাদে কর্মরত বিবিসির সাংবাদিক সৈয়দ শোয়েব হাসান বলেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে লাদেন নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি মার্কিনদের মনেও নতুন প্রশ্ন জেগেছে, লাদেনের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তালিকাভুক্ত অন্য কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী পাকিস্তান ভূখণ্ডে আস্তানা গেড়ে আছে কি না?
ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ: যুক্তরাষ্ট্র গতকাল ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস এবং অন্য তিনটি শহরে তাদের কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা করেছে। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামাবাদের দূতাবাস এবং পেশোয়ার, লাহোর ও করাচির তিনটি কনস্যুলেট পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
ওসামা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা এসব স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে আশঙ্কা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
No comments