সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ১২৮ লাখ কোটি ডলার
আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পিছু ধাওয়াসহ সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২৮ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। একজন ‘সন্ত্রাসীকে’ ধরতে বিশ্বের ইতিহাসে সম্ভবত এত বেশি অর্থ এর আগে কখনো ব্যয় হয়নি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে বিমান হামলার পরপরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার জন্য দায়ী করা হয় লাদেনকে।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্য মতে, সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে ১২৮ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আট হাজার ৬০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে ইরাকযুদ্ধে, ৪৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে আফগানিস্তানে।
মার্কিন কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের ধারণা, বিন লাদেনের শুরু করা সন্ত্রাসী ঘটনার জের সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আগামী ১০ বছর আরও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে। মোট ব্যয়ের পরিমাণ ১৮০ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বিন লাদেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-ব্যয় সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এ যুদ্ধে এখন কেবল আল-কায়েদাই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিপক্ষ নয়। ইরাক ও আফগানিস্তানসহ বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে, যে লড়াইয়ের সহসা অবসান ঘটবে বলেও মনে করা হচ্ছে না।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। এর পর আরও বহু সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে আরও এক হাজার মানুষ। যদিও সব ঘটনার সঙ্গে বিন লাদেনের সংগঠন আল-কায়েদার সরাসরি যোগসূত্র আছে কি না, তা প্রশ্নবিদ্ধ।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিন লাদেনকে তাড়া করার ইতিহাস সবচেয়ে রক্তাক্ত। ইরাক-আফগানিস্তান মিলে এ পর্যন্ত ছয় হাজার মার্কিন সেনাসদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে। ৫৫ হাজার মার্কিন সেনাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। যুদ্ধের সরাসরি তাণ্ডবে কেবল ইরাকেই ১২ লাখ সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে ২০ হাজার বেসামরিক লোক। ৫০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক এ পর্যন্ত আফগানযুদ্ধে আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বজোড়া সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে প্রাণহানির এ সংখ্যা প্রকৃত অর্থে আরও বেশি বলে অনেকেরই ধারণা।
যুদ্ধের দ্রুত অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েই বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নির্বাচনে বিজয়ী হন। বিন লাদেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে মার্কিন জনগণকে দেওয়া কথা রেখেছেন ওবামা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে বিমান হামলার পরপরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার জন্য দায়ী করা হয় লাদেনকে।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্য মতে, সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে ১২৮ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আট হাজার ৬০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে ইরাকযুদ্ধে, ৪৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে আফগানিস্তানে।
মার্কিন কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের ধারণা, বিন লাদেনের শুরু করা সন্ত্রাসী ঘটনার জের সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আগামী ১০ বছর আরও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে। মোট ব্যয়ের পরিমাণ ১৮০ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বিন লাদেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-ব্যয় সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এ যুদ্ধে এখন কেবল আল-কায়েদাই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিপক্ষ নয়। ইরাক ও আফগানিস্তানসহ বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে, যে লড়াইয়ের সহসা অবসান ঘটবে বলেও মনে করা হচ্ছে না।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। এর পর আরও বহু সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে আরও এক হাজার মানুষ। যদিও সব ঘটনার সঙ্গে বিন লাদেনের সংগঠন আল-কায়েদার সরাসরি যোগসূত্র আছে কি না, তা প্রশ্নবিদ্ধ।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিন লাদেনকে তাড়া করার ইতিহাস সবচেয়ে রক্তাক্ত। ইরাক-আফগানিস্তান মিলে এ পর্যন্ত ছয় হাজার মার্কিন সেনাসদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে। ৫৫ হাজার মার্কিন সেনাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। যুদ্ধের সরাসরি তাণ্ডবে কেবল ইরাকেই ১২ লাখ সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে ২০ হাজার বেসামরিক লোক। ৫০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক এ পর্যন্ত আফগানযুদ্ধে আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বজোড়া সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে প্রাণহানির এ সংখ্যা প্রকৃত অর্থে আরও বেশি বলে অনেকেরই ধারণা।
যুদ্ধের দ্রুত অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েই বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নির্বাচনে বিজয়ী হন। বিন লাদেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে মার্কিন জনগণকে দেওয়া কথা রেখেছেন ওবামা।
No comments