আহত ‘বাঘ’কেই ভয় শাহরিয়ারের
১৬, ০, ০—ওয়ানডে সিরিজের এই তিনটি স্কোর ভুলে যাওয়ার চেষ্টা নিশ্চয়ই করেছেন। মনে রাখলে রাখতে পারেন ফতুল্লা টেস্টের প্রথম ইনিংসে করা ১৩৮ আর চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের ৭৯ রান। কিন্তু শাহরিয়ার নাফীস পাঁচ বছর আগের এই স্মৃতিটায় ফিরে যেতে চাচ্ছেন না।
অস্ট্রেলিয়া যখন আবার বাংলাদেশে, তখন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শাহরিয়ারও আছেন বাংলাদেশ দলে। তবে ২০০৬ সালের মতো এবারের সিরিজে কোনো টেস্ট নেই। কেবলই তিনটা ওয়ানডে। চাইলে সেবার টেস্টে ভালো খেলার স্মৃতিটাকে এবারের ওয়ানডে সিরিজেও অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া যায়। কিন্তু কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শাহরিয়ার বললেন, ‘ওই সিরিজের মতো কিছু আবার করতে পারলে খারাপ হয় না। তবে ২০০৬-এর সেই সফরের ‘ভালোটা’ পাঁচ বছর পর মনে রাখা কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়া বলেই নয়, শাহরিয়ারের জন্য আসন্ন সিরিজ অন্য কারণেও চ্যালেঞ্জ। আইসিএল থেকে ফেরার পর জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারছিলেন না। এবার জুনায়েদ সিদ্দিক ‘এ’ দলে চলে যাওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর জায়গাটির জন্য তিনিই এক নম্বর দাবিদার। দলে জায়গা ধরে রাখার সুবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী শাহরিয়ার, ‘গত বছর মাত্র একটা সিরিজ খেলেছি। এবার পর পর দুইটা সিরিজে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এটা। আশা করি, চাপ না নিয়ে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারব।’
অস্ট্রেলিয়া মানেই হারার আগে হেরে যেতে হবে, কুর্নিশ করে খেলতে হবে—এসব ব্যাপার আর নেই। এই বিশ্বকাপের পর তো নয়-ই। তার পরও বিশ্বকাপের ব্যর্থতা অস্ট্রেলিয়ার শরীরে নিশ্চই আহত বাঘের রক্তকণিকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। ২০০৬ আর এবারের অস্ট্রেলিয়া দলের তুলনা করতে গিয়ে সেই ভয়ের কথাই বললেন শাহরিয়ার, ‘২০০৬-এর দলটা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া দলকে কখনো খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এবার তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ওরা এখন সাফল্য পাওয়ার জন্য খুবই ক্ষুধার্ত।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে চাপেও রাখবে বলে ধারণা শাহরিয়ারের। সঙ্গে যদি ক্লার্ক-পন্টিংদের হোম কন্ডিশনের ফাঁদে ফেলা যায়, ৯ এপ্রিল থেকে শুরু তিন ওয়ানডের সিরিজ নিয়ে আশাবাদী হতে বলছেন শাহরিয়ার, ‘নিজেদের কাছে প্রত্যাশার দিক থেকে ওরা অবশ্যই চাপে থাকবে। কন্ডিশন এবং আমাদের শক্তির সর্বোচ্চটা যদি ব্যবহার করতে পারি, অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলা সম্ভব।’ উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া দলের অনভিজ্ঞতাকেও বাড়তি সুবিধা হিসেবে নিচ্ছেন শাহরিয়ার, ‘ব্রেট লি ছাড়া ওদের বোলিং আক্রমণ এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত নয়। ওদের বিশ্বমানের স্পিনার নেই, আর আমাদের দলে তিন তিন জন স্পিনার।’
কিন্তু বিশ্বকাপ কি কেবল অস্ট্রেলিয়াকেই চাপে ফেলেছে? বাংলাদেশের ৫৮ আর ৭৮ রানে অলআউটের লজ্জাও নিশ্চই এত দ্রুত ভুলে যায়নি কেউ! শাহরিয়ার সেটা স্বীকার করেও বলছেন, ‘ওই দুটি ম্যাচকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখলেই আমাদের জন্য ভালো হবে। এই সিরিজে ভালো খেললে হয়তো ওই দুটি ম্যাচ আমরা ভুলিয়ে দিতে পারব।’
৫৮ আর ৭৮ একদিকে রাখলেও বিশ্বকাপের অন্য ম্যাচগুলোতেও খুব ভালো ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ। শাহরিয়ারের দৃষ্টিতে কারণটা উইকেট, ‘সব দল যেটা করে...গত এক বছর ধরে আমরাও চেষ্টা করছি হোম কন্ডিশন ব্যবহার করতে। এ কারণে বেশির ভাগ সময় আমরা স্লো এবং টার্নিং উইকেটে খেলছি। এ ধরনের উইকেটে ২৮০-৩০০ রান করা কঠিন। ২২০-২৩০ করলেই জেতার মতো রান হয়ে যায়।’
কথাটা কি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সত্যি হবে?
অস্ট্রেলিয়া যখন আবার বাংলাদেশে, তখন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শাহরিয়ারও আছেন বাংলাদেশ দলে। তবে ২০০৬ সালের মতো এবারের সিরিজে কোনো টেস্ট নেই। কেবলই তিনটা ওয়ানডে। চাইলে সেবার টেস্টে ভালো খেলার স্মৃতিটাকে এবারের ওয়ানডে সিরিজেও অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া যায়। কিন্তু কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শাহরিয়ার বললেন, ‘ওই সিরিজের মতো কিছু আবার করতে পারলে খারাপ হয় না। তবে ২০০৬-এর সেই সফরের ‘ভালোটা’ পাঁচ বছর পর মনে রাখা কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়া বলেই নয়, শাহরিয়ারের জন্য আসন্ন সিরিজ অন্য কারণেও চ্যালেঞ্জ। আইসিএল থেকে ফেরার পর জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারছিলেন না। এবার জুনায়েদ সিদ্দিক ‘এ’ দলে চলে যাওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর জায়গাটির জন্য তিনিই এক নম্বর দাবিদার। দলে জায়গা ধরে রাখার সুবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী শাহরিয়ার, ‘গত বছর মাত্র একটা সিরিজ খেলেছি। এবার পর পর দুইটা সিরিজে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এটা। আশা করি, চাপ না নিয়ে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারব।’
অস্ট্রেলিয়া মানেই হারার আগে হেরে যেতে হবে, কুর্নিশ করে খেলতে হবে—এসব ব্যাপার আর নেই। এই বিশ্বকাপের পর তো নয়-ই। তার পরও বিশ্বকাপের ব্যর্থতা অস্ট্রেলিয়ার শরীরে নিশ্চই আহত বাঘের রক্তকণিকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। ২০০৬ আর এবারের অস্ট্রেলিয়া দলের তুলনা করতে গিয়ে সেই ভয়ের কথাই বললেন শাহরিয়ার, ‘২০০৬-এর দলটা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া দলকে কখনো খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এবার তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ওরা এখন সাফল্য পাওয়ার জন্য খুবই ক্ষুধার্ত।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে চাপেও রাখবে বলে ধারণা শাহরিয়ারের। সঙ্গে যদি ক্লার্ক-পন্টিংদের হোম কন্ডিশনের ফাঁদে ফেলা যায়, ৯ এপ্রিল থেকে শুরু তিন ওয়ানডের সিরিজ নিয়ে আশাবাদী হতে বলছেন শাহরিয়ার, ‘নিজেদের কাছে প্রত্যাশার দিক থেকে ওরা অবশ্যই চাপে থাকবে। কন্ডিশন এবং আমাদের শক্তির সর্বোচ্চটা যদি ব্যবহার করতে পারি, অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলা সম্ভব।’ উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া দলের অনভিজ্ঞতাকেও বাড়তি সুবিধা হিসেবে নিচ্ছেন শাহরিয়ার, ‘ব্রেট লি ছাড়া ওদের বোলিং আক্রমণ এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত নয়। ওদের বিশ্বমানের স্পিনার নেই, আর আমাদের দলে তিন তিন জন স্পিনার।’
কিন্তু বিশ্বকাপ কি কেবল অস্ট্রেলিয়াকেই চাপে ফেলেছে? বাংলাদেশের ৫৮ আর ৭৮ রানে অলআউটের লজ্জাও নিশ্চই এত দ্রুত ভুলে যায়নি কেউ! শাহরিয়ার সেটা স্বীকার করেও বলছেন, ‘ওই দুটি ম্যাচকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখলেই আমাদের জন্য ভালো হবে। এই সিরিজে ভালো খেললে হয়তো ওই দুটি ম্যাচ আমরা ভুলিয়ে দিতে পারব।’
৫৮ আর ৭৮ একদিকে রাখলেও বিশ্বকাপের অন্য ম্যাচগুলোতেও খুব ভালো ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ। শাহরিয়ারের দৃষ্টিতে কারণটা উইকেট, ‘সব দল যেটা করে...গত এক বছর ধরে আমরাও চেষ্টা করছি হোম কন্ডিশন ব্যবহার করতে। এ কারণে বেশির ভাগ সময় আমরা স্লো এবং টার্নিং উইকেটে খেলছি। এ ধরনের উইকেটে ২৮০-৩০০ রান করা কঠিন। ২২০-২৩০ করলেই জেতার মতো রান হয়ে যায়।’
কথাটা কি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সত্যি হবে?
No comments