কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে পূর্বসূরিকেই অনুসরণ করলেন কুমার সাঙ্গাকারা। বন্ধু মাহেলা জয়াবর্ধনের মতোই হঠাৎ জানিয়ে দিলেন, শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের পদে আর থাকছেন না। আপাতত ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। অন্তর্বর্তী অধিনায়ক হিসেবে বোর্ড চাইলে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দুটিতে থাকবেন। অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও তিন ধরনের ক্রিকেটেই সক্রিয় থাকছেন এই ৩৩ বছর বয়সী।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে তিলকরত্নে দিলশান এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের কথা ভাবা হচ্ছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে উঠে আসছে থিলান সামারাবীরার নাম। বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক সাঙ্গাকারা দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখলেও ওই ম্যাচের একাদশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েন।
কাল তাঁর বিবৃতিতে অবশ্য সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে এই সমালোচনা নয়; সাঙ্গাকারা দলের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের কথাই বলেছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে অধিনায়ক থাকতে পারবেন না—এই বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন। ফলে নতুন অধিনায়ক চার বছর ধরে পরিকল্পনা করার সুযোগ যেন পায়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সাঙ্গাকারা।
সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাটা আকস্মিকভাবে এলেও সেটি আগেই নিয়ে রেখেছিলেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আমি এটা ২০১১ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ভেবে রেখেছিলাম। পরের বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স হয়ে যাবে ৩৭। তখন দলে আমার জায়গা পাকা থাকবে কি না, নিশ্চিত নই। পরের বিশ্বকাপের সময় ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকবে এমন একজনের নেতৃত্বেই দল থাকা উচিত।’
২০০৯ সালের মাঝামাঝি থেকে নেতৃত্ব কাঁধে নিয়েছেন সাঙ্গাকারা। তাঁর নেতৃত্বে ৪৫ ওয়ানডের ২৭টি জিতেছে শ্রীলঙ্কা, হেরেছে ১৪টি। ১৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনে দিয়েছেন ৫টি, পরাজয় ৩টি; বাকি ছয় ম্যাচ ড্র। ২১টি টি-টোয়েন্টিতেও অধিনায়ক ছিলেন। এর মধ্যে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ফাইনালে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
এই দুই বছরের অভিজ্ঞতাকে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় অংশ বলেও মনে করছেন এই বাঁহাতি, ‘গত দুই বছরে নিজের দেশকে অধিনায়কের ভূমিকায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য ছিল বিরাট সম্মান ও গৌরবের। ফাইনাল শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পারিনি। এটি তিক্ত অভিজ্ঞতা অবশ্যই। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুবই গর্বিত।’
নতুন অধিনায়কের প্রতিও পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা দেবেন বলেও জানালেন সাঙ্গাকারা, ‘নির্বাচকদের সঙ্গে সোমবার দেখা করে আমার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করেছি। আশ্বস্ত করেছি, নতুন অধিনায়ককে থিতু হতে সব রকম সাহায্যই করব। এমনকি নির্বাচকেরা যদি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন এই সময়টায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আমারই অধিনায়ক থাকা উচিত, আমি সেই দায়িত্ব পালন করব। অবশ্য আমার অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। যে রকম ফিটনেস আছে তাতে আমি সব ধরনের ক্রিকেটেই আপাতত খেলে যেতে চাই।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে তিলকরত্নে দিলশান এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের কথা ভাবা হচ্ছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে উঠে আসছে থিলান সামারাবীরার নাম। বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক সাঙ্গাকারা দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখলেও ওই ম্যাচের একাদশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েন।
কাল তাঁর বিবৃতিতে অবশ্য সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে এই সমালোচনা নয়; সাঙ্গাকারা দলের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের কথাই বলেছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে অধিনায়ক থাকতে পারবেন না—এই বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন। ফলে নতুন অধিনায়ক চার বছর ধরে পরিকল্পনা করার সুযোগ যেন পায়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সাঙ্গাকারা।
সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাটা আকস্মিকভাবে এলেও সেটি আগেই নিয়ে রেখেছিলেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আমি এটা ২০১১ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ভেবে রেখেছিলাম। পরের বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স হয়ে যাবে ৩৭। তখন দলে আমার জায়গা পাকা থাকবে কি না, নিশ্চিত নই। পরের বিশ্বকাপের সময় ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকবে এমন একজনের নেতৃত্বেই দল থাকা উচিত।’
২০০৯ সালের মাঝামাঝি থেকে নেতৃত্ব কাঁধে নিয়েছেন সাঙ্গাকারা। তাঁর নেতৃত্বে ৪৫ ওয়ানডের ২৭টি জিতেছে শ্রীলঙ্কা, হেরেছে ১৪টি। ১৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনে দিয়েছেন ৫টি, পরাজয় ৩টি; বাকি ছয় ম্যাচ ড্র। ২১টি টি-টোয়েন্টিতেও অধিনায়ক ছিলেন। এর মধ্যে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ফাইনালে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
এই দুই বছরের অভিজ্ঞতাকে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় অংশ বলেও মনে করছেন এই বাঁহাতি, ‘গত দুই বছরে নিজের দেশকে অধিনায়কের ভূমিকায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য ছিল বিরাট সম্মান ও গৌরবের। ফাইনাল শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পারিনি। এটি তিক্ত অভিজ্ঞতা অবশ্যই। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুবই গর্বিত।’
নতুন অধিনায়কের প্রতিও পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা দেবেন বলেও জানালেন সাঙ্গাকারা, ‘নির্বাচকদের সঙ্গে সোমবার দেখা করে আমার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করেছি। আশ্বস্ত করেছি, নতুন অধিনায়ককে থিতু হতে সব রকম সাহায্যই করব। এমনকি নির্বাচকেরা যদি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন এই সময়টায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আমারই অধিনায়ক থাকা উচিত, আমি সেই দায়িত্ব পালন করব। অবশ্য আমার অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। যে রকম ফিটনেস আছে তাতে আমি সব ধরনের ক্রিকেটেই আপাতত খেলে যেতে চাই।’
No comments