চীনকে মোকাবিলায় অস্ত্র খাতে ব্যয়বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্রশক্তি বৃদ্ধি করায় অস্ত্র খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং সফরের আগ মুহূর্তে গত শনিবার এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস।
গেটস বলেন, চীন প্রথমবারের মতো রাডার ফাঁকি দিতে পারে, এমন জঙ্গি বিমান বানিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের তৈরি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধবিমানবাহী মার্কিন রণতরীতে আঘাত হানতে সক্ষম। এসব কারণে তিনি মার্কিন অস্ত্রসম্ভার বৃদ্ধি ও উন্নতির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছেন। যদিও গত সপ্তাহে গেটস নিজেই পেন্টাগনের বাজেট বরাদ্দ বড় আকারে কাটছাঁট করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিন দিনের সফরে বেইজিংয়ের উদ্দেশে বিমানে চড়ার পর গেটস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা পরিষ্কার, আমরা কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছি এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের নজর দিতেই হচ্ছে। আমরা নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নেব।’
চীন গত সপ্তাহে নিজেদের প্রথম রাডার ফাঁকি দেওয়ার উপযুক্ত জঙ্গিবিমান তৈরির ঘোষণা দেয়। তবে এ নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করে গেটস বলেন, ওই জঙ্গিবিমান আসলে কতটা সফলভাবে রাডার ফাঁকি দিতে পারে, তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে।
গতকাল রোববার গেটসের বেইজিংয়ে পৌঁছানোর কথা ছিল। সেখানে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এবং দেশটির শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আরও খোলামেলা ও স্থিতিশীল সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে ওই আলোচনায় গেটসের এই মন্তব্যে কী প্রভাব পড়তে পারে, সেটা এখনো ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
মার্কিন অস্ত্রপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন বলতে গেটস পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার বোমারু বিমান এবং নৌবাহিনীর জন্য নতুন প্রজন্মের ‘ইলেকট্রনিক জ্যামার’-এর উন্নয়নকেই ইঙ্গিত করেছেন। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করতেই ইলেকট্রনিক জ্যামার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে দূরপাল্লার ওই বোমারু বিমান উন্নয়নের প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্র ২০০৯ সালে বাতিল করে।
গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে গেটস বলেন, ইলেকট্রনিক জ্যামার হাতে পেলে জলভাগে নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়বে এবং সফলভাবে হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে।
এ ছাড়া রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম, এমন নতুন জঙ্গিবিমান ‘জয়েন্ট স্ট্রাইট ফাইটার’-এর উন্নয়নের জন্যও বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তবে উল্লিখিত তিন প্রকল্পে বা প্রশান্ত মহাসাগরে চীনকে মোকাবিলার জন্য নতুন করে কী পরিমাণ ব্যয় করা হতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি পেন্টাগন।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা যদিও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রপ্রযুক্তি থেকে চীন এখনো এক প্রজন্ম পিছিয়ে আছে, কিন্তু গেটস বলছেন, চীনের বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করছেন, পেন্টাগন ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থগুলো অনুধাবন করতে পেরেছে, চীন খুবই দ্রুত আঘাত করতে পারে।
গেটস বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই আমরা নজর রাখছি। চীনের রণতরীবিধ্বংসী ও আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের বিষয়টি প্রতিরক্ষীমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আমাকে উদ্বিগ্ন করে রেখেছে।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, চীনা নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অস্ত্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা কমবে।
গেটস বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষীয়মাণ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করলে চীনের নেতারা ভুল করবেন।
গেটস বলেন, চীন প্রথমবারের মতো রাডার ফাঁকি দিতে পারে, এমন জঙ্গি বিমান বানিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের তৈরি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধবিমানবাহী মার্কিন রণতরীতে আঘাত হানতে সক্ষম। এসব কারণে তিনি মার্কিন অস্ত্রসম্ভার বৃদ্ধি ও উন্নতির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছেন। যদিও গত সপ্তাহে গেটস নিজেই পেন্টাগনের বাজেট বরাদ্দ বড় আকারে কাটছাঁট করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিন দিনের সফরে বেইজিংয়ের উদ্দেশে বিমানে চড়ার পর গেটস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা পরিষ্কার, আমরা কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছি এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের নজর দিতেই হচ্ছে। আমরা নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নেব।’
চীন গত সপ্তাহে নিজেদের প্রথম রাডার ফাঁকি দেওয়ার উপযুক্ত জঙ্গিবিমান তৈরির ঘোষণা দেয়। তবে এ নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করে গেটস বলেন, ওই জঙ্গিবিমান আসলে কতটা সফলভাবে রাডার ফাঁকি দিতে পারে, তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে।
গতকাল রোববার গেটসের বেইজিংয়ে পৌঁছানোর কথা ছিল। সেখানে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এবং দেশটির শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আরও খোলামেলা ও স্থিতিশীল সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে ওই আলোচনায় গেটসের এই মন্তব্যে কী প্রভাব পড়তে পারে, সেটা এখনো ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
মার্কিন অস্ত্রপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন বলতে গেটস পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার বোমারু বিমান এবং নৌবাহিনীর জন্য নতুন প্রজন্মের ‘ইলেকট্রনিক জ্যামার’-এর উন্নয়নকেই ইঙ্গিত করেছেন। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করতেই ইলেকট্রনিক জ্যামার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে দূরপাল্লার ওই বোমারু বিমান উন্নয়নের প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্র ২০০৯ সালে বাতিল করে।
গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে গেটস বলেন, ইলেকট্রনিক জ্যামার হাতে পেলে জলভাগে নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়বে এবং সফলভাবে হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে।
এ ছাড়া রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম, এমন নতুন জঙ্গিবিমান ‘জয়েন্ট স্ট্রাইট ফাইটার’-এর উন্নয়নের জন্যও বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তবে উল্লিখিত তিন প্রকল্পে বা প্রশান্ত মহাসাগরে চীনকে মোকাবিলার জন্য নতুন করে কী পরিমাণ ব্যয় করা হতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি পেন্টাগন।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা যদিও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রপ্রযুক্তি থেকে চীন এখনো এক প্রজন্ম পিছিয়ে আছে, কিন্তু গেটস বলছেন, চীনের বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করছেন, পেন্টাগন ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থগুলো অনুধাবন করতে পেরেছে, চীন খুবই দ্রুত আঘাত করতে পারে।
গেটস বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই আমরা নজর রাখছি। চীনের রণতরীবিধ্বংসী ও আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের বিষয়টি প্রতিরক্ষীমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আমাকে উদ্বিগ্ন করে রেখেছে।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, চীনা নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অস্ত্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা কমবে।
গেটস বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষীয়মাণ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করলে চীনের নেতারা ভুল করবেন।
No comments