প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ঘাটতি বেড়েছে ২৫%
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট ঘাটতি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে সরকারকে দুই হাজার ৩৮১ কোটি ২৭ লাখ টাকার ঘাটতি অর্থায়ন করতে হয়েছে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৯২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া নেতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ নতুন ঋণ নেওয়ার তুলনায় পুরোনো ঋণ ফেরত দেওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে।
আর তাই এই সময়কালে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের হাতে প্রথম প্রান্তিক শেষে ৭৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ আরও অনেক বেশি ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ঘাটতি অর্থায়নে সরকার প্রধানত নির্ভর করছে ব্যাংক-বহির্ভূত উৎসের ওপর, যার প্রায় পুরোটাই আসে সঞ্চয়পত্র থেকে।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকার এই উৎস থেকে দুই হাজার ১৯৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণ নিয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে এই ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া ঋণাত্মক থাকায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪১০ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশি উৎস থেকে সরকারের প্রাপ্তি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে।
আলোচ্য সময়কালে বিদেশি উৎস থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৯৭১ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৬২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
যোগাযোগ করা হলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ঘাটতির এই চিত্র নিয়ে তেমন একটা উদ্বেগের কিছু নেই। বরং ভর্তুকির বিষয়টি সরকারের জন্য আগামীতে বড় উদ্বেগের বিষয় হবে।
নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, সার ও খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে চলেছে। তাই সরকারকেও এসব খাতের ভর্তুকি ব্যয় বাড়াতে হবে। তাতে আগামী দিনে রাজস্ব ব্যয়ের ওপর চাপ তৈরি হবে।
ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় বিশ্ববাজারে দাম বাড়াজনিত কারণে ভর্তুকি বাবদ বাড়তি তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা গুনতে হবে বলে প্রাক্কলন করেছে।
আহসান মনসুর আরও বলেন, ব্যাংক-বহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এটাই প্রতীয়মান হয় যে সরকার ব্যয়বহুল ঋণের ভার কমানোর জন্য সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়েছিল, তা আসলে কাজে দেয়নি।
আহসান মনসুর ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রচলিত সঞ্চয়পত্রগুলোর সুদের হার কমিয়ে ও মুনাফার ওপর উৎসে করারোপ করা হলেও নতুনভাবে করমুক্ত পরিবার সঞ্চয়পত্র চালু করা হয়েছে, যা আসলে অবিচক্ষণতারই প্রতিফলন। সরকার একদিকে স্বল্পব্যয়ী ঋণ ফেরত দিচ্ছে, অন্যদিকে ব্যয়বহুল ঋণের ভার বাড়াচ্ছে।
২০১০-১১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর সরকার ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে ৩৪ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা।এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার ২৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আর ব্যাংক-বহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘ঘাটতি অর্থায়নে এবারও আমরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদের বৈদেশিক উৎসকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের সামগ্রিকভাবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৯৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে সরকারকে দুই হাজার ৩৮১ কোটি ২৭ লাখ টাকার ঘাটতি অর্থায়ন করতে হয়েছে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৯২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া নেতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ নতুন ঋণ নেওয়ার তুলনায় পুরোনো ঋণ ফেরত দেওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে।
আর তাই এই সময়কালে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের হাতে প্রথম প্রান্তিক শেষে ৭৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ আরও অনেক বেশি ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ঘাটতি অর্থায়নে সরকার প্রধানত নির্ভর করছে ব্যাংক-বহির্ভূত উৎসের ওপর, যার প্রায় পুরোটাই আসে সঞ্চয়পত্র থেকে।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকার এই উৎস থেকে দুই হাজার ১৯৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণ নিয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে এই ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া ঋণাত্মক থাকায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪১০ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশি উৎস থেকে সরকারের প্রাপ্তি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে।
আলোচ্য সময়কালে বিদেশি উৎস থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৯৭১ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৬২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
যোগাযোগ করা হলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ঘাটতির এই চিত্র নিয়ে তেমন একটা উদ্বেগের কিছু নেই। বরং ভর্তুকির বিষয়টি সরকারের জন্য আগামীতে বড় উদ্বেগের বিষয় হবে।
নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, সার ও খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে চলেছে। তাই সরকারকেও এসব খাতের ভর্তুকি ব্যয় বাড়াতে হবে। তাতে আগামী দিনে রাজস্ব ব্যয়ের ওপর চাপ তৈরি হবে।
ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় বিশ্ববাজারে দাম বাড়াজনিত কারণে ভর্তুকি বাবদ বাড়তি তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা গুনতে হবে বলে প্রাক্কলন করেছে।
আহসান মনসুর আরও বলেন, ব্যাংক-বহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এটাই প্রতীয়মান হয় যে সরকার ব্যয়বহুল ঋণের ভার কমানোর জন্য সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়েছিল, তা আসলে কাজে দেয়নি।
আহসান মনসুর ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রচলিত সঞ্চয়পত্রগুলোর সুদের হার কমিয়ে ও মুনাফার ওপর উৎসে করারোপ করা হলেও নতুনভাবে করমুক্ত পরিবার সঞ্চয়পত্র চালু করা হয়েছে, যা আসলে অবিচক্ষণতারই প্রতিফলন। সরকার একদিকে স্বল্পব্যয়ী ঋণ ফেরত দিচ্ছে, অন্যদিকে ব্যয়বহুল ঋণের ভার বাড়াচ্ছে।
২০১০-১১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর সরকার ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে ৩৪ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা।এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার ২৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আর ব্যাংক-বহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘ঘাটতি অর্থায়নে এবারও আমরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদের বৈদেশিক উৎসকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের সামগ্রিকভাবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৯৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
No comments