মার্কিন কংগ্রেস সদস্য গুলিবিদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টুসন শহরে গত শনিবার রাজনৈতিক সমাবেশে এক বন্দুকধারীর গুলিতে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডস গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। এ ছাড়া ওই বন্দুকধারীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নয় বছরের একটি মেয়ে ও একজন বিচারক রয়েছেন। ২২ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনাকে ‘গোটা দেশের জন্য ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ঘটনার পরপর গিফোর্ডসকে টুসন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদল শল্যচিকিৎসক কয়েক দফা তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করেন। গতকাল রোববার চিকিৎসকেরা জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হলেও ৪০ বছর বয়সী গিফোর্ডসের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তবে এই কংগ্রেস সদস্য দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে তাঁরা আশাবাদী।
কর্মকর্তারা জানান, গুলিতে নিহত বিচারকের নাম জন রোল। ১৯৯১ সালে তিনি অ্যারিজোনার জেলা আদালতে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই ঘটনায় গিফোর্ডসসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে বন্দুকধারী যুবকের নাম বলা হয়েছে জারেড লি লাফনার। কর্তৃপক্ষ তাঁর ওই পরিচয় নিশ্চিত করেনি। তবে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক এর আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কংগ্রেস সদস্যকে হত্যা করার জন্যই গুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ওই যুবককে সহযোগিতা করেছে এমন ব্যক্তিকে খোঁজা হচ্ছে। পুলিশ তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেনি।
টুসনে একটি সুপারমার্কেটের সামনে শনিবার সকালে ‘কংগ্রেস অন ইয়োর কর্নার’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করছিলেন গিফোর্ডস। ওই সময় খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার কারণ জানা যায়নি। ঘটনার পরপর তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেস সদস্যের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বেতার ও টেলিভিশনের কেন্দ্রগুলো নিয়মিত অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে এই ঘটনার খবর প্রচার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা স্টিভেন রেইল বলেন, ‘কংগ্রেস সদস্য একটি টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি টেবিলটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই সময় এক ব্যক্তি পিস্তল বের করে গিফোর্ডসকে গুলি করে। গিফোর্ডস মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর পরই বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমি একটি কংক্রিটের স্তম্ভের আড়ালে আশ্রয় নিই।’ স্থানীয় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ক্ল্যারেন্স ডুপনিক জানান, গিফোর্ডসের রাজনৈতিক কার্যালয়েও সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া গেছে। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।অ্যারিজোনা থেকে প্রথম নির্বাচিত ইহুদি কংগ্রেস সদস্য গিফোর্ডস। ২০০৬ সালে তিনি নির্বাচিত হন। তাঁর স্বামী মার্ক কেলি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একজন নভোচারী। স্থানীয়ভাবে তিনি খুবই জনপ্রিয় এবং জাতীয় রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাট দলের উদীয়মান তারকা হিসেবে পরিচিত। তাঁকে এর আগেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ডোমোক্র্যাট দলের কট্টরপন্থী অংশের সমর্থক হিসেবে পরিচিত গিফোর্ডস। তবে ওবামার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে গত বছর অ্যারিজোনার কট্টরপন্থীদের চমকে দেন তিনি।প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে। ঘটনার তদন্তকাজ তদারকের জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট মুলারকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পেলিনও এই ঘটনার নিন্দা ও গিফোর্ডসের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও সেখানে আইনসভার সদস্যদের নিহত বা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিরল। সর্বশেষ ১৯৮১ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আর দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেছে একটি—১৯৭৮ সালে গায়ানাতে নিহত হন ডেমোক্র্যাট দলের কংগ্রেস সদস্য লিও রায়ান।
ঘটনার পরপর গিফোর্ডসকে টুসন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদল শল্যচিকিৎসক কয়েক দফা তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করেন। গতকাল রোববার চিকিৎসকেরা জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হলেও ৪০ বছর বয়সী গিফোর্ডসের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তবে এই কংগ্রেস সদস্য দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে তাঁরা আশাবাদী।
কর্মকর্তারা জানান, গুলিতে নিহত বিচারকের নাম জন রোল। ১৯৯১ সালে তিনি অ্যারিজোনার জেলা আদালতে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই ঘটনায় গিফোর্ডসসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে বন্দুকধারী যুবকের নাম বলা হয়েছে জারেড লি লাফনার। কর্তৃপক্ষ তাঁর ওই পরিচয় নিশ্চিত করেনি। তবে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক এর আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কংগ্রেস সদস্যকে হত্যা করার জন্যই গুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ওই যুবককে সহযোগিতা করেছে এমন ব্যক্তিকে খোঁজা হচ্ছে। পুলিশ তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেনি।
টুসনে একটি সুপারমার্কেটের সামনে শনিবার সকালে ‘কংগ্রেস অন ইয়োর কর্নার’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করছিলেন গিফোর্ডস। ওই সময় খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার কারণ জানা যায়নি। ঘটনার পরপর তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেস সদস্যের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বেতার ও টেলিভিশনের কেন্দ্রগুলো নিয়মিত অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে এই ঘটনার খবর প্রচার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা স্টিভেন রেইল বলেন, ‘কংগ্রেস সদস্য একটি টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি টেবিলটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই সময় এক ব্যক্তি পিস্তল বের করে গিফোর্ডসকে গুলি করে। গিফোর্ডস মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর পরই বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমি একটি কংক্রিটের স্তম্ভের আড়ালে আশ্রয় নিই।’ স্থানীয় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ক্ল্যারেন্স ডুপনিক জানান, গিফোর্ডসের রাজনৈতিক কার্যালয়েও সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া গেছে। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।অ্যারিজোনা থেকে প্রথম নির্বাচিত ইহুদি কংগ্রেস সদস্য গিফোর্ডস। ২০০৬ সালে তিনি নির্বাচিত হন। তাঁর স্বামী মার্ক কেলি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একজন নভোচারী। স্থানীয়ভাবে তিনি খুবই জনপ্রিয় এবং জাতীয় রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাট দলের উদীয়মান তারকা হিসেবে পরিচিত। তাঁকে এর আগেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ডোমোক্র্যাট দলের কট্টরপন্থী অংশের সমর্থক হিসেবে পরিচিত গিফোর্ডস। তবে ওবামার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে গত বছর অ্যারিজোনার কট্টরপন্থীদের চমকে দেন তিনি।প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে। ঘটনার তদন্তকাজ তদারকের জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট মুলারকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পেলিনও এই ঘটনার নিন্দা ও গিফোর্ডসের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও সেখানে আইনসভার সদস্যদের নিহত বা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিরল। সর্বশেষ ১৯৮১ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আর দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেছে একটি—১৯৭৮ সালে গায়ানাতে নিহত হন ডেমোক্র্যাট দলের কংগ্রেস সদস্য লিও রায়ান।
No comments