রোনালদিনহোকে পেলের ধিক্কার
রোনালদিনহো তাঁর জাদুকরি ফুটবল দিয়ে মুগ্ধ করেছেন অনেককেই। তাঁর মুগ্ধ ভক্ত ছিলেন ফুটবলসম্রাট পেলেও। এই পেলেই এখন রোনালদিনহোর ওপর মহা বিরক্ত। একসময় যাঁকে প্রশংসার স্রোতে ভাসিয়েছিলেন, সেই রোনালদিনহোকেই ‘লোভী’ বললেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
রোনালদিনহো টাকার জন্য খেলেন, টাকাই তাঁর চালিকাশক্তি—ফিফার সাবেক বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সাম্প্রতিক হালচাল দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে পেলের। নিজের দেশ ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার জন্য দেনদরবার করে এসি মিলান থেকে মুক্ত হয়েছেন রোনালদিনহো। সবাই জানতেন, তাঁর এই উতলা মনোভাব শৈশবের ক্লাব গ্রেমিওতে ফিরে যাওয়ার জন্য। ইতালির পত্রিকা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত লিখেই দিয়েছিল, গ্রেমিওর সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে রোনালদিনহোর।
বাস্তবতা হচ্ছে, এসি মিলান থেকে মুক্ত হয়ে রোনালদিনহো গ্রেমিওতে নাম লেখাননি। তিনি অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যে দুবারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে পাওয়ার দৌড়ে নেমেছে ব্রাজিলেরই ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো, করিন্থিয়ানস ও পালমেইরাসও। একে একে দুই মিলিয়ে সবাই ধরে নিয়েছে, দর-কষাকষি করছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা।
পেলের দুঃখটা এই জায়গাতেই। গ্রেমিওর এখন সঙ্গিন অবস্থা। এমন সময়ে শৈশবের ক্লাবের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে রোনালদিনহো কিনা টাকার কথা ভাবছেন! গ্লোবো স্পোর্তকে পেলে বলেছেন, ‘রোনালদিনহো যদি গ্রেমিওকে ভালোই বাসে তাহলে এই ক্লাবে তার তো বিনা পয়সায় খেলা উচিত। জীবনে যা প্রয়োজন তা তো সে করেই নিয়েছে।’
রোনালদিনহোর শৈশবের নায়কদের একজন পেলে। অনেক আগেই এ কথা বলেছেন ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী তারকা। শৈশবের সেই নায়ক পেলে রোনালদিনহোকে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁকেই অনুসরণ করতে, ‘সে আমাকে অনুসরণ করতে পারে। আমি পুরো একটা মৌসুম (১৯৭৪ সাল) সান্তোসে বিনা পয়সায় খেলেছি। ক্লাব তখন অর্থকষ্টে ভুগছিল। আমি আমার বেতনটা ওদের দিয়ে দিয়েছি।’
রোনালদিনহো পর্ব শেষ করে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোকে একহাত নিয়েছেন পেলে। রোনালদিনহোকে নিয়ে ক্লাবগুলোর এত বাড়াবাড়ি ভালো লাগছে না তাঁর, ‘ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর তার জন্য এভাবে হামলে পড়ার কোনো মানে হয় না। এটা খেলাটার মর্যাদাই নষ্ট করে দেয়। খেলাটাকে সস্তা বানিয়ে দেয়।’
রোনালদিনহো কিংবা ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর কানে কি পেলের কথা ঢুকবে? তবে রোনালদিনহোর ঠিকানা বদল নিয়ে এমন হইচই এই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে গ্রেমিওর যুব প্রকল্পে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে অভিষেক তাঁর মূল দলে। সেখানে তিন মৌসুম কাটানোর পর আর্সেনালের চোখে পড়েন। কিন্তু আর্সেনাল তাঁকে নিতে পারেনি। কারণ ইংল্যান্ডে কাজের অনুমতি পাননি রোনালদিনহো। ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকারকে নিতে চেয়েছিল স্কটিশ ক্লাব সেন্ট মিরেনও। কিন্তু ব্রাজিলে ভুয়া পাসপোর্ট কেলেংকারির কারণে যাওয়া হয়নি সেখানেও। পরে তাঁর ঠিকানা হয় ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেই। প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে ২০০৩ সালে বার্সেলোনায় যাওয়ার সময়ও হয় এমন হইচই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে লড়াই জিতে বার্সা পায় রোনালদিনহোকে। দুটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতিয়ে বার্সার আস্থার প্রতিদানও দেন রোনালদিনহো। কিন্তু ২০০৮ সালে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা রোনালদিনহোকে ছেড়ে দেয় তারা। জায়গা পান এসি মিলানে। চুক্তির ৬ মাস বাকি থাকতেই রোনালদিনহো মুক্তি পেলেন মিলান থেকে।
রোনালদিনহো টাকার জন্য খেলেন, টাকাই তাঁর চালিকাশক্তি—ফিফার সাবেক বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সাম্প্রতিক হালচাল দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে পেলের। নিজের দেশ ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার জন্য দেনদরবার করে এসি মিলান থেকে মুক্ত হয়েছেন রোনালদিনহো। সবাই জানতেন, তাঁর এই উতলা মনোভাব শৈশবের ক্লাব গ্রেমিওতে ফিরে যাওয়ার জন্য। ইতালির পত্রিকা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত লিখেই দিয়েছিল, গ্রেমিওর সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে রোনালদিনহোর।
বাস্তবতা হচ্ছে, এসি মিলান থেকে মুক্ত হয়ে রোনালদিনহো গ্রেমিওতে নাম লেখাননি। তিনি অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যে দুবারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে পাওয়ার দৌড়ে নেমেছে ব্রাজিলেরই ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো, করিন্থিয়ানস ও পালমেইরাসও। একে একে দুই মিলিয়ে সবাই ধরে নিয়েছে, দর-কষাকষি করছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা।
পেলের দুঃখটা এই জায়গাতেই। গ্রেমিওর এখন সঙ্গিন অবস্থা। এমন সময়ে শৈশবের ক্লাবের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে রোনালদিনহো কিনা টাকার কথা ভাবছেন! গ্লোবো স্পোর্তকে পেলে বলেছেন, ‘রোনালদিনহো যদি গ্রেমিওকে ভালোই বাসে তাহলে এই ক্লাবে তার তো বিনা পয়সায় খেলা উচিত। জীবনে যা প্রয়োজন তা তো সে করেই নিয়েছে।’
রোনালদিনহোর শৈশবের নায়কদের একজন পেলে। অনেক আগেই এ কথা বলেছেন ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী তারকা। শৈশবের সেই নায়ক পেলে রোনালদিনহোকে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁকেই অনুসরণ করতে, ‘সে আমাকে অনুসরণ করতে পারে। আমি পুরো একটা মৌসুম (১৯৭৪ সাল) সান্তোসে বিনা পয়সায় খেলেছি। ক্লাব তখন অর্থকষ্টে ভুগছিল। আমি আমার বেতনটা ওদের দিয়ে দিয়েছি।’
রোনালদিনহো পর্ব শেষ করে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোকে একহাত নিয়েছেন পেলে। রোনালদিনহোকে নিয়ে ক্লাবগুলোর এত বাড়াবাড়ি ভালো লাগছে না তাঁর, ‘ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর তার জন্য এভাবে হামলে পড়ার কোনো মানে হয় না। এটা খেলাটার মর্যাদাই নষ্ট করে দেয়। খেলাটাকে সস্তা বানিয়ে দেয়।’
রোনালদিনহো কিংবা ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর কানে কি পেলের কথা ঢুকবে? তবে রোনালদিনহোর ঠিকানা বদল নিয়ে এমন হইচই এই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে গ্রেমিওর যুব প্রকল্পে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে অভিষেক তাঁর মূল দলে। সেখানে তিন মৌসুম কাটানোর পর আর্সেনালের চোখে পড়েন। কিন্তু আর্সেনাল তাঁকে নিতে পারেনি। কারণ ইংল্যান্ডে কাজের অনুমতি পাননি রোনালদিনহো। ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকারকে নিতে চেয়েছিল স্কটিশ ক্লাব সেন্ট মিরেনও। কিন্তু ব্রাজিলে ভুয়া পাসপোর্ট কেলেংকারির কারণে যাওয়া হয়নি সেখানেও। পরে তাঁর ঠিকানা হয় ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেই। প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে ২০০৩ সালে বার্সেলোনায় যাওয়ার সময়ও হয় এমন হইচই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে লড়াই জিতে বার্সা পায় রোনালদিনহোকে। দুটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতিয়ে বার্সার আস্থার প্রতিদানও দেন রোনালদিনহো। কিন্তু ২০০৮ সালে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা রোনালদিনহোকে ছেড়ে দেয় তারা। জায়গা পান এসি মিলানে। চুক্তির ৬ মাস বাকি থাকতেই রোনালদিনহো মুক্তি পেলেন মিলান থেকে।
No comments