সাকিবের মুখে আইপিএলের হাসি
বেঙ্গালুরুতে যখন তাঁর দামটা ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে ঠেকল, সাকিব আল হাসান তখন বোটানিক্যাল গার্ডেনে আইসক্রিম খাচ্ছেন! খাওয়া মানে একটা আইসক্রিম কোম্পানির বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং চলছিল ওখানে, ক্যামেরার সামনে সে উপলক্ষেই মাঝেমধ্যে কামড় দিচ্ছিলেন আইসক্রিমে। বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের মধ্যে কে একজন ভিড় থেকে নির্দেশনা দিলেন, ‘ভাই, বড় করে কামড় দিয়ে একটু হাসেন...।’
তা সাকিবের জন্য কালকের দিনটা হাসির উপলক্ষই এনেছিল। বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য চেষ্টা করে আনা কৃত্রিম হাসি নয়, অর্জনের খাতায় আরেকটি মাইলফলক যোগ করার তৃপ্তির হাসি। কাল সন্ধ্যায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের শ্যুটিংয়ে আগন্তুকের মতো উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে বিস্মিত বাংলাদেশের অধিনায়ক সেই হাসিটাই হেসে বললেন, ‘আপনারা এখানে...?’
প্রশ্নটা করার জন্যই করা। নইলে সাকিবও জানতেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি বৈকালিক ভ্রমণ বা শ্যুটিং দেখার উদ্দেশ্যে নয়। উদ্দেশ্যটা তিনি এবং আইপিএলের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে সোয়া চার লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি টাকা) তাঁর বিক্রি হওয়া। কিন্তু সাকিবের ধরনটাই এমন যে ৩ কোটি টাকার পরিবর্তে ১০ কোটি টাকায় বিক্রি হলেও বোধ হয় সাদামাটা প্রতিক্রিয়াই হবে। সাংবাদিকদের আগেও কাল প্রথম যিনি এ বিষয়ে সাকিবের প্রতিক্রিয়া জেনেছেন, সেই তামিম ইকবালের কথাই শুনুন, ‘টেলিভিশনে দেখার পর আমিই প্রথম সাকিবকে খবরটা দিই। কিন্তু ওর প্রতিক্রিয়া তো বোঝেনই...শুধু বলল, “সত্যি নাকি”?’
কোনো আবেগেই ‘আক্রান্ত’ না হওয়াটা সাকিবের স্বভাবের অংশ। তবে এবার সেটির আরেকটা কারণ বোধ হয় ব্যাপারটা আগে থেকেই আঁচ করতে পারা। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে জানানো প্রতিক্রিয়ায় সাকিবই বললেন, ‘শ্যুটিংয়ে থাকায় আগে জানতে পারিনি। তামিমই বলল প্রথম ফোন করে। প্রতিক্রিয়া আর কী...খুশি। আগে থেকেই জানতাম কিছু একটা হচ্ছে।’
সাকিবকে সম্ভাবনাটা জানিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স কোচ ডেভ হোয়াটমোর। গত নভেম্বর কলকাতার সিএবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সাকিবের সঙ্গে সাক্ষাতে তখনই নিজের ইচ্ছার কথা জানান বাংলাদেশের সাবেক কোচ। সাকিবও অপেক্ষায় ছিলেন এমন একটা কিছুর, ‘হোয়াটমোর বলে গিয়েছিলেন উনি বিড করবেন। এর পর থেকেই মনে হচ্ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স হলে আমার জন্য বোধ হয় ভালো হবে।্রযেহেতু ডেভ পরিচিত, ওখানকার ভাষাও পরিচিত। আমার জন্য মনে হয় ভালোই হবে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে আইপিএলে খেলেছেন আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে (৬ লাখ ডলার) বিক্রি হয়েছিলেন মাশরাফি এবং সেটা সাকিবের এই কলকাতা নাইট রাইডার্সেই। নিলামের তালিকায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার সাকিবের সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল আর তামিম ইকবাল। কিন্তু কাল বিক্রি হলেন কেবল সাকিবই।
দীনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেটারও ৯ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে কালকের নিলামে। সেখানে সাকিবের ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার দামটা কম হয়ে গেল হয়তো। আইপিএলে সাকিবের পূর্বসূরি মাশরাফির অন্তত তাই ধারণা, ‘আমি তো ভেবেছিলাম সাকিব-তামিম দুজনেরই ৫ লাখ ডলার দাম উঠবে। বিজয় মালিয়া (বেঙ্গালুরু দলের মালিক) ডাকলে ঠিকই ওদের বেশি দাম উঠত। কিন্তু সাকিবকে তো উনি ডাকলেন না। আর তামিমকে তো কেউই ডাকল না!’
নিলামে ওঠা দাম নিয়ে অবশ্য সাকিব নিজে অতটা ভাবছেন না, ‘আমার কাজ এখন খেলা। কত টাকা পেলাম না-পেলাম সেটা নিয়ে কখনোই ভাবিনি। যখন ২ লাখ ডলার ন্যূনতম দাম ধরা হলো তখন মনে হয়েছিল ওটাই তো অনেক! এখন তার ডাবল হয়ে গেছে...খুশিই লাগছে।’ দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে দামের পার্থক্যেরও ব্যাখ্যা আছে সাকিবের কাছে, ‘ভারতীয় সব খেলোয়াড়ের দামই বিদেশিদের তুলনায় বেশি উঠেছে। পিটারসেন বা দিলশানের দামও বোধ হয় খুব বেশি ওঠেনি। ওরা তো কার্তিকের চেয়ে অনেক হাইপ্রোফাইল। আমি শুনেছি, এবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেক চাহিদা ছিল।’
তা সেই চাহিদার ভিড়েও একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সোয়া ৪ লাখ ডলার দাম ওঠা কম কী! আর যতই নির্লিপ্ত প্রতিক্রিয়া থাকুক, তামিমের ফোন পাওয়ার আগে একটু যে টেনশনে ছিলেন, সেটা তো সাকিবের কথায়ই স্পষ্ট, ‘আগেরবারই আসলে বেশি আশা করেছিলাম। আজ (গতকাল) মাঝখানে যখন বেশ কিছুক্ষণ ফোন আসছিল না, ভেবেছিলাম এবারও বুঝি গেল!’
আশঙ্কা সত্যি হয়নি সাকিবের। আইপিএলে এবারও থাকছে বাংলাদেশ।
তা সাকিবের জন্য কালকের দিনটা হাসির উপলক্ষই এনেছিল। বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য চেষ্টা করে আনা কৃত্রিম হাসি নয়, অর্জনের খাতায় আরেকটি মাইলফলক যোগ করার তৃপ্তির হাসি। কাল সন্ধ্যায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের শ্যুটিংয়ে আগন্তুকের মতো উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে বিস্মিত বাংলাদেশের অধিনায়ক সেই হাসিটাই হেসে বললেন, ‘আপনারা এখানে...?’
প্রশ্নটা করার জন্যই করা। নইলে সাকিবও জানতেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি বৈকালিক ভ্রমণ বা শ্যুটিং দেখার উদ্দেশ্যে নয়। উদ্দেশ্যটা তিনি এবং আইপিএলের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে সোয়া চার লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি টাকা) তাঁর বিক্রি হওয়া। কিন্তু সাকিবের ধরনটাই এমন যে ৩ কোটি টাকার পরিবর্তে ১০ কোটি টাকায় বিক্রি হলেও বোধ হয় সাদামাটা প্রতিক্রিয়াই হবে। সাংবাদিকদের আগেও কাল প্রথম যিনি এ বিষয়ে সাকিবের প্রতিক্রিয়া জেনেছেন, সেই তামিম ইকবালের কথাই শুনুন, ‘টেলিভিশনে দেখার পর আমিই প্রথম সাকিবকে খবরটা দিই। কিন্তু ওর প্রতিক্রিয়া তো বোঝেনই...শুধু বলল, “সত্যি নাকি”?’
কোনো আবেগেই ‘আক্রান্ত’ না হওয়াটা সাকিবের স্বভাবের অংশ। তবে এবার সেটির আরেকটা কারণ বোধ হয় ব্যাপারটা আগে থেকেই আঁচ করতে পারা। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে জানানো প্রতিক্রিয়ায় সাকিবই বললেন, ‘শ্যুটিংয়ে থাকায় আগে জানতে পারিনি। তামিমই বলল প্রথম ফোন করে। প্রতিক্রিয়া আর কী...খুশি। আগে থেকেই জানতাম কিছু একটা হচ্ছে।’
সাকিবকে সম্ভাবনাটা জানিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স কোচ ডেভ হোয়াটমোর। গত নভেম্বর কলকাতার সিএবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সাকিবের সঙ্গে সাক্ষাতে তখনই নিজের ইচ্ছার কথা জানান বাংলাদেশের সাবেক কোচ। সাকিবও অপেক্ষায় ছিলেন এমন একটা কিছুর, ‘হোয়াটমোর বলে গিয়েছিলেন উনি বিড করবেন। এর পর থেকেই মনে হচ্ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স হলে আমার জন্য বোধ হয় ভালো হবে।্রযেহেতু ডেভ পরিচিত, ওখানকার ভাষাও পরিচিত। আমার জন্য মনে হয় ভালোই হবে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে আইপিএলে খেলেছেন আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে (৬ লাখ ডলার) বিক্রি হয়েছিলেন মাশরাফি এবং সেটা সাকিবের এই কলকাতা নাইট রাইডার্সেই। নিলামের তালিকায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার সাকিবের সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল আর তামিম ইকবাল। কিন্তু কাল বিক্রি হলেন কেবল সাকিবই।
দীনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেটারও ৯ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে কালকের নিলামে। সেখানে সাকিবের ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার দামটা কম হয়ে গেল হয়তো। আইপিএলে সাকিবের পূর্বসূরি মাশরাফির অন্তত তাই ধারণা, ‘আমি তো ভেবেছিলাম সাকিব-তামিম দুজনেরই ৫ লাখ ডলার দাম উঠবে। বিজয় মালিয়া (বেঙ্গালুরু দলের মালিক) ডাকলে ঠিকই ওদের বেশি দাম উঠত। কিন্তু সাকিবকে তো উনি ডাকলেন না। আর তামিমকে তো কেউই ডাকল না!’
নিলামে ওঠা দাম নিয়ে অবশ্য সাকিব নিজে অতটা ভাবছেন না, ‘আমার কাজ এখন খেলা। কত টাকা পেলাম না-পেলাম সেটা নিয়ে কখনোই ভাবিনি। যখন ২ লাখ ডলার ন্যূনতম দাম ধরা হলো তখন মনে হয়েছিল ওটাই তো অনেক! এখন তার ডাবল হয়ে গেছে...খুশিই লাগছে।’ দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে দামের পার্থক্যেরও ব্যাখ্যা আছে সাকিবের কাছে, ‘ভারতীয় সব খেলোয়াড়ের দামই বিদেশিদের তুলনায় বেশি উঠেছে। পিটারসেন বা দিলশানের দামও বোধ হয় খুব বেশি ওঠেনি। ওরা তো কার্তিকের চেয়ে অনেক হাইপ্রোফাইল। আমি শুনেছি, এবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেক চাহিদা ছিল।’
তা সেই চাহিদার ভিড়েও একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সোয়া ৪ লাখ ডলার দাম ওঠা কম কী! আর যতই নির্লিপ্ত প্রতিক্রিয়া থাকুক, তামিমের ফোন পাওয়ার আগে একটু যে টেনশনে ছিলেন, সেটা তো সাকিবের কথায়ই স্পষ্ট, ‘আগেরবারই আসলে বেশি আশা করেছিলাম। আজ (গতকাল) মাঝখানে যখন বেশ কিছুক্ষণ ফোন আসছিল না, ভেবেছিলাম এবারও বুঝি গেল!’
আশঙ্কা সত্যি হয়নি সাকিবের। আইপিএলে এবারও থাকছে বাংলাদেশ।
No comments