গুয়ানতানামো বন্দীদের বেসামরিক আদালতে বিচারের পথ রুদ্ধ
অনীহা সত্ত্বেও গত শুক্রবার একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নতুন এই আইনে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের যুক্তরাষ্ট্রে এনে বেসামরিক আদালতে বিচারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে বন্দিশিবিরটি দ্রুত বন্ধে ওবামার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হলো।
তবে আইনটি থেকে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের বিচারসংক্রান্ত অংশ বাতিলে তিনি লড়াই করে যাবেন। তিনি বলেন, ওই বিলে (ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট) স্বাক্ষর করা ছাড়া তাঁর কোনো উপায় ছিল না।
এক বিবৃতিতে ওবামা বলেন, ‘চরম আপত্তি সত্ত্বেও আমি ওই বিলে স্বাক্ষর করেছি। কারণ, এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে, বিশেষ করে ২০১১ সালে আমাদের সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরে আটক সন্দেহভাজনদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বন্দিশিবিরটি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন ওবামা। তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে, বিশেষ করে ওবামার বিরোধী পক্ষের জোর আপত্তি রয়েছে।
নতুন এই আইনে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার জন্য অর্থ বরাদ্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ কোনো পরিস্থিতি ছাড়া ওই বন্দীদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দও বন্ধ করা হয়েছে এই আইনে।
ওবামা বলেন, ‘জাতির ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি, তার মধ্যে ওই বন্দিশিবিরের বন্দীদের বেসামরিক আদালতে বিচারের বিষয়টি বেশ সহজে করা যায়। এই উদ্যোগকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হলে তা আমাদের সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপকে দুর্বল করে দেবে।’
গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরে বর্তমানে ১৭৪ জন বন্দী আছেন। এর মধ্যে ৩০-৩৫ জনকে মার্কিন বেসামরিক অথবা সামরিক আদালতে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। রিপাবলিকানরা দাবি করে আসছেন, বন্দীদের গুয়ানতানামোতে সামরিক আদালতেই বিচার করতে হবে।
এদিকে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের মধ্যে নিউইয়র্কে মার্কিন বেসামরিক আদালতে প্রথম বিচার হচ্ছে তাঞ্জানিয়ার নাগরিক আহমেদ খালফান গিলানির। গত শুক্রবার তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রার্থনা করেছেন মার্কিন কৌঁসুলিরা। তবে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালফানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে দাবি করে তিনি আদালতের কাছে অনুকম্পা প্রার্থনা করেছেন।
খালফান গিলানির বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়, তার মধ্যে একটিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। ১৯৯৮ সালে কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। ওই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২২৪ জন। ২৫ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। এতে তাঁর কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে আইনটি থেকে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের বিচারসংক্রান্ত অংশ বাতিলে তিনি লড়াই করে যাবেন। তিনি বলেন, ওই বিলে (ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট) স্বাক্ষর করা ছাড়া তাঁর কোনো উপায় ছিল না।
এক বিবৃতিতে ওবামা বলেন, ‘চরম আপত্তি সত্ত্বেও আমি ওই বিলে স্বাক্ষর করেছি। কারণ, এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে, বিশেষ করে ২০১১ সালে আমাদের সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরে আটক সন্দেহভাজনদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বন্দিশিবিরটি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন ওবামা। তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে, বিশেষ করে ওবামার বিরোধী পক্ষের জোর আপত্তি রয়েছে।
নতুন এই আইনে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার জন্য অর্থ বরাদ্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ কোনো পরিস্থিতি ছাড়া ওই বন্দীদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দও বন্ধ করা হয়েছে এই আইনে।
ওবামা বলেন, ‘জাতির ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি, তার মধ্যে ওই বন্দিশিবিরের বন্দীদের বেসামরিক আদালতে বিচারের বিষয়টি বেশ সহজে করা যায়। এই উদ্যোগকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হলে তা আমাদের সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপকে দুর্বল করে দেবে।’
গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরে বর্তমানে ১৭৪ জন বন্দী আছেন। এর মধ্যে ৩০-৩৫ জনকে মার্কিন বেসামরিক অথবা সামরিক আদালতে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। রিপাবলিকানরা দাবি করে আসছেন, বন্দীদের গুয়ানতানামোতে সামরিক আদালতেই বিচার করতে হবে।
এদিকে গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরের বন্দীদের মধ্যে নিউইয়র্কে মার্কিন বেসামরিক আদালতে প্রথম বিচার হচ্ছে তাঞ্জানিয়ার নাগরিক আহমেদ খালফান গিলানির। গত শুক্রবার তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রার্থনা করেছেন মার্কিন কৌঁসুলিরা। তবে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালফানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে দাবি করে তিনি আদালতের কাছে অনুকম্পা প্রার্থনা করেছেন।
খালফান গিলানির বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়, তার মধ্যে একটিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। ১৯৯৮ সালে কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। ওই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২২৪ জন। ২৫ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। এতে তাঁর কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
No comments