দেশেই ফিরে গেলেন কার্লেভিচ
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবল কোচ জোরান কার্লেভিচের বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাটা মোটেও সুখকর হলো না। সেপ্টেম্বরে ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মাথায় বরখাস্ত হয়েছেন গত সোমবার। কাল রাতে স্বদেশি ট্রেনার দাবর বারবারকে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন এই সার্বিয়ান।
কার্লেভিচের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা দেওয়ার কথা ছিল ক্লাবটির। কিন্তু এগুলোর কিছুই তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। যাওয়ার আগে বললেন, ‘এটা আমার ও আমার সহকারীর জন্য বাজে একটা অভিজ্ঞতা। মিস্টার প্রেসিডেন্ট (মনজুর কাদের) আমাকে কিছুই দেননি। অবশ্যই চুক্তি অনুযায়ী তিনি আমাকে তিন মাসের বেতন দেবেন। কিন্তু তিনি আমাকে এখনো সেটা বুঝিয়ে দেননি।’ বিষয়টি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য মোটেও সম্মানজনক হলো না বলে মনে হয়েছে তাঁর, ‘তারা যদি এমন করে তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ এখানে কাজ করতে আসবে না। আমি জানি আমি ভুল করিনি। কিন্তু আমি জানি না কেন তিনি এমন করলেন। এটা পেশাদার কোনো আচরণ হলো না।’ চুক্তি ভঙ্গের জন্য তিনি আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন, ‘তারা আমার সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আমি অবশ্যই আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। তারা এই চুক্তিকে সম্মান দেখায়নি।’ ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদেরের একগুঁয়েমি মনোভাবকে তিনি ক্লাবের ক্ষতির কারণ বলে মনে করছেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট মনে করেন তিনিই কোচ। তাহলে তিনি কেন আমাকে এনেছেন। তিনি কোচের কাজকে সম্মান করেন না। এতে ক্লাবের ক্ষতিই হবে।’
তবে কার্লেভিচের এসব কথাবার্তার কোনো গুরুত্ব নেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদেরের কাছে, ‘একজন আনাড়ি লোকের সঙ্গে কাজ করতে গেলে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারতেন তিনি। কিন্তু আমরা তো ফুটবল বুঝি। আমাদের সঙ্গে এভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।’ তাঁর দাবি কার্লেভিচের সঙ্গে চুক্তিও ভঙ্গ করা হয়নি, ‘চুক্তি ভঙ্গের কী আছে এখানে? যখন আপনি পারফর্ম করতে পারবেন না তখন আর আপনাকে দরকার নেই আমার।’ কোচের অনেক সিদ্ধান্তই মনঃপূত হয়নি মনজুর কাদেরের। তিনি জানালেন, ‘আমার অধীন যিনি কাজ করেন, তিনি কোচ হোক আর লাট বাহাদুর হোন, তার সব সিদ্ধান্ত তো আর মেনে নিতে পারি না।’
শেখ জামাল শ্রীলংকান কোচ পাকির আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানা গেছে।
No comments