সিডনিতে ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়া
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ‘স্প্রিঙ্কলার’ নৃত্য মাঠেই দেখেছেন। ড্রেসিংরুমে ইংলিশদের যখন লম্বা উৎসব হয়েছে, ভাঙা আঙুল আর ভাঙা হূদয় নিয়ে রিকি পন্টিং তখন হাসপাতালে। বাঁ হাতের কনিষ্ঠায় চিড় নিয়েই মেলবোর্নে খেলেছেন, আঙুলের অবস্থা জানতে ম্যাচ শেষেই ছুটে গিয়েছিলেন এক্স-রে করাতে। সেই এক্স-রে রিপোর্ট কাল পন্টিংয়ের জন্য এনেছে দুঃসংবাদ, মেলবোর্নে জোর করে খেলায় আরও বেড়ে গেছে আঙুলের চিড়। এখনই অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। সিডনিতে তাই খেলা হচ্ছে না পন্টিংয়ের।
সিডনিতে পন্টিংয়ের ডেপুটি মাইকেল ক্লার্কই দেবেন নেতৃত্ব। অস্ট্রেলিয়ার ৪৩তম টেস্ট অধিনায়ক হচ্ছেন ক্লার্ক। বহু প্রতীক্ষিত অভিষেকটা হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যান উসমান খাজার।
চরম দুঃসময়ে চোটের খবরটা পন্টিংয়ের জন্য কত যে বড় আঘাত তা স্পষ্ট তাঁর প্রতিক্রিয়াতেই, ‘সত্যি বলতে আমি ভেঙে পড়েছি, এই খবরটাকেই আমি ভয় পাচ্ছিলাম। আমার মনে হয় না মেলবোর্নে এমন কিছু করেছি বা হয়েছে যাতে চিড়টা আরও বেড়ে যায়, কিন্তু এক্স-রে রিপোর্ট ভিন্ন রকম কিছুই দেখাচ্ছে।’ পন্টিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন এমনিতেও ছিল। চোটের কারণে দলের বাইরে ছিটকে যাওয়ার পর গুঞ্জনের পালে আরও হাওয়া। মেলবোর্নেই খেলে ফেলেছেন শেষ টেস্ট, আর মাথায় তোলা হবে না ব্যাগি গ্রিন, এমন ভাবা লোকের সংখ্যাই এখন বেশি। অনেকের ধারণা, টানা দুটি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে আগামী বিশ্বকাপে দেখা না-ও যেতে পারে। সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল পরামর্শ দিয়েছেন, ‘সরিয়ে দেওয়ার আগে নিজে থেকে সরে যাওয়া ভালো।’
এসব গুঞ্জন-পরামর্শে কান দিচ্ছেন না পন্টিং। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এটা (অবসর) নিয়ে আমি ভাবছিই না। শুধু এ সপ্তাহেই নয়, গ্রীষ্মজুড়েই অসংখ্যবার বলেছি, আমি খেলে যেতে চাই। ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে এখনো দলকে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিডনিতে খেলতে পারছি না, কারণ বিশ্বকাপের আগে আর ঝুঁকি নিতে চাই না। ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপে যেতে চাই এবং জিততে চাই টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপের পরেও খেলতে চাই টেস্ট ক্রিকেট।’
তবে নিজের আর দলের এমন ফর্মে সিদ্ধান্তটা শুধু নিজে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই পন্টিং। তবে তাঁর জন্য স্বস্তির যে, আপাতত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও আস্থা হারাচ্ছে না পন্টিংয়ের ওপর। প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ বলেছেন, ‘আমরা রিকির সুস্থ হওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি চতুর্থ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে ওই আমাদের নেতৃত্ব দেবে।’ সিডনির অধিনায়ক ক্লার্কের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াতেও শুরুতেই পন্টিং প্রসঙ্গ, ‘অবশ্যই আমি সম্মানিত বোধ করছি। তবে এটা শুধু এই ম্যাচের জন্য, আশা করি যত দ্রুত সম্ভব পান্টারকে আমরা ফিরে পাব। যত দ্রুত ওকে ফিরে পাই, ততই আমাদের জন্য ভালো।’
শঙ্কা ছিল ক্লার্কের অধিনায়কত্ব নিয়েও। ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০০৮ সালে ডেপুটি করা হলেও রান-খরায় দলে জায়গা টিকিয়ে রাখাই দায়। ব্র্যাড হাডিনকে আপৎকালীন অধিনায়ক করে ভবিষ্যতের জন্য স্টিভেন স্মিথ, শেন ওয়াটসনদের গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছিলেন সাবেকদের অনেকে। তবে নির্বাচকেরা শেষ পর্যন্ত আস্থা রেখেছেন ক্লার্কেই, প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানাচ্ছেন, নির্বাচকদের সুপারিশে সায় দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালকদের সবাই। শুরুতেই ক্লার্ককে পড়তে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষায়। অ্যাশেজ তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে দেশের মাটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ২৪ বছর ধরে সিরিজ না হারার গর্ব ধরে রাখার সুযোগ আছে এখনো। পারবেন ক্লার্ক?
সিডনিতে পন্টিংয়ের ডেপুটি মাইকেল ক্লার্কই দেবেন নেতৃত্ব। অস্ট্রেলিয়ার ৪৩তম টেস্ট অধিনায়ক হচ্ছেন ক্লার্ক। বহু প্রতীক্ষিত অভিষেকটা হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যান উসমান খাজার।
চরম দুঃসময়ে চোটের খবরটা পন্টিংয়ের জন্য কত যে বড় আঘাত তা স্পষ্ট তাঁর প্রতিক্রিয়াতেই, ‘সত্যি বলতে আমি ভেঙে পড়েছি, এই খবরটাকেই আমি ভয় পাচ্ছিলাম। আমার মনে হয় না মেলবোর্নে এমন কিছু করেছি বা হয়েছে যাতে চিড়টা আরও বেড়ে যায়, কিন্তু এক্স-রে রিপোর্ট ভিন্ন রকম কিছুই দেখাচ্ছে।’ পন্টিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন এমনিতেও ছিল। চোটের কারণে দলের বাইরে ছিটকে যাওয়ার পর গুঞ্জনের পালে আরও হাওয়া। মেলবোর্নেই খেলে ফেলেছেন শেষ টেস্ট, আর মাথায় তোলা হবে না ব্যাগি গ্রিন, এমন ভাবা লোকের সংখ্যাই এখন বেশি। অনেকের ধারণা, টানা দুটি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে আগামী বিশ্বকাপে দেখা না-ও যেতে পারে। সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল পরামর্শ দিয়েছেন, ‘সরিয়ে দেওয়ার আগে নিজে থেকে সরে যাওয়া ভালো।’
এসব গুঞ্জন-পরামর্শে কান দিচ্ছেন না পন্টিং। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এটা (অবসর) নিয়ে আমি ভাবছিই না। শুধু এ সপ্তাহেই নয়, গ্রীষ্মজুড়েই অসংখ্যবার বলেছি, আমি খেলে যেতে চাই। ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে এখনো দলকে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিডনিতে খেলতে পারছি না, কারণ বিশ্বকাপের আগে আর ঝুঁকি নিতে চাই না। ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপে যেতে চাই এবং জিততে চাই টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপের পরেও খেলতে চাই টেস্ট ক্রিকেট।’
তবে নিজের আর দলের এমন ফর্মে সিদ্ধান্তটা শুধু নিজে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই পন্টিং। তবে তাঁর জন্য স্বস্তির যে, আপাতত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও আস্থা হারাচ্ছে না পন্টিংয়ের ওপর। প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ বলেছেন, ‘আমরা রিকির সুস্থ হওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি চতুর্থ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে ওই আমাদের নেতৃত্ব দেবে।’ সিডনির অধিনায়ক ক্লার্কের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াতেও শুরুতেই পন্টিং প্রসঙ্গ, ‘অবশ্যই আমি সম্মানিত বোধ করছি। তবে এটা শুধু এই ম্যাচের জন্য, আশা করি যত দ্রুত সম্ভব পান্টারকে আমরা ফিরে পাব। যত দ্রুত ওকে ফিরে পাই, ততই আমাদের জন্য ভালো।’
শঙ্কা ছিল ক্লার্কের অধিনায়কত্ব নিয়েও। ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০০৮ সালে ডেপুটি করা হলেও রান-খরায় দলে জায়গা টিকিয়ে রাখাই দায়। ব্র্যাড হাডিনকে আপৎকালীন অধিনায়ক করে ভবিষ্যতের জন্য স্টিভেন স্মিথ, শেন ওয়াটসনদের গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছিলেন সাবেকদের অনেকে। তবে নির্বাচকেরা শেষ পর্যন্ত আস্থা রেখেছেন ক্লার্কেই, প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানাচ্ছেন, নির্বাচকদের সুপারিশে সায় দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালকদের সবাই। শুরুতেই ক্লার্ককে পড়তে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষায়। অ্যাশেজ তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে দেশের মাটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ২৪ বছর ধরে সিরিজ না হারার গর্ব ধরে রাখার সুযোগ আছে এখনো। পারবেন ক্লার্ক?
No comments