আজীবন বিপ্লবী মণি সিংহ by তুষার কণা খোন্দকার
আজ ৩১ ডিসেম্বর আজীবন বিপ্লবী মণি সিংহের মৃত্যু দিবস।
রাজনৈতিক বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত জীবনাচরণের বিচারে মানুষ মণি সিংহ একজন নিখাদ বিপ্লবী। তাঁর বিপ্লবী সত্তা তাঁকে যুগান্তরে ইতিহাসের অংশ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে।
বিশ শতকের গোড়ায় ব্রিটিশের উপনিবেশ ভারতে বেশির ভাগ মানুষকে ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হচ্ছিল। সে সময় এ দেশের মানুষ ভাবত, ইংরেজ চলে গেলে তাদের জীবনে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের অবসান হবে। ১৯১৪ সালে কলকাতায় স্কুলপড়ুয়া কিশোর মণি সিংহ ইংরেজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার স্বপ্ন বুকে নিয়ে সশস্ত্র জাতীয়তাবাদী সংগঠন অনুশীলন দলের সদস্য হয়েছিলেন।
ছয় বছর পরে ১৯২১ সালে ভারতজুড়ে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে তরুণ মণি সিংহ আন্দোলনের সহিংস পথ নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলেন। সেই সঙ্গে তাঁর চেতনায় আরও একটি প্রশ্ন যোগ হলো, ভারতের স্বাধীনতা ও মানুষের মুক্তি—এ দুটি বিষয় কি সমার্থক?
মণি সিংহের যৌবনকাল এবং সেই সময়ের ঔপনিবেশিক ভারতের সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনা করলে বিপ্লবী মণি সিংহের রাজনৈতিক বিদ্রোহ এবং সারা জীবন বিপ্লবের বিশ্বাসে অবিচল থাকার নিষ্ঠাকে সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব। ১৯১৭ সালের দুনিয়া কাঁপানো রুশ বিপ্লব সারা দুনিয়ার শিক্ষিত ও শুভবুদ্ধির তরুণদের মনে প্রবল আবেগের জন্ম দিয়েছিল। আজকের দিনে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের সফলতা-বিফলতার মানদণ্ডে বিচার করে সেদিনের বিপ্লবীদের শোষণমুক্তির আন্দোলনের স্বরূপ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। বিপ্লবী মণি সিংহকে তাঁর সমকালের বাস্তবতায় বিচার করা খুব জরুরি। তিনি এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষ পরস্পরকে শোষণ করার সুযোগ পাবে না। ইংরেজ শাসককে তাড়িয়ে দিয়ে ভারতে এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা হবে সব মানুষের জন্য সমসুযোগ সৃষ্টি করার উপযোগী একটি প্রতিষ্ঠান। ধারণা হিসেবে এমন আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষের কাম্য। সমাজের সব মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সমাজতন্ত্রকে তিনি শ্রেষ্ঠ পথ বলে গ্রহণ করেছিলেন এবং সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য মণি সিংহ আজীবন তাঁর বিশুদ্ধ বিপ্লবী চরিত্র অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন।
কমরেড মণি সিংহের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থে জ্যোতি বসু তাঁকে স্মরণ করেছেন ‘কমরেড মণি সিংহকে স্মরণ করা জরুরি’ শিরোনামের লেখায়। আজকের বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় জ্যোতি বসুর এই আহ্বানের উপযোগিতা আরও জোরালো মাত্রা পেয়েছে। রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত জীবনাচরণের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের দুস্তর ফারাক দেশবাসীর জন্য খুব বড় এক বিড়ম্বনা। রাজনীতিকদের জীবনের এই বৈপরীত্য আজকের দিনে শিক্ষিত মেধাবী তরুণ সমাজকে রাজনীতিবিমুখ করে তুলছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। এমন সময় আজকের তরুণ সমাজের সামনে এ দেশের সৎ রাজনীতিবিদদের বিশুদ্ধ জীবনাদর্শের ঐতিহ্য তুলে ধরা সত্যি খুব জরুরি। আদর্শ বিশুদ্ধ রাজনীতিক হিসেবে মণি সিংহ আজকের তরুণ সমাজের জন্যও আদর্শ। কারণ রাজনৈতিক বিশ্বাস ও জীবনাচরণে তাঁর কোনো তফাত ছিল না।
গরিব দেশগুলোতে রাষ্ট্র পরিচালনায় যাঁরা আছেন, তাঁদের সামনে দারিদ্র্যমুক্তি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র্যবিমোচনের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতারা এবং অর্থনীতিবিদেরা নিঃসন্দেহে ভয়ানক হিমশিম খাচ্ছেন। রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের প্রশ্নে মণি সিংহের পদ্ধতি দারিদ্র্যমুক্তির কৌশল হিসেবে এখনো উপযোগ হারায়নি। কারণ মণি সিংহ সারা জীবন গরিবের রাজনীতি করায় এ কাজে তাঁর অবস্থান ছিল খুব সোজাসাপ্টা এবং স্পষ্ট। গরিবের সমস্যা নির্ধারণের প্রশ্নে তিনি গরিবের নিজস্ব কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। মণি সিংহ সুসং দুর্গাপুরে যে টংক আন্দোলন করেছিলেন, সেখানে সেই আন্দোলনের বাণী তিনি বাইরে থেকে বয়ে নিয়ে যাননি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, টংক-প্রথার অত্যাচারে জর্জরিত কৃষকেরা আন্দোলনের দাবি নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন। সেই বাস্তবতায় তিনি কৃষকের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন; নেতা হয়ে তিনি আন্দোলনের ধারণা কিংবা বিষয়বস্তু গরিবের ওপর চাপিয়ে দেননি।
রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে সমাজতন্ত্রের গ্রহণযোগ্যতা এখন হাজার প্রশ্নের মুখোমুখি। আদর্শ হিসেবে কমিউনিজমের উপযোগিতা নিয়ে বিতর্ক একপাশে সরিয়ে রেখে মানুষ মণি সিংহের একবুক সাহস, অবিচল নিষ্ঠা ও মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত শক্তি শ্রদ্ধা পাওয়ার দাবিদার। মণি সিংহ জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও কৃষকের স্বার্থে কৃষকের দাবি নিয়ে নিকটাত্মীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিতে দ্বিধা করেননি। তিনি যখন টংক আন্দোলনে কৃষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর নিজেরও টংক জমি ছিল। ব্রিটিশ ভারতে কলকাতায় শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কিংবা দেশজুড়ে কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত করার কাজে কোনো দিন মণি সিংহের বিশ্বাস ও আচরণে কোনো বৈপরীত্য ঘটেনি। আক্ষরিক অর্থে শোষণমুক্তির আদর্শের প্রতি চিরকাল অবিচল ছিলেন কমরেড মণি সিংহ। বিপ্লবী মণি সিংহের নিষ্ঠা, ত্যাগ ও সাহসের সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য আজকের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। মণি সিংহের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ২৮ জুলাই ২০০০ সালে সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘তরুণ বিপ্লবীদের আদর্শ ও প্রেরণার উৎস’। ওই প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘দেশে কমরেড মনি সিংহের মতো সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদের আজ খুব প্রয়োজন।’
তুষার কণা খোন্দকার: কথাসাহিত্যিক।
রাজনৈতিক বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত জীবনাচরণের বিচারে মানুষ মণি সিংহ একজন নিখাদ বিপ্লবী। তাঁর বিপ্লবী সত্তা তাঁকে যুগান্তরে ইতিহাসের অংশ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে।
বিশ শতকের গোড়ায় ব্রিটিশের উপনিবেশ ভারতে বেশির ভাগ মানুষকে ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হচ্ছিল। সে সময় এ দেশের মানুষ ভাবত, ইংরেজ চলে গেলে তাদের জীবনে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের অবসান হবে। ১৯১৪ সালে কলকাতায় স্কুলপড়ুয়া কিশোর মণি সিংহ ইংরেজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার স্বপ্ন বুকে নিয়ে সশস্ত্র জাতীয়তাবাদী সংগঠন অনুশীলন দলের সদস্য হয়েছিলেন।
ছয় বছর পরে ১৯২১ সালে ভারতজুড়ে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে তরুণ মণি সিংহ আন্দোলনের সহিংস পথ নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলেন। সেই সঙ্গে তাঁর চেতনায় আরও একটি প্রশ্ন যোগ হলো, ভারতের স্বাধীনতা ও মানুষের মুক্তি—এ দুটি বিষয় কি সমার্থক?
মণি সিংহের যৌবনকাল এবং সেই সময়ের ঔপনিবেশিক ভারতের সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনা করলে বিপ্লবী মণি সিংহের রাজনৈতিক বিদ্রোহ এবং সারা জীবন বিপ্লবের বিশ্বাসে অবিচল থাকার নিষ্ঠাকে সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব। ১৯১৭ সালের দুনিয়া কাঁপানো রুশ বিপ্লব সারা দুনিয়ার শিক্ষিত ও শুভবুদ্ধির তরুণদের মনে প্রবল আবেগের জন্ম দিয়েছিল। আজকের দিনে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের সফলতা-বিফলতার মানদণ্ডে বিচার করে সেদিনের বিপ্লবীদের শোষণমুক্তির আন্দোলনের স্বরূপ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। বিপ্লবী মণি সিংহকে তাঁর সমকালের বাস্তবতায় বিচার করা খুব জরুরি। তিনি এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষ পরস্পরকে শোষণ করার সুযোগ পাবে না। ইংরেজ শাসককে তাড়িয়ে দিয়ে ভারতে এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা হবে সব মানুষের জন্য সমসুযোগ সৃষ্টি করার উপযোগী একটি প্রতিষ্ঠান। ধারণা হিসেবে এমন আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষের কাম্য। সমাজের সব মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সমাজতন্ত্রকে তিনি শ্রেষ্ঠ পথ বলে গ্রহণ করেছিলেন এবং সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য মণি সিংহ আজীবন তাঁর বিশুদ্ধ বিপ্লবী চরিত্র অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন।
কমরেড মণি সিংহের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থে জ্যোতি বসু তাঁকে স্মরণ করেছেন ‘কমরেড মণি সিংহকে স্মরণ করা জরুরি’ শিরোনামের লেখায়। আজকের বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় জ্যোতি বসুর এই আহ্বানের উপযোগিতা আরও জোরালো মাত্রা পেয়েছে। রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত জীবনাচরণের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের দুস্তর ফারাক দেশবাসীর জন্য খুব বড় এক বিড়ম্বনা। রাজনীতিকদের জীবনের এই বৈপরীত্য আজকের দিনে শিক্ষিত মেধাবী তরুণ সমাজকে রাজনীতিবিমুখ করে তুলছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। এমন সময় আজকের তরুণ সমাজের সামনে এ দেশের সৎ রাজনীতিবিদদের বিশুদ্ধ জীবনাদর্শের ঐতিহ্য তুলে ধরা সত্যি খুব জরুরি। আদর্শ বিশুদ্ধ রাজনীতিক হিসেবে মণি সিংহ আজকের তরুণ সমাজের জন্যও আদর্শ। কারণ রাজনৈতিক বিশ্বাস ও জীবনাচরণে তাঁর কোনো তফাত ছিল না।
গরিব দেশগুলোতে রাষ্ট্র পরিচালনায় যাঁরা আছেন, তাঁদের সামনে দারিদ্র্যমুক্তি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র্যবিমোচনের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতারা এবং অর্থনীতিবিদেরা নিঃসন্দেহে ভয়ানক হিমশিম খাচ্ছেন। রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের প্রশ্নে মণি সিংহের পদ্ধতি দারিদ্র্যমুক্তির কৌশল হিসেবে এখনো উপযোগ হারায়নি। কারণ মণি সিংহ সারা জীবন গরিবের রাজনীতি করায় এ কাজে তাঁর অবস্থান ছিল খুব সোজাসাপ্টা এবং স্পষ্ট। গরিবের সমস্যা নির্ধারণের প্রশ্নে তিনি গরিবের নিজস্ব কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। মণি সিংহ সুসং দুর্গাপুরে যে টংক আন্দোলন করেছিলেন, সেখানে সেই আন্দোলনের বাণী তিনি বাইরে থেকে বয়ে নিয়ে যাননি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, টংক-প্রথার অত্যাচারে জর্জরিত কৃষকেরা আন্দোলনের দাবি নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন। সেই বাস্তবতায় তিনি কৃষকের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন; নেতা হয়ে তিনি আন্দোলনের ধারণা কিংবা বিষয়বস্তু গরিবের ওপর চাপিয়ে দেননি।
রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে সমাজতন্ত্রের গ্রহণযোগ্যতা এখন হাজার প্রশ্নের মুখোমুখি। আদর্শ হিসেবে কমিউনিজমের উপযোগিতা নিয়ে বিতর্ক একপাশে সরিয়ে রেখে মানুষ মণি সিংহের একবুক সাহস, অবিচল নিষ্ঠা ও মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত শক্তি শ্রদ্ধা পাওয়ার দাবিদার। মণি সিংহ জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও কৃষকের স্বার্থে কৃষকের দাবি নিয়ে নিকটাত্মীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিতে দ্বিধা করেননি। তিনি যখন টংক আন্দোলনে কৃষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর নিজেরও টংক জমি ছিল। ব্রিটিশ ভারতে কলকাতায় শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কিংবা দেশজুড়ে কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত করার কাজে কোনো দিন মণি সিংহের বিশ্বাস ও আচরণে কোনো বৈপরীত্য ঘটেনি। আক্ষরিক অর্থে শোষণমুক্তির আদর্শের প্রতি চিরকাল অবিচল ছিলেন কমরেড মণি সিংহ। বিপ্লবী মণি সিংহের নিষ্ঠা, ত্যাগ ও সাহসের সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য আজকের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। মণি সিংহের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ২৮ জুলাই ২০০০ সালে সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘তরুণ বিপ্লবীদের আদর্শ ও প্রেরণার উৎস’। ওই প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘দেশে কমরেড মনি সিংহের মতো সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদের আজ খুব প্রয়োজন।’
তুষার কণা খোন্দকার: কথাসাহিত্যিক।
No comments