গণহত্যার দ্বারপ্রান্তে আইভরি কোস্ট
জাতিসংঘে নিযুক্ত আইভরি কোস্টের নতুন দূত ইউসোউফোউ বামবা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশটি ‘গণহত্যার দ্বারপ্রান্তে’ পৌঁছে গেছে। গত বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে তিনি এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। সদ্য অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী আলাসেন ওয়েতাহা তাঁকে জাতিসংঘের দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবো ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ালে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট (ইসিওডব্লিউএএস)। এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে আইভরি কোস্ট ছেড়ে পাশের দেশগুলোয় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত আইভরি কোস্টের দূত বামবা নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আলাসেন ওয়েতাহা বিজয়ী হয়েছেন। আমি মনে করি, আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট প্রশ্নে বিতর্কের অবসান হয়েছে। এখন লঅন্ত বাগবো কখন ও কীভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলবেন।’
বামবা বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আইভরি কোস্টে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা নিয়ে ওয়েতাহা খুব উদ্বিগ্ন। তিনি জানান, শুধু বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে বা জনগণের ইচ্ছার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে দেশের ১৭৩ জন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। বামবা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সবখানে আলোচনার সময় আমি এটা বলতে চাই, আমরা গণহত্যার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি।’
আইভরি কোস্টের দূত বামবা বলেন, ‘এই পরিস্থিতি এড়াতে কিছু করা উচিত। আমরা আশা করি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে। তারা আইভরি কোস্টের পরিস্থিতি নিয়ে ভাববে।’
ইসিওডব্লিউএএসের প্রতিনিধি হিসেবে আগামী সোমবার আবারও আইভরি কোস্ট যাবেন বেনিনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইউয়েয়ি বোনি, সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা রদ্রিগেজ পিরেস। তাঁরা বাগবো ও ওয়েতাহার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিন প্রেসিডেন্ট গত মঙ্গলবার আইভরি কোস্টে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তবে কোনো সমঝোতা হয়নি।
ইসিওডব্লিউএএসের রাজনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক পরিচালক আবদেল ফাতাউ মুসাহ জানান, বাগবো পদত্যাগ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে গত মঙ্গল ও বুধবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে পশ্চিম আফ্রিকার সামরিক বাহিনীর প্রধান ও জোটের সদস্যরা অংশ নেন।
আইভরি কোস্টে সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশ ছেড়ে লাইবেরিয়া, ঘানা, গিনি ও মালিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলারের সাহায্য কামনা করা হয়েছে। সংগঠনের সেনেগালভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ক আইটা সার জানান, আইভরি কোস্ট ছেড়ে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ লাইবেরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত বুধবার এক বৈঠকে লঅন্ত বাগবোর ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনের ইউরোপ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একমত হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপে তাঁদের জব্দ করা সম্পদের সংখ্যা ১৯ থেকে বাড়িয়ে ৬১-তে উন্নীত করেছে।
গত ২৮ নভেম্বর আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ করা হয়। দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলীয় প্রার্থী ওয়েতাহাকে জয়ী ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবিধানিক পরিষদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বাগবো। ওয়েতাহাও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওয়েতাহার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাগবোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, ওয়েতাহা দেশটির আবিদজান শহরে একটি হোটেলে কার্যালয় বানিয়ে অবস্থান করছেন। দেশটিতে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে অবস্থান করছেন বাগবো।
আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবো ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ালে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট (ইসিওডব্লিউএএস)। এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে আইভরি কোস্ট ছেড়ে পাশের দেশগুলোয় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত আইভরি কোস্টের দূত বামবা নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আলাসেন ওয়েতাহা বিজয়ী হয়েছেন। আমি মনে করি, আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট প্রশ্নে বিতর্কের অবসান হয়েছে। এখন লঅন্ত বাগবো কখন ও কীভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলবেন।’
বামবা বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আইভরি কোস্টে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা নিয়ে ওয়েতাহা খুব উদ্বিগ্ন। তিনি জানান, শুধু বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে বা জনগণের ইচ্ছার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে দেশের ১৭৩ জন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। বামবা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সবখানে আলোচনার সময় আমি এটা বলতে চাই, আমরা গণহত্যার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি।’
আইভরি কোস্টের দূত বামবা বলেন, ‘এই পরিস্থিতি এড়াতে কিছু করা উচিত। আমরা আশা করি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে। তারা আইভরি কোস্টের পরিস্থিতি নিয়ে ভাববে।’
ইসিওডব্লিউএএসের প্রতিনিধি হিসেবে আগামী সোমবার আবারও আইভরি কোস্ট যাবেন বেনিনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইউয়েয়ি বোনি, সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা রদ্রিগেজ পিরেস। তাঁরা বাগবো ও ওয়েতাহার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিন প্রেসিডেন্ট গত মঙ্গলবার আইভরি কোস্টে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তবে কোনো সমঝোতা হয়নি।
ইসিওডব্লিউএএসের রাজনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক পরিচালক আবদেল ফাতাউ মুসাহ জানান, বাগবো পদত্যাগ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে গত মঙ্গল ও বুধবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে পশ্চিম আফ্রিকার সামরিক বাহিনীর প্রধান ও জোটের সদস্যরা অংশ নেন।
আইভরি কোস্টে সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশ ছেড়ে লাইবেরিয়া, ঘানা, গিনি ও মালিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলারের সাহায্য কামনা করা হয়েছে। সংগঠনের সেনেগালভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ক আইটা সার জানান, আইভরি কোস্ট ছেড়ে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ লাইবেরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত বুধবার এক বৈঠকে লঅন্ত বাগবোর ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনের ইউরোপ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একমত হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপে তাঁদের জব্দ করা সম্পদের সংখ্যা ১৯ থেকে বাড়িয়ে ৬১-তে উন্নীত করেছে।
গত ২৮ নভেম্বর আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ করা হয়। দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলীয় প্রার্থী ওয়েতাহাকে জয়ী ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবিধানিক পরিষদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বাগবো। ওয়েতাহাও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওয়েতাহার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাগবোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, ওয়েতাহা দেশটির আবিদজান শহরে একটি হোটেলে কার্যালয় বানিয়ে অবস্থান করছেন। দেশটিতে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে অবস্থান করছেন বাগবো।
No comments