আইন পাসের ১০ মাস পর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন
আইন পাস হওয়ার ১০ মাস পর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। একজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্য নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শেফাক আহমেদকে। তিনি একজন অ্যাকচুয়্যারি। আর তিনজন সদস্য হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) জিয়াউল হক মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নব গোপাল বণিক এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব মো. শমসের আলী। আরও একজন সদস্য দ্রুত নিয়োগ করা হবে।
গত বছরের ১৮ মার্চ বিমা আইন-২০১০ এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ পাস হয়েছে। কিন্তু পাস হলেও দুই আইনই অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকে। অর্থাৎ নতুন আইন হলেও দেশের বিমা খাত পরিচালিত হয়ে আসছিল পুরোনো ১৯৩৮ সালের বিমা আইনেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্তৃপক্ষ গঠিত না হওয়ার কারণে বিমা বিধিমালা তৈরি করা যায়নি। আর বিমা বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় কার্যকর করা যায়নি নতুন আইন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যেহেতু গঠিত হলো, এখন এর প্রধান কাজ হবে বিমা বিধিমালা তৈরিতে হাত দেওয়া।’
উল্লেখ্য, বিমা খাতের দেখভালের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে নতুন বিমা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার সময় বিমা খাতের দেখভালের দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এখন তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওপর ন্যস্ত।
আইনানুযায়ী গতকাল বুধবারই বিমা অধিদপ্তর বাতিল হয়ে গেছে। আর বিলুপ্ত অধিদপ্তরের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থও এখন থেকে কর্তৃপক্ষের আওতায় চলে এসেছে। বিমা অধিদপ্তরের সব ঋণ, দায় দায়িত্বও বহন করবে নতুন সংস্থাটি। অর্থাৎ এখন থেকে দেশের বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলো বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো, বিমা ও পুনর্বিমা ব্যবসাসংক্রান্ত পেশাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়া বিমাকারী, পুনর্বিমাকারী, মধ্যস্থতাকারীদের (এজেন্ট) নিবন্ধন ও সনদ প্রদান এবং নিবন্ধনের নবায়ন, সংশোধন, প্রত্যাহার, স্থগিত বা বাতিল করবে এই সংস্থা।
সংস্থাটি বিমাশিল্পের উন্নয়নসংক্রান্ত সব বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেবে। বিমা পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে তহবিল গঠন ও নিয়ন্ত্রণ এবং বিমা ও পুনর্বিমা কোম্পানির তহবিলও বিনিয়োগ করবে।
জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ তার কাজের সুবিধার্থে যেকোনো সময় এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে।
যোগাযোগ করলে এম শেফাক আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, নতুন আইন অনুযায়ী বিমা খাতের উন্নয়ন এবং তদারকিতে তিনি নজর দেবেন। আজ বৃহস্পতিবার অথবা আগামী রোববার থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
শেফাক আহমেদ বলেন, কিছুটা জটিল হলেও বিমা খাত দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় খাত। এই খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। তাঁর ভাষায়, ‘জীবনভর এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার পুরো অভিজ্ঞতাই আমি কর্তৃপক্ষের জন্য ঢেলে দিতে চাই।’
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শেফাক আহমেদকে। তিনি একজন অ্যাকচুয়্যারি। আর তিনজন সদস্য হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) জিয়াউল হক মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নব গোপাল বণিক এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব মো. শমসের আলী। আরও একজন সদস্য দ্রুত নিয়োগ করা হবে।
গত বছরের ১৮ মার্চ বিমা আইন-২০১০ এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ পাস হয়েছে। কিন্তু পাস হলেও দুই আইনই অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকে। অর্থাৎ নতুন আইন হলেও দেশের বিমা খাত পরিচালিত হয়ে আসছিল পুরোনো ১৯৩৮ সালের বিমা আইনেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্তৃপক্ষ গঠিত না হওয়ার কারণে বিমা বিধিমালা তৈরি করা যায়নি। আর বিমা বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় কার্যকর করা যায়নি নতুন আইন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যেহেতু গঠিত হলো, এখন এর প্রধান কাজ হবে বিমা বিধিমালা তৈরিতে হাত দেওয়া।’
উল্লেখ্য, বিমা খাতের দেখভালের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে নতুন বিমা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার সময় বিমা খাতের দেখভালের দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এখন তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওপর ন্যস্ত।
আইনানুযায়ী গতকাল বুধবারই বিমা অধিদপ্তর বাতিল হয়ে গেছে। আর বিলুপ্ত অধিদপ্তরের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থও এখন থেকে কর্তৃপক্ষের আওতায় চলে এসেছে। বিমা অধিদপ্তরের সব ঋণ, দায় দায়িত্বও বহন করবে নতুন সংস্থাটি। অর্থাৎ এখন থেকে দেশের বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলো বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো, বিমা ও পুনর্বিমা ব্যবসাসংক্রান্ত পেশাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়া বিমাকারী, পুনর্বিমাকারী, মধ্যস্থতাকারীদের (এজেন্ট) নিবন্ধন ও সনদ প্রদান এবং নিবন্ধনের নবায়ন, সংশোধন, প্রত্যাহার, স্থগিত বা বাতিল করবে এই সংস্থা।
সংস্থাটি বিমাশিল্পের উন্নয়নসংক্রান্ত সব বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেবে। বিমা পলিসি গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে তহবিল গঠন ও নিয়ন্ত্রণ এবং বিমা ও পুনর্বিমা কোম্পানির তহবিলও বিনিয়োগ করবে।
জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ তার কাজের সুবিধার্থে যেকোনো সময় এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে।
যোগাযোগ করলে এম শেফাক আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, নতুন আইন অনুযায়ী বিমা খাতের উন্নয়ন এবং তদারকিতে তিনি নজর দেবেন। আজ বৃহস্পতিবার অথবা আগামী রোববার থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
শেফাক আহমেদ বলেন, কিছুটা জটিল হলেও বিমা খাত দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় খাত। এই খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। তাঁর ভাষায়, ‘জীবনভর এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার পুরো অভিজ্ঞতাই আমি কর্তৃপক্ষের জন্য ঢেলে দিতে চাই।’
No comments