হামাসকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিল ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা
ফিলিস্তিনি ইসলামি সংগঠন হামাসকে দুর্বল করার চেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা। মধ্যপ্রাচ্য শান্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত নথিপত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ২০০৪ সালের নথি থেকে এই তথ্য জানা যায়। ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাসের বিজয় এবং গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগের ঘটনার এসব নথি ফাঁস করেছে আল-জাজিরা।
আল-জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দেড় হাজারেরও বেশি গোপন নথিপত্র রয়েছে তাদের কাছে। টেলিভিশন চ্যানেলটি এখন ধীরে ধীরে এসব নথিপত্র প্রকাশ করছে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লেখা সাত পৃষ্ঠার ফিলিস্তিন নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ২০০৩ সালের শান্তি উদ্যোগ ‘রোডম্যাপের’ প্রথম ধাপের আওতায় নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতা পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) সক্ষম ও উৎসাহিত করাই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। ওই শান্তি উদ্যোগের আওতায় ইসরায়েল বসতি নির্মাণ বন্ধ করতে রাজি হয়। ফিলিস্তিনিরাও জঙ্গি কার্যক্রম রোধ করার উদ্যোগ নিতে সম্মত হয়।
দলের কিছু জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হামাসের মতো পশ্চিম তীরের অন্যান্য উগ্রপন্থী দলকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য পিএকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।
ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের নিরাত্তা পরিকল্পনায় হামাস, পিআইজে (প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ) ও আল-আকসা ব্রিগেডের নাম উল্লেখ করে ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার বিরোধী ব্যক্তিদের সামর্থ্য কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি পন্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পন্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে: তাঁদের নেতাদের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্য ব্যাহতকরণ; মধ্যম সারির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের আটক; তাঁদের অস্ত্রভান্ডার জব্দ ও অধিকৃত অঞ্চলে তাঁদের অর্থের উৎস বন্ধ করা।
সহিংসতা বন্ধে আরাফাতের ব্যর্থতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, তখন এমআই৬ ওই সুপারিশপত্র প্রণয়ন করে।
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার আরও কিছু নথিপত্র প্রকাশ করে আল-জাজিরা। যেখানে ২০০৫ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শল মোফাজ ও পিএর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের ইউসেফের মধ্যকার বৈঠকের হাতে লেখা বর্ণনা প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে তাঁরা হাসান আল-মাদহুন নামের এক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেন। আল-মাদহুন ছিলেন আল-আকসা মর্টারস ব্রিগেডের সদস্য।
মোফাজ জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা কেন তাঁকে হত্যা করছেন না?’ জবাবে ইউসেফ বলেন, পশ্চিম তীরের নিরাপত্তাপ্রধান রাশেদ আবু সাবাককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই বৈঠকের কয়েক মাস পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হাসান আল-মাদহুন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ক্ষোভ: আল-জাজিরা টেলিভিশন ফিলিস্তিন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
আল-জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দেড় হাজারেরও বেশি গোপন নথিপত্র রয়েছে তাদের কাছে। টেলিভিশন চ্যানেলটি এখন ধীরে ধীরে এসব নথিপত্র প্রকাশ করছে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লেখা সাত পৃষ্ঠার ফিলিস্তিন নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ২০০৩ সালের শান্তি উদ্যোগ ‘রোডম্যাপের’ প্রথম ধাপের আওতায় নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতা পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) সক্ষম ও উৎসাহিত করাই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। ওই শান্তি উদ্যোগের আওতায় ইসরায়েল বসতি নির্মাণ বন্ধ করতে রাজি হয়। ফিলিস্তিনিরাও জঙ্গি কার্যক্রম রোধ করার উদ্যোগ নিতে সম্মত হয়।
দলের কিছু জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হামাসের মতো পশ্চিম তীরের অন্যান্য উগ্রপন্থী দলকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য পিএকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।
ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের নিরাত্তা পরিকল্পনায় হামাস, পিআইজে (প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ) ও আল-আকসা ব্রিগেডের নাম উল্লেখ করে ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার বিরোধী ব্যক্তিদের সামর্থ্য কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি পন্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পন্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে: তাঁদের নেতাদের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্য ব্যাহতকরণ; মধ্যম সারির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের আটক; তাঁদের অস্ত্রভান্ডার জব্দ ও অধিকৃত অঞ্চলে তাঁদের অর্থের উৎস বন্ধ করা।
সহিংসতা বন্ধে আরাফাতের ব্যর্থতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, তখন এমআই৬ ওই সুপারিশপত্র প্রণয়ন করে।
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার আরও কিছু নথিপত্র প্রকাশ করে আল-জাজিরা। যেখানে ২০০৫ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শল মোফাজ ও পিএর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের ইউসেফের মধ্যকার বৈঠকের হাতে লেখা বর্ণনা প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে তাঁরা হাসান আল-মাদহুন নামের এক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেন। আল-মাদহুন ছিলেন আল-আকসা মর্টারস ব্রিগেডের সদস্য।
মোফাজ জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা কেন তাঁকে হত্যা করছেন না?’ জবাবে ইউসেফ বলেন, পশ্চিম তীরের নিরাপত্তাপ্রধান রাশেদ আবু সাবাককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই বৈঠকের কয়েক মাস পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হাসান আল-মাদহুন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ক্ষোভ: আল-জাজিরা টেলিভিশন ফিলিস্তিন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
No comments