আবাহনীকে শীর্ষে তুললেন ফ্রাঙ্ক
অনেক বিদেশি স্ট্রাইকার আবাহনীতে খেলে গেছেন। কজন দর্শকমনে ঠাঁই নিয়েছেন? তুয়াম ফ্রাঙ্ক এসব জানেন না। তবে আবাহনীর জার্সি গায়ে স্মরণীয় হয়ে থাকার স্বপ্ন দেখছেন ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার। আরেকটি ম্যাচে দলকে জিতিয়ে সেই স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন।
ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১-০ ম্যাচে আবাহনীর জয়সূচক গোলদাতার নাম ফ্রাঙ্ক। এ নিয়ে চার ম্যাচে ৪ গোল করলেন। সব ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নরা। একটি মাত্র গোল করে দলকে জেতালেন দুবার। শেখ জামাল ও ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে গোল পাননি। দলও জেতেনি। পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রাঙ্ক গোল করলে আবাহনী জেতে। তিনি এখন আবাহনীর ‘অমূল্য সম্পদ’।
ব্রাদার্সের সম্পদ ছিলেন এভারটন, ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার পারেননি বড় ম্যাচে দলকে পয়েন্ট এনে দিতে। তাঁরই স্বদেশি ডিফেন্ডার ড্যানিলো নিয়েছেন গোলরক্ষকের ভূমিকা! ৪০ মিনিটে ব্রাদার্সের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল আঘাত পাওয়ায় মাঠে আসা সবুজ দাস (রঘু) গোল বাঁচাতে লাল কার্ড দেখেছেন ৭৫ মিনিটে। মিতুলের জার্সি পরেই ড্যানিলো পোস্টের নিচে ছিলেন বাকি সময়। দু-তিনবার বলও ধরেছেন। বল নয়, যেন কই মাছ ধরেছেন!
‘উপভোগ্য’ এই দৃশ্য নয়, ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রাঙ্কের দুর্দান্ত ভলিতে লক্ষ্যভেদ—ওটাই কাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে সবচেয়ে দৃষ্টিকাড়া ছবি। তরুণ গোলরক্ষক সোহেল যেভাবে দলকে নির্ভরতা দিলেন, সেটিও আবাহনী সমর্থকদের কাছে ছিল স্বস্তির। প্রধান দুই গোলরক্ষক না থাকায় গোলপোস্টই এখন আবাহনীর বড় উদ্বেগের জায়গা। সেই উদ্বেগ জয় করে যোগ্যতর দল হিসেবে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা চ্যাম্পিয়নদের জন্য প্রেরণাও বটে।
ফ্রাঙ্ক ২-০ করতে পারলে জয়টা সহজ হতো। ইব্রাহিমের থ্রু ধরে ফ্রাঙ্ক এগিয়ে যাচ্ছিলেন গোলমুখে, ব্রাদার্স গোলরক্ষক রঘু বক্সের বাইরে ফ্রাঙ্ককে ফাউল করে দেখলেন লাল কার্ড। ম্যাড়মেড়ে বড় ম্যাচে নাটকীয়তা!
ব্রাদার্স সমর্থকেরা লাল কার্ড মানতে পারেনি, স্টেডিয়ামের চতুর্থ তলা থেকে তারা চেয়ার ছোড়া শুরু করল! ‘দেখ, আমরা কেমন মাস্তানি করতে পারি’—তাদের উগ্রতায় ছিল এমন ঘোষণা। এর আগেও চেয়ার ছুড়ে মেরেছে এই সমর্থকেরা, প্রতিকার না হওয়ায় এরা বেপরোয়া।
ম্যাচের পর আরেক কাণ্ড। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস (রুপু) রেফারিকে কী যেন বলেছিলেন। এক পুলিশ তাঁকে থামতে বললে রুপু ওই পুলিশ সদস্যকে বলেন, তাঁর (রুপুর) পরিচয়টা যেন পুলিশ জেনে নেয়। এরপর সবুজবাগ থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ফাহিম ছাপার অযোগ্য ভাষায় রুপুকে গালি দেন বলে অভিযোগ। আবাহনী এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে। স্লোগানও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেশের ফুটবলে অবদান রেখেছেন, ছিলেন অধিনায়ক, সেই রুপুকে গালি দেওয়ার ঘটনায় উপস্থিত সবাই ছিলেন বিস্মিত।
ব্রাদার্সের রক্ষণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে টানা তৃতীয় জয়। ছয় ম্যাচে চার জয়, এক ড্র, এক হার—১৩ পয়েন্ট নিয়ে এই প্রথম এবারের লিগের শীর্ষে উঠল আবাহনী (৫ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার ১২, শেখ রাসেলের ১০, মোহামেডানের ৯ ও শেখ জামালের ৮ পয়েন্ট)। আজই আবাহনীকে শীর্ষস্থানচ্যুত করতে পারে মুক্তিযোদ্ধা। তা যদি হয়ও, ফ্রাঙ্কের হাত ধরে এক দিনের জন্য শীর্ষে ওঠার স্বাদও তো কম নয়!
ঢাকা আবাহনী: সোহেল, লিঙ্কন, সামাদ, আমিনু, প্রাণতোষ, সিরাজী, মামুন, চৌমিন (অরূপ), ইব্রাহিম, রনি, ফ্রাঙ্ক।
ব্রাদার্স: মিতুল (রঘু), অপু, ইউসুফ, ড্যানিলো, আশরাফুল, ফয়সাল, ইমরোজ, তপু (নাদিম), কবির (তরু), এভারটন, রিচার্ড।
ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১-০ ম্যাচে আবাহনীর জয়সূচক গোলদাতার নাম ফ্রাঙ্ক। এ নিয়ে চার ম্যাচে ৪ গোল করলেন। সব ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নরা। একটি মাত্র গোল করে দলকে জেতালেন দুবার। শেখ জামাল ও ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে গোল পাননি। দলও জেতেনি। পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রাঙ্ক গোল করলে আবাহনী জেতে। তিনি এখন আবাহনীর ‘অমূল্য সম্পদ’।
ব্রাদার্সের সম্পদ ছিলেন এভারটন, ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার পারেননি বড় ম্যাচে দলকে পয়েন্ট এনে দিতে। তাঁরই স্বদেশি ডিফেন্ডার ড্যানিলো নিয়েছেন গোলরক্ষকের ভূমিকা! ৪০ মিনিটে ব্রাদার্সের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল আঘাত পাওয়ায় মাঠে আসা সবুজ দাস (রঘু) গোল বাঁচাতে লাল কার্ড দেখেছেন ৭৫ মিনিটে। মিতুলের জার্সি পরেই ড্যানিলো পোস্টের নিচে ছিলেন বাকি সময়। দু-তিনবার বলও ধরেছেন। বল নয়, যেন কই মাছ ধরেছেন!
‘উপভোগ্য’ এই দৃশ্য নয়, ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রাঙ্কের দুর্দান্ত ভলিতে লক্ষ্যভেদ—ওটাই কাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে সবচেয়ে দৃষ্টিকাড়া ছবি। তরুণ গোলরক্ষক সোহেল যেভাবে দলকে নির্ভরতা দিলেন, সেটিও আবাহনী সমর্থকদের কাছে ছিল স্বস্তির। প্রধান দুই গোলরক্ষক না থাকায় গোলপোস্টই এখন আবাহনীর বড় উদ্বেগের জায়গা। সেই উদ্বেগ জয় করে যোগ্যতর দল হিসেবে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা চ্যাম্পিয়নদের জন্য প্রেরণাও বটে।
ফ্রাঙ্ক ২-০ করতে পারলে জয়টা সহজ হতো। ইব্রাহিমের থ্রু ধরে ফ্রাঙ্ক এগিয়ে যাচ্ছিলেন গোলমুখে, ব্রাদার্স গোলরক্ষক রঘু বক্সের বাইরে ফ্রাঙ্ককে ফাউল করে দেখলেন লাল কার্ড। ম্যাড়মেড়ে বড় ম্যাচে নাটকীয়তা!
ব্রাদার্স সমর্থকেরা লাল কার্ড মানতে পারেনি, স্টেডিয়ামের চতুর্থ তলা থেকে তারা চেয়ার ছোড়া শুরু করল! ‘দেখ, আমরা কেমন মাস্তানি করতে পারি’—তাদের উগ্রতায় ছিল এমন ঘোষণা। এর আগেও চেয়ার ছুড়ে মেরেছে এই সমর্থকেরা, প্রতিকার না হওয়ায় এরা বেপরোয়া।
ম্যাচের পর আরেক কাণ্ড। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস (রুপু) রেফারিকে কী যেন বলেছিলেন। এক পুলিশ তাঁকে থামতে বললে রুপু ওই পুলিশ সদস্যকে বলেন, তাঁর (রুপুর) পরিচয়টা যেন পুলিশ জেনে নেয়। এরপর সবুজবাগ থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ফাহিম ছাপার অযোগ্য ভাষায় রুপুকে গালি দেন বলে অভিযোগ। আবাহনী এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে। স্লোগানও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেশের ফুটবলে অবদান রেখেছেন, ছিলেন অধিনায়ক, সেই রুপুকে গালি দেওয়ার ঘটনায় উপস্থিত সবাই ছিলেন বিস্মিত।
ব্রাদার্সের রক্ষণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে টানা তৃতীয় জয়। ছয় ম্যাচে চার জয়, এক ড্র, এক হার—১৩ পয়েন্ট নিয়ে এই প্রথম এবারের লিগের শীর্ষে উঠল আবাহনী (৫ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার ১২, শেখ রাসেলের ১০, মোহামেডানের ৯ ও শেখ জামালের ৮ পয়েন্ট)। আজই আবাহনীকে শীর্ষস্থানচ্যুত করতে পারে মুক্তিযোদ্ধা। তা যদি হয়ও, ফ্রাঙ্কের হাত ধরে এক দিনের জন্য শীর্ষে ওঠার স্বাদও তো কম নয়!
ঢাকা আবাহনী: সোহেল, লিঙ্কন, সামাদ, আমিনু, প্রাণতোষ, সিরাজী, মামুন, চৌমিন (অরূপ), ইব্রাহিম, রনি, ফ্রাঙ্ক।
ব্রাদার্স: মিতুল (রঘু), অপু, ইউসুফ, ড্যানিলো, আশরাফুল, ফয়সাল, ইমরোজ, তপু (নাদিম), কবির (তরু), এভারটন, রিচার্ড।
No comments