অস্ট্রেলিয়া দিবসে ইংলিশ উদ্যাপন
বর্ণিল আতশবাজিতে আকাশে রঙের ছটা। কখনো লাল, কখনো নীল, কখনো বা সবুজ। অ্যাডিলেড ওভালের ৩৪ হাজার দর্শকের বেশির ভাগকেই কিন্তু রাঙাল না অস্ট্রেলিয়া দিবসের এই উদ্যাপনের রং। অস্ট্রেলিয়া যে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেল ২১ রানে।
আগের ছয়টি ওয়ানডের পাঁচটিতে হারা ইংল্যান্ড অবশেষে সিরিজে প্রাণ ফিরিয়ে আনল। কাল ইংল্যান্ড হেরে গেলেই সাত ম্যাচ সিরিজের অলিখিত সমাপ্তি হয়ে যেত। কিন্তু হলো না একজন দক্ষিণ আফ্রিকানের জন্য। সিরিজটাকে ৩-১ করে দিয়েছেন আসলে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান—জোনাথন ট্রট। ব্যাট হাতে ১২৬ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে হোয়াইট-হাসির দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার। ম্যাচ-সেরার পুরস্কারে ট্রটের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
ট্রটের সেঞ্চুরি, ওপেনার ম্যাট প্রিয়রের ৫৮ বলে ৬৭, আটে নেমে মাইকেল ইয়ার্ডির ২৭ বলে খেলা ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের কল্যাণে ৮ উইকেটে ২৯৯ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডের সপ্তম সর্বোচ্চ স্কোরের পরেও স্বস্তি ছিল না। কারণ অস্ট্রেলিয়ার ছিল শেন আর শন। প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করেও ৬ উইকেটে ইংল্যান্ড হেরেছিল শেন ওয়াটসনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে। হোবার্টে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের পুঁজি দিয়েছিল শন মার্শের লড়াকু সেঞ্চুরি।
মার্শ এদিন মাত্র ১ রান করে রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছেন। মার্শের আগে হাডিন, পরে মাইকেল ক্লার্ককেও হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে গিয়েছিল ৮৭/৩। ওয়াটসন তখনো ছিলেন। কিন্তু আজমল শেহজাদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬৪ রান করা ওয়াটসন। ম্যাচের ভাগ্য আসলে নির্ধারিত হয়ে যায় ওখানেই।
ক্যামেরন হোয়াইট (৪৪), ডেভিড হাসি (২৮), স্টিভেন স্মিথরা (৪৬*) আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। অষ্টম উইকেটে স্মিথ-ব্রেট লি জুটিটা অবশ্য অসম্ভব এক স্বপ্নই দেখাতে শুরু করেছিল। কিন্তু ৭৭ রানের জুটিটা শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে, তার বেশি কিছু নয়।
২৮ বছর পর অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়ার আনন্দের সঙ্গে ইংল্যান্ডের জন্য যোগ হয়েছে সিরিজে ফেরার তৃপ্তিও। যদিও সিরিজটা জিততে হলে বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য হিসাবটা সহজ। ব্রিসবেন, সিডনি, পার্থের তিন ম্যাচের একটিতে জিতলেই যথেষ্ট। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৯৯/৮ (ট্রট ১০২, প্রিয়র ৬৭, ইয়ার্ডি ৩৯; ডেভিড হাসি ৪/২১, স্মিথ ৩/৩৩, লি ১/৬৮)। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ (ওয়াটসন ৬৪, স্মিথ ৪৬, হোয়াইট ৪৪; ট্রট ২/৩১, অ্যান্ডারসন ২/৫৭)। ফল: ইংল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জোনাথন ট্রট। সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ৩-১-এ এগিয়ে।
আগের ছয়টি ওয়ানডের পাঁচটিতে হারা ইংল্যান্ড অবশেষে সিরিজে প্রাণ ফিরিয়ে আনল। কাল ইংল্যান্ড হেরে গেলেই সাত ম্যাচ সিরিজের অলিখিত সমাপ্তি হয়ে যেত। কিন্তু হলো না একজন দক্ষিণ আফ্রিকানের জন্য। সিরিজটাকে ৩-১ করে দিয়েছেন আসলে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান—জোনাথন ট্রট। ব্যাট হাতে ১২৬ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে হোয়াইট-হাসির দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার। ম্যাচ-সেরার পুরস্কারে ট্রটের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
ট্রটের সেঞ্চুরি, ওপেনার ম্যাট প্রিয়রের ৫৮ বলে ৬৭, আটে নেমে মাইকেল ইয়ার্ডির ২৭ বলে খেলা ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের কল্যাণে ৮ উইকেটে ২৯৯ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডের সপ্তম সর্বোচ্চ স্কোরের পরেও স্বস্তি ছিল না। কারণ অস্ট্রেলিয়ার ছিল শেন আর শন। প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করেও ৬ উইকেটে ইংল্যান্ড হেরেছিল শেন ওয়াটসনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে। হোবার্টে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের পুঁজি দিয়েছিল শন মার্শের লড়াকু সেঞ্চুরি।
মার্শ এদিন মাত্র ১ রান করে রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছেন। মার্শের আগে হাডিন, পরে মাইকেল ক্লার্ককেও হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে গিয়েছিল ৮৭/৩। ওয়াটসন তখনো ছিলেন। কিন্তু আজমল শেহজাদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬৪ রান করা ওয়াটসন। ম্যাচের ভাগ্য আসলে নির্ধারিত হয়ে যায় ওখানেই।
ক্যামেরন হোয়াইট (৪৪), ডেভিড হাসি (২৮), স্টিভেন স্মিথরা (৪৬*) আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। অষ্টম উইকেটে স্মিথ-ব্রেট লি জুটিটা অবশ্য অসম্ভব এক স্বপ্নই দেখাতে শুরু করেছিল। কিন্তু ৭৭ রানের জুটিটা শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে, তার বেশি কিছু নয়।
২৮ বছর পর অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়ার আনন্দের সঙ্গে ইংল্যান্ডের জন্য যোগ হয়েছে সিরিজে ফেরার তৃপ্তিও। যদিও সিরিজটা জিততে হলে বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য হিসাবটা সহজ। ব্রিসবেন, সিডনি, পার্থের তিন ম্যাচের একটিতে জিতলেই যথেষ্ট। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৯৯/৮ (ট্রট ১০২, প্রিয়র ৬৭, ইয়ার্ডি ৩৯; ডেভিড হাসি ৪/২১, স্মিথ ৩/৩৩, লি ১/৬৮)। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ (ওয়াটসন ৬৪, স্মিথ ৪৬, হোয়াইট ৪৪; ট্রট ২/৩১, অ্যান্ডারসন ২/৫৭)। ফল: ইংল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জোনাথন ট্রট। সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ৩-১-এ এগিয়ে।
No comments