দারিদ্র্য দূর করতে রান্নাঘরের দিকে নজর জাতিসংঘের
দারিদ্র্য দূর করার জন্য জাতিসংঘ এর আগেও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তাদের এবারের পদক্ষেপটি একটু অন্য রকম। মানুষের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা বা সরাসরি খাবার সরবরাহ করা নয়। তাদের এবারের লক্ষ্য খাবার রান্নার ব্যবস্থাটা একটু জুতসই করা। জাতিসংঘের বার্তাটি এমন—কেক খাওয়া নয়, কেকটা তৈরিতে তাদের সাহায্য করতে হবে। তারা যেন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চুলায় কেকটি তৈরি করতে পারে।
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে কাঠ বা গোবর-নুড়ির সনাতন চুলায় রান্নার পরিবর্তে প্রতিটি বাড়িতে একটি করে আধুনিক চুলা যেন থাকে, তা নিশ্চিত করাই জাতিসংঘের এবারের কর্মসূচির লক্ষ্য।
জাতিসংঘ সম্মেলনে গত মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানান, বাড়িতে শুধু একটি ভালো চুলা ও বিদ্যুতের অভাব আধুনিক অন্ধকার যুগের সৃষ্টি করেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৪০ কোটি মানুষ বিদ্যুৎসুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর ৪০ শতাংশ মানুষ রান্নার জন্য কাঠ অথবা গোবর ব্যবহার করে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পেশ করা একটি প্রতিবেদনে আইইএ বলেছে, এটি লজ্জাজনক এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দরিদ্র দেশগুলোতে শিল্পায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআইডিও। সংস্থার উপপরিচালক ইয়োশিতেরু উরামোতো আইইএ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বলেন, জ্বালানি নিশ্চিত করা না গেলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎ কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রা আমূল বদলে দিতে পারে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে উরামোতো জানান, তিনি সম্প্রতি কেনিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি গ্রামে গিয়ে তিনি দেখেন, গ্রামটিতে বিদ্যুৎ দেওয়ার পর মানুষ পাম্পের সাহায্যে তোলা বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে। ইউকিউবেটর বসিয়ে মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর মাধ্যমে তারা নিজেদের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে।
উরামোতো বলেন, ‘সেখানে এখন রাতে বাজার বসে, রাস্তায় বাতি জ্বলে, নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে এবং বাড়িতেও তারা অনেক কাজ করতে পারছে।
বিদ্যুতের মূল্য বুঝি এত দিনে বিশ্বের অনেক ধনী দেশের নেতারাও উপলব্ধি করতে পারছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতিসংঘ ভবনে বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করতে হয়েছে।
আইইএর হিসাবমতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাড়ে ১৯ লাখ মানুষের ব্যবহূত বিদ্যুতের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সাবসাহারা অঞ্চলের ৭৯ কোটি ১০ লাখ মানুষ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া নেওয়া হলে ২০৩০ সালে পৌঁছেও ১২০ কোটি মানুষ বিদ্যুৎসুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। এর বেশির ভাগই সাবসাহারা অঞ্চল, ভারত ও এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষ।
আইইএর গবেষণা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিশ্বমন্দার কারণে অনেক মানুষ নতুন করে কাঠ, গোবর, কয়লা ও অন্যান্য সনাতন পদ্ধতিতে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছে।
একটি নোংরা রান্নাঘর শুধু কষ্টের ব্যাপার নয়, পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও তা হুমকির।
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে কাঠ বা গোবর-নুড়ির সনাতন চুলায় রান্নার পরিবর্তে প্রতিটি বাড়িতে একটি করে আধুনিক চুলা যেন থাকে, তা নিশ্চিত করাই জাতিসংঘের এবারের কর্মসূচির লক্ষ্য।
জাতিসংঘ সম্মেলনে গত মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানান, বাড়িতে শুধু একটি ভালো চুলা ও বিদ্যুতের অভাব আধুনিক অন্ধকার যুগের সৃষ্টি করেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৪০ কোটি মানুষ বিদ্যুৎসুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর ৪০ শতাংশ মানুষ রান্নার জন্য কাঠ অথবা গোবর ব্যবহার করে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পেশ করা একটি প্রতিবেদনে আইইএ বলেছে, এটি লজ্জাজনক এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দরিদ্র দেশগুলোতে শিল্পায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআইডিও। সংস্থার উপপরিচালক ইয়োশিতেরু উরামোতো আইইএ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বলেন, জ্বালানি নিশ্চিত করা না গেলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎ কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রা আমূল বদলে দিতে পারে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে উরামোতো জানান, তিনি সম্প্রতি কেনিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি গ্রামে গিয়ে তিনি দেখেন, গ্রামটিতে বিদ্যুৎ দেওয়ার পর মানুষ পাম্পের সাহায্যে তোলা বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে। ইউকিউবেটর বসিয়ে মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর মাধ্যমে তারা নিজেদের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে।
উরামোতো বলেন, ‘সেখানে এখন রাতে বাজার বসে, রাস্তায় বাতি জ্বলে, নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে এবং বাড়িতেও তারা অনেক কাজ করতে পারছে।
বিদ্যুতের মূল্য বুঝি এত দিনে বিশ্বের অনেক ধনী দেশের নেতারাও উপলব্ধি করতে পারছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতিসংঘ ভবনে বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করতে হয়েছে।
আইইএর হিসাবমতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাড়ে ১৯ লাখ মানুষের ব্যবহূত বিদ্যুতের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সাবসাহারা অঞ্চলের ৭৯ কোটি ১০ লাখ মানুষ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া নেওয়া হলে ২০৩০ সালে পৌঁছেও ১২০ কোটি মানুষ বিদ্যুৎসুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। এর বেশির ভাগই সাবসাহারা অঞ্চল, ভারত ও এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষ।
আইইএর গবেষণা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিশ্বমন্দার কারণে অনেক মানুষ নতুন করে কাঠ, গোবর, কয়লা ও অন্যান্য সনাতন পদ্ধতিতে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছে।
একটি নোংরা রান্নাঘর শুধু কষ্টের ব্যাপার নয়, পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও তা হুমকির।
No comments