লরগাতকে বরখাস্তের দাবি বাটের
কোনো এক মন্ত্রবলে ‘দুর্বল শাসক’ থেকে হঠাৎই যেন ‘প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর’ হয়ে উঠেছেন ইজাজ বাট। ইংলিশ ক্রিকেটারদের ম্যাচ পাতানোয় অভিযুক্ত করার পর এবার পিসিবি প্রধানের দাবি, বরখাস্ত করা হোক আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতকে! বাটের অভিযোগ, ম্যাচ পাতানো বিতর্কের পরিস্থিতিটা ঠিকভাবে সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন লরগাত।
পিসিবিকে না জানিয়ে আইসিসি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পর থেকেই চরম অবনতি হয়েছে দুই পক্ষের সম্পর্কের। আইসিসি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে দুবাই যাওয়ার পরপরই বাটের সঙ্গে দেখা করেছিলেন লরগাত। কিন্তু সম্পর্কের বরফ তো গলেইনি, উল্টো আরও জমাট বেঁধেছে। এরই প্রমাণ বাটের নতুন দাবি, ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া স্রেফ মিডিয়ার কিছু তথ্য থেকে এভাবে তদন্ত শুরু করা নির্বোধের মতো কাজ হয়েছে। এটি বিশ্বাস করা কঠিন, সত্যিই ভয়াবহ। সে (লরগাত) আইসিসির চাকুরে, আইসিসির উচিত পরবর্তী সভাতেই তাকে বরখাস্ত করা। তাদের উচিত, ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষেও তদন্ত করা। দুই দলের বিপক্ষেই তদন্ত করে দেখা হোক, আসলে দোষী কোন দল।’
বাটের দাবির ভিত্তিও আছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, তদন্ত শুরুর আগে লরগাতের উচিত ছিল দুই দেশের বোর্ডকেই জানানো। কিন্তু পিসিবি পুরো ব্যাপারটা জানতে পেরেছে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর। লরগাতও তাই বিপদে পড়তে পারেন। ইসিবির দাবি অনুযায়ী ‘ক্ষমা’ চাইবেন না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পিসিবি প্রধান। বাটের দাবি, যে অভিযোগ তিনি করেনইনি, সেই অভিযোগের জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না! ওভাল ওয়ানডে নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ ওঠার পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাল্টা অভিযোগ করে বাট বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাই টাকা খেয়ে ম্যাচ হেরেছে। যতটা নাটকীয়ভাবে অভিযোগ করেছিলেন, তার চেয়েও চমকপ্রদভাবে পরদিনই অস্বীকার করেছিলেন অভিযোগ করার কথা।
বিতর্কের এই ডামাডোলে একটা সুখবরও আছে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য। বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডে তাদের সফরটা হচ্ছেই। সাম্প্রতিক বিতর্কের পর সিরিজটাকে ঘিরে শঙ্কা জেগেছিল। ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী জাস্টিন ভনের নানা রকম মন্তব্যে মনে হয়েছিল, সিরিজটা খেলতে খুব একটা উৎসাহী নয় তারা। তবে সেই ভনই কাল জানালেন, ‘আইসিসির এফটিপি যেভাবে করা হয়েছে, সেটি পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এমনকি প্রতিপক্ষ পাল্টানোরও কোনো উপায় নেই।’ তবে সিরিজটা দর্শকদের কতটা টানবে, এটি নিয়ে ঠিকই শঙ্কিত ভন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এফটিপির কোনো সিরিজ কোনো দল খেলতে না চাইলে বিপুল অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই হয়তো সিরিজ বাতিলের পথে যায়নি নিউজিল্যান্ড।
পিসিবিকে না জানিয়ে আইসিসি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পর থেকেই চরম অবনতি হয়েছে দুই পক্ষের সম্পর্কের। আইসিসি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে দুবাই যাওয়ার পরপরই বাটের সঙ্গে দেখা করেছিলেন লরগাত। কিন্তু সম্পর্কের বরফ তো গলেইনি, উল্টো আরও জমাট বেঁধেছে। এরই প্রমাণ বাটের নতুন দাবি, ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া স্রেফ মিডিয়ার কিছু তথ্য থেকে এভাবে তদন্ত শুরু করা নির্বোধের মতো কাজ হয়েছে। এটি বিশ্বাস করা কঠিন, সত্যিই ভয়াবহ। সে (লরগাত) আইসিসির চাকুরে, আইসিসির উচিত পরবর্তী সভাতেই তাকে বরখাস্ত করা। তাদের উচিত, ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষেও তদন্ত করা। দুই দলের বিপক্ষেই তদন্ত করে দেখা হোক, আসলে দোষী কোন দল।’
বাটের দাবির ভিত্তিও আছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, তদন্ত শুরুর আগে লরগাতের উচিত ছিল দুই দেশের বোর্ডকেই জানানো। কিন্তু পিসিবি পুরো ব্যাপারটা জানতে পেরেছে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর। লরগাতও তাই বিপদে পড়তে পারেন। ইসিবির দাবি অনুযায়ী ‘ক্ষমা’ চাইবেন না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পিসিবি প্রধান। বাটের দাবি, যে অভিযোগ তিনি করেনইনি, সেই অভিযোগের জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না! ওভাল ওয়ানডে নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ ওঠার পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাল্টা অভিযোগ করে বাট বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাই টাকা খেয়ে ম্যাচ হেরেছে। যতটা নাটকীয়ভাবে অভিযোগ করেছিলেন, তার চেয়েও চমকপ্রদভাবে পরদিনই অস্বীকার করেছিলেন অভিযোগ করার কথা।
বিতর্কের এই ডামাডোলে একটা সুখবরও আছে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য। বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডে তাদের সফরটা হচ্ছেই। সাম্প্রতিক বিতর্কের পর সিরিজটাকে ঘিরে শঙ্কা জেগেছিল। ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী জাস্টিন ভনের নানা রকম মন্তব্যে মনে হয়েছিল, সিরিজটা খেলতে খুব একটা উৎসাহী নয় তারা। তবে সেই ভনই কাল জানালেন, ‘আইসিসির এফটিপি যেভাবে করা হয়েছে, সেটি পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এমনকি প্রতিপক্ষ পাল্টানোরও কোনো উপায় নেই।’ তবে সিরিজটা দর্শকদের কতটা টানবে, এটি নিয়ে ঠিকই শঙ্কিত ভন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এফটিপির কোনো সিরিজ কোনো দল খেলতে না চাইলে বিপুল অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই হয়তো সিরিজ বাতিলের পথে যায়নি নিউজিল্যান্ড।
No comments