গেমস নিয়ে উদ্বেগ থাকছেই
দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে যথাসময়ে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস হওয়া নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। গেমস-পল্লি অ্যাথলেটদের জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় বাইরের পর্যবেক্ষকদের অসন্তোষের মুখে নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক তারকা অ্যাথলেট ৩-১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
গেমস-পল্লিকে যথাসময়ে অ্যাথলেটদের জন্য প্রস্তুত করে না তুলতে পারায় কয়েক দিন ধরেই বিদেশি পত্রপত্রিকায় সমালোচনা হচ্ছে আয়োজকদের। এবার সমালোচনার তীর ছুটছে খোদ ভারত থেকেই। গত মঙ্গলবার গেমসের প্রধান ভেন্যু জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের বাইরে একটি নির্মাণাধীন ফুটব্রিজ ভেঙে পড়ার পর কাল ধসে পড়েছে গেমসের ভারোত্তোলন ভেন্যুর অস্থায়ী ছাদের একাংশ। আর এটিকে ভারতীয় পত্রপত্রিকায় দেখা হচ্ছে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে। গেমসের ভেন্যুগুলোকে সময়মতো প্রস্তুত করার জন্য আয়োজকেরা যে প্রবল চাপের মুখে, এসব দুর্ঘটনা তারই ইঙ্গিত।
গেমস-পল্লিতে এখনো যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট-সুরকির মাঝে জায়গায় জায়গায় জমে আছে পানি, যা মশার উপদ্রব বেড়েছে। দিল্লিতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে বলে খবর। সব মিলিয়ে সরেজমিনে গেমস-পল্লি দেখতে আসা পর্যবেক্ষকেরা বলে দিয়েছেন গেমস-পল্লি পরিষ্কার করা না হলে প্রতিযোগিতা হওয়া সম্ভব নয়। গেমসের প্রস্তুতি নিয়ে নিউজিল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কানাডাও পরশু ইঙ্গিত দিয়েছে, সমস্যার সমাধান না হলে তারা গেমস থেকে দল প্রত্যাহারও করে নিতে পারে।
কোনো দেশ টুর্নামেন্ট থেকে এখনো দল প্রত্যাহারের ঘোষণা না দিলেও বিচ্ছিন্নভাবে অ্যাথলেটরা নাম প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছেন। চাকতি নিক্ষেপে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট ড্যানি স্যামুয়েলস জানিয়েছেন, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে তিনি গেমসে অংশ নিচ্ছেন না। ইংল্যান্ডের ট্রিপল জাম্প চ্যাম্পিয়ন ফিলিপ ইডোউ দিল্লিতে যাচ্ছেন না। ইংল্যান্ডের আলোচিত আরও দুই অ্যাথলেট বেইজিং অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটারে সোনাজয়ী ক্রিস্টিন অরুগু এবং ১৫০০ মিটারের দৌড়বিদ লিসা দোবরিস্কিও নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতে যাচ্ছেন না। নিউজিল্যান্ড সরকার ঘোষণা করেছে, না চাইলে কোনো অ্যাথলেটকে দিল্লি যেতে চাপ দেবে না তারা। এর আগেও অবশ্য বিভিন্ন কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডধারী উসাইন বোল্ট, কমনওয়েলথ গেমসের দ্রুততম মানব আসাফা পাওয়েল, মহিলা ম্যারাথনার পাওলা র্যাডক্লিফের মতো তারকা।
অনেক অ্যাথলেট যখন দ্বিধায়, তখন গেমসের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে রীতিমতো এক ‘বোমা’ই ফাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এক টেলিভিশন চ্যানেল। ভিডিও ফুটেজে চ্যানেলটি দেখিয়েছে কীভাবে তাদের এক রিপোর্টার গেমসের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে বোমা তৈরির উপকরণ নিয়ে গেমস-পল্লিতে ঢুকে আবার নির্বিঘ্নে বের হয়ে আসছেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান টিভিতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। গেমস চলাকালীন অ্যাথলেটদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথাও বলছে তারা। কিন্তু নিরাপত্তার আগেও যে প্রশ্নটি চলে আসছে তা হলো গেমস যথাসময়ে হবে তো? এএফপি, ওয়েবসাইট।
গেমস-পল্লিকে যথাসময়ে অ্যাথলেটদের জন্য প্রস্তুত করে না তুলতে পারায় কয়েক দিন ধরেই বিদেশি পত্রপত্রিকায় সমালোচনা হচ্ছে আয়োজকদের। এবার সমালোচনার তীর ছুটছে খোদ ভারত থেকেই। গত মঙ্গলবার গেমসের প্রধান ভেন্যু জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের বাইরে একটি নির্মাণাধীন ফুটব্রিজ ভেঙে পড়ার পর কাল ধসে পড়েছে গেমসের ভারোত্তোলন ভেন্যুর অস্থায়ী ছাদের একাংশ। আর এটিকে ভারতীয় পত্রপত্রিকায় দেখা হচ্ছে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে। গেমসের ভেন্যুগুলোকে সময়মতো প্রস্তুত করার জন্য আয়োজকেরা যে প্রবল চাপের মুখে, এসব দুর্ঘটনা তারই ইঙ্গিত।
গেমস-পল্লিতে এখনো যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট-সুরকির মাঝে জায়গায় জায়গায় জমে আছে পানি, যা মশার উপদ্রব বেড়েছে। দিল্লিতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে বলে খবর। সব মিলিয়ে সরেজমিনে গেমস-পল্লি দেখতে আসা পর্যবেক্ষকেরা বলে দিয়েছেন গেমস-পল্লি পরিষ্কার করা না হলে প্রতিযোগিতা হওয়া সম্ভব নয়। গেমসের প্রস্তুতি নিয়ে নিউজিল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কানাডাও পরশু ইঙ্গিত দিয়েছে, সমস্যার সমাধান না হলে তারা গেমস থেকে দল প্রত্যাহারও করে নিতে পারে।
কোনো দেশ টুর্নামেন্ট থেকে এখনো দল প্রত্যাহারের ঘোষণা না দিলেও বিচ্ছিন্নভাবে অ্যাথলেটরা নাম প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছেন। চাকতি নিক্ষেপে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট ড্যানি স্যামুয়েলস জানিয়েছেন, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে তিনি গেমসে অংশ নিচ্ছেন না। ইংল্যান্ডের ট্রিপল জাম্প চ্যাম্পিয়ন ফিলিপ ইডোউ দিল্লিতে যাচ্ছেন না। ইংল্যান্ডের আলোচিত আরও দুই অ্যাথলেট বেইজিং অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটারে সোনাজয়ী ক্রিস্টিন অরুগু এবং ১৫০০ মিটারের দৌড়বিদ লিসা দোবরিস্কিও নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতে যাচ্ছেন না। নিউজিল্যান্ড সরকার ঘোষণা করেছে, না চাইলে কোনো অ্যাথলেটকে দিল্লি যেতে চাপ দেবে না তারা। এর আগেও অবশ্য বিভিন্ন কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডধারী উসাইন বোল্ট, কমনওয়েলথ গেমসের দ্রুততম মানব আসাফা পাওয়েল, মহিলা ম্যারাথনার পাওলা র্যাডক্লিফের মতো তারকা।
অনেক অ্যাথলেট যখন দ্বিধায়, তখন গেমসের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে রীতিমতো এক ‘বোমা’ই ফাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এক টেলিভিশন চ্যানেল। ভিডিও ফুটেজে চ্যানেলটি দেখিয়েছে কীভাবে তাদের এক রিপোর্টার গেমসের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে বোমা তৈরির উপকরণ নিয়ে গেমস-পল্লিতে ঢুকে আবার নির্বিঘ্নে বের হয়ে আসছেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান টিভিতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। গেমস চলাকালীন অ্যাথলেটদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথাও বলছে তারা। কিন্তু নিরাপত্তার আগেও যে প্রশ্নটি চলে আসছে তা হলো গেমস যথাসময়ে হবে তো? এএফপি, ওয়েবসাইট।
No comments