৬৮ জনের বহরের খরচ ৯০ লাখ
৭ খেলায় খেলোয়াড় ৩৭ জন। কোচ-ম্যানেজার এবং দলের সঙ্গে নিজ খরচে যাওয়া আরও ১৬ জন। এই ৫৩ জনের সঙ্গে কাটছাঁট করে আরও ১৫ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসের দলে। ১০ জনকে বাদ দিয়ে তালিকা সংশোধন করা হয়েছে কাল। ৬৮ জনের জিওর (সরকারি আদেশ) জন্য ফাইল পাঠানো হচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।
শুরুতে দল ছিল ৭৮ সদস্যের। কোচ-খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-ম্যানেজার আগেও ৫৩ জন ছিলেন। বাকি ২৫ জনই অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি এবং আরও নানা শ্রেণীতে। যাতে ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও তাঁর একান্ত সচিব শিবনাথ রায়ের স্ত্রী। সমালোচনার মুখে সরকারি দল থেকে এই দুজন সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। জিওর জন্য কাল তৈরি করা চূড়ান্ত তালিকায় তাঁদের নাম নেই। তাঁরা গেলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেতে পারেন।
বাদ পড়েছেন দলের মহিলা ম্যানেজার হিসেবে এর আগে মনোনীত বিওএর উপমহাসচিব ফেরদৌস আরা খানম এবং এসএ গেমসে সাইক্লিং কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সাইক্লিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান। আগের তালিকায় সরকারি দলের অংশ হিসেবে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও বিওএর সিইও কর্নেল (অব.) ওয়ালিউল্লাহর। তাঁরা এখন বেসরকারিভাবে যাবেন।
খোলোয়াড়-কোচ-ম্যানেজারের বাইরে আরও যে ১৫ জনকে সরকারি দলে রাখা হয়েছে, তাঁরা হলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, তাঁর একান্ত সচিব, ক্রীড়াবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল, এই কমিটির সদস্য সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ ও শামসুল হক চৌধুরী। বিওএর সভাপতি জেনারেল আব্দুল মুবীন, তাঁর একান্ত সচিব মাইনুল্লাহ চৌধুরী আছেন দলে। বিওএ সভাপতি গেমসে আমন্ত্রণ পান সব সময়ই।
দলের সঙ্গে যাচ্ছেন শেফ দ্য মিশন নুরুল ফজল বুলবুল, জেনারেল ম্যানেজার জোবায়দুর রহমান (রানা), ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ক্রীড়া পরিচালক হাইয়ুল কাইয়ুম, বিওএর দুজন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ও একজন সদস্য।
তালিকাটি দেখে হতাশা ব্যক্ত করলেন দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ‘যাঁরা এই সফরে গেলে ক্রীড়াঙ্গনের কোনো লাভ হবে না, তাঁদের যাওয়া অনৈতিক। এটা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। এটা সরকারি টাকার অপচয় এবং এতে সত্যিকারের ক্রীড়া সংগঠকদের নিরুৎসাহিত করা হলো। কারণ সরকারি টাকায় গেমসে যাওয়ার অধিকার ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদেরই আছে।’
সফরের খরচ বাবদ সরকার বিওএকে ৮৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা দিচ্ছে। এর মধ্যে যাওয়া-আসার জন্য বরাদ্দ ৩৩ লাখ টাকা। বাকি টাকার একটা অংশ খরচ হবে খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের পোশাক, হাতখরচসহ আরও কিছু খাতে। বিদেশে দল যাওয়ার সময় বরাবরই যেমন বিশাল বহর সঙ্গী হয়, এবারও ব্যতিক্রম না হওয়ায় সরকারের প্রায় ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।
বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে ৭টি খেলায়—অ্যাথলেটিকস (৪ জন অ্যাথলেট, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), আর্চারি (৬ জন আর্চার, কোচ-ম্যানেজারসহ ৪ জন), বক্সিং (৩ জন বক্সার, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), ভারোত্তোলন (৬ জন ভারোত্তোলক, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), স্কোয়াশ (মোট ৩ জন), সাঁতার (৪ জন সাঁতারু, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), শ্যুটিং (১২ জন শ্যুটার, ২ জন কোচ-ম্যানেজার)।
৩-১৩ অক্টোবর দিল্লিতে হচ্ছে ১৯তম কমনওয়েলথ গেমস। আর এই গেমসে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শ্যুটিং ও আর্চারিতে পদকের আশা করা হচ্ছে। মেয়েদের ভারোত্তোলনেও ভালো কিছুর প্রত্যাশা আছে। বিওএর সহসভাপতি ও কোচিং কমিটির প্রধান মিজানুর রহমান (মানু) বলছেন, ‘শ্যুটিং-আর্চারি-ভারোত্তোলনে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করলে সফরটা সফল হবে। নইলে বদনাম হয়ে যাবে!’
শুরুতে দল ছিল ৭৮ সদস্যের। কোচ-খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-ম্যানেজার আগেও ৫৩ জন ছিলেন। বাকি ২৫ জনই অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি এবং আরও নানা শ্রেণীতে। যাতে ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও তাঁর একান্ত সচিব শিবনাথ রায়ের স্ত্রী। সমালোচনার মুখে সরকারি দল থেকে এই দুজন সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। জিওর জন্য কাল তৈরি করা চূড়ান্ত তালিকায় তাঁদের নাম নেই। তাঁরা গেলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেতে পারেন।
বাদ পড়েছেন দলের মহিলা ম্যানেজার হিসেবে এর আগে মনোনীত বিওএর উপমহাসচিব ফেরদৌস আরা খানম এবং এসএ গেমসে সাইক্লিং কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সাইক্লিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান। আগের তালিকায় সরকারি দলের অংশ হিসেবে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও বিওএর সিইও কর্নেল (অব.) ওয়ালিউল্লাহর। তাঁরা এখন বেসরকারিভাবে যাবেন।
খোলোয়াড়-কোচ-ম্যানেজারের বাইরে আরও যে ১৫ জনকে সরকারি দলে রাখা হয়েছে, তাঁরা হলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, তাঁর একান্ত সচিব, ক্রীড়াবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল, এই কমিটির সদস্য সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ ও শামসুল হক চৌধুরী। বিওএর সভাপতি জেনারেল আব্দুল মুবীন, তাঁর একান্ত সচিব মাইনুল্লাহ চৌধুরী আছেন দলে। বিওএ সভাপতি গেমসে আমন্ত্রণ পান সব সময়ই।
দলের সঙ্গে যাচ্ছেন শেফ দ্য মিশন নুরুল ফজল বুলবুল, জেনারেল ম্যানেজার জোবায়দুর রহমান (রানা), ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ক্রীড়া পরিচালক হাইয়ুল কাইয়ুম, বিওএর দুজন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ও একজন সদস্য।
তালিকাটি দেখে হতাশা ব্যক্ত করলেন দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ‘যাঁরা এই সফরে গেলে ক্রীড়াঙ্গনের কোনো লাভ হবে না, তাঁদের যাওয়া অনৈতিক। এটা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। এটা সরকারি টাকার অপচয় এবং এতে সত্যিকারের ক্রীড়া সংগঠকদের নিরুৎসাহিত করা হলো। কারণ সরকারি টাকায় গেমসে যাওয়ার অধিকার ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদেরই আছে।’
সফরের খরচ বাবদ সরকার বিওএকে ৮৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা দিচ্ছে। এর মধ্যে যাওয়া-আসার জন্য বরাদ্দ ৩৩ লাখ টাকা। বাকি টাকার একটা অংশ খরচ হবে খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের পোশাক, হাতখরচসহ আরও কিছু খাতে। বিদেশে দল যাওয়ার সময় বরাবরই যেমন বিশাল বহর সঙ্গী হয়, এবারও ব্যতিক্রম না হওয়ায় সরকারের প্রায় ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।
বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে ৭টি খেলায়—অ্যাথলেটিকস (৪ জন অ্যাথলেট, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), আর্চারি (৬ জন আর্চার, কোচ-ম্যানেজারসহ ৪ জন), বক্সিং (৩ জন বক্সার, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), ভারোত্তোলন (৬ জন ভারোত্তোলক, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), স্কোয়াশ (মোট ৩ জন), সাঁতার (৪ জন সাঁতারু, ২ জন কোচ-ম্যানেজার), শ্যুটিং (১২ জন শ্যুটার, ২ জন কোচ-ম্যানেজার)।
৩-১৩ অক্টোবর দিল্লিতে হচ্ছে ১৯তম কমনওয়েলথ গেমস। আর এই গেমসে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শ্যুটিং ও আর্চারিতে পদকের আশা করা হচ্ছে। মেয়েদের ভারোত্তোলনেও ভালো কিছুর প্রত্যাশা আছে। বিওএর সহসভাপতি ও কোচিং কমিটির প্রধান মিজানুর রহমান (মানু) বলছেন, ‘শ্যুটিং-আর্চারি-ভারোত্তোলনে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করলে সফরটা সফল হবে। নইলে বদনাম হয়ে যাবে!’
No comments