ছোটবেলা থেকেই বন্দুক নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল: কাস্ত্রো
কাস্ত্রো |
কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন, কর্তৃপক্ষের অবিচারের বিরুদ্ধে শৈশব থেকে তাঁর লড়াই একসময় তাঁকে বিদ্রোহী ও বিপ্লবীতে পরিণত করে। আত্মজীবনী দ্য স্ট্রাটেজিক ভিক্টরিতে কাস্ত্রো এ কথা লিখেছেন। গত বৃহস্পতিবার কিউবাডিবেটডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটে বইটির কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে।
কাস্ত্রো লিখেছেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার জন্ম হয়নি। তবে আমার সামনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা থেকে অল্প বয়সেই আমি বিশ্বের বাস্তবতা বুঝে ফেলি।’
ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর গত চার বছরে কাস্ত্রোর শরীরে বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। প্রথম দিকে তিনি অনেক অসুস্থ থাকলেও এখন বেশ সুস্থ আছেন। নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আত্মজীবনী দ্য স্ট্রাটেজিক ভিক্টরি-এর প্রথম অংশ লেখা শেষ হয়েছে। তবে এখনো প্রকাশের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এখন তিনি ব্যস্ত দ্বিতীয় অংশ লেখায়। প্রথম অংশে কাস্ত্রো তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা এবং বিপ্লবের প্রথম দিনগুলো তুলে ধরেছেন।
কাস্ত্রো তাঁর প্রথম বিদ্রোহের ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, তাঁর বয়স তখন ১১ বছর। ক্লাসে এক শিক্ষক তাঁকে মারধর করেছিলেন। এর প্রতিবাদে তিনি ওই শিক্ষকের মুখের ওপর রুটি ছুড়ে মারেন। কাস্ত্রো লিখছেন, ‘আমি তাঁর মুখের ওপর রুটি ছুঁড়ে মারি... এরপর সব শিক্ষার্থীর সামনেই তাঁকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারি...।’
কাস্ত্রো জানিয়েছেন, তিনি লেখালেখিতে ভালো ছিলেন। অঙ্কেও ছিলেন ভালো। এ ছাড়া ভালো অ্যাথলেট ছিলেন এবং ছোটবেলা থেকেই বন্দুক নিয়ে তাঁর খুব আগ্রহ ছিল।
তবে প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে কাস্ত্রো তাঁর আত্মজীবনীতে বিস্তারিত কিছুই লেখেননি। শুধু একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বখাটে তাঁকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার পর সৈকতে বান্ধবীর সামনে বসে তিনি কেঁদেছিলেন।
কাস্ত্রো জানিয়েছেন, সেই সময়ে অল্প যে দু-একজন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি ছিলেন তাঁদেরই একজন। তিনি লিখেছেন, ‘যেসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি গেরিলা যোদ্ধার পথ বেছে নিয়েছিলাম, তা কখনো ভোলবার নয়।’
কাস্ত্রো বলেন, ‘বিপ্লবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হলো—১৯৫০-এর দশকে সিয়েরা মাইস্ত্রা এলাকায় আমার নেতৃত্বে মাত্র ৩০০ গেরিলার একটি দলের কাছে ১০ হাজার সেনার পরাজয়।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনা আমাকে আত্মজীবনীর প্রথমাংশ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
কাস্ত্রো জানিয়েছেন, তিনি এখন আত্মজীবনীর দ্বিতীয়াংশ লিখছেন। এতে চূড়ান্ত আক্রমণ ও ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি হাভানায় চূড়ান্ত বিজয়ের বর্ণনা থাকবে।
কাস্ত্রো লিখেছেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার জন্ম হয়নি। তবে আমার সামনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা থেকে অল্প বয়সেই আমি বিশ্বের বাস্তবতা বুঝে ফেলি।’
ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর গত চার বছরে কাস্ত্রোর শরীরে বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। প্রথম দিকে তিনি অনেক অসুস্থ থাকলেও এখন বেশ সুস্থ আছেন। নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আত্মজীবনী দ্য স্ট্রাটেজিক ভিক্টরি-এর প্রথম অংশ লেখা শেষ হয়েছে। তবে এখনো প্রকাশের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এখন তিনি ব্যস্ত দ্বিতীয় অংশ লেখায়। প্রথম অংশে কাস্ত্রো তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা এবং বিপ্লবের প্রথম দিনগুলো তুলে ধরেছেন।
কাস্ত্রো তাঁর প্রথম বিদ্রোহের ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, তাঁর বয়স তখন ১১ বছর। ক্লাসে এক শিক্ষক তাঁকে মারধর করেছিলেন। এর প্রতিবাদে তিনি ওই শিক্ষকের মুখের ওপর রুটি ছুড়ে মারেন। কাস্ত্রো লিখছেন, ‘আমি তাঁর মুখের ওপর রুটি ছুঁড়ে মারি... এরপর সব শিক্ষার্থীর সামনেই তাঁকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারি...।’
কাস্ত্রো জানিয়েছেন, তিনি লেখালেখিতে ভালো ছিলেন। অঙ্কেও ছিলেন ভালো। এ ছাড়া ভালো অ্যাথলেট ছিলেন এবং ছোটবেলা থেকেই বন্দুক নিয়ে তাঁর খুব আগ্রহ ছিল।
তবে প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে কাস্ত্রো তাঁর আত্মজীবনীতে বিস্তারিত কিছুই লেখেননি। শুধু একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বখাটে তাঁকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার পর সৈকতে বান্ধবীর সামনে বসে তিনি কেঁদেছিলেন।
কাস্ত্রো জানিয়েছেন, সেই সময়ে অল্প যে দু-একজন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি ছিলেন তাঁদেরই একজন। তিনি লিখেছেন, ‘যেসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি গেরিলা যোদ্ধার পথ বেছে নিয়েছিলাম, তা কখনো ভোলবার নয়।’
কাস্ত্রো বলেন, ‘বিপ্লবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হলো—১৯৫০-এর দশকে সিয়েরা মাইস্ত্রা এলাকায় আমার নেতৃত্বে মাত্র ৩০০ গেরিলার একটি দলের কাছে ১০ হাজার সেনার পরাজয়।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনা আমাকে আত্মজীবনীর প্রথমাংশ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
কাস্ত্রো জানিয়েছেন, তিনি এখন আত্মজীবনীর দ্বিতীয়াংশ লিখছেন। এতে চূড়ান্ত আক্রমণ ও ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি হাভানায় চূড়ান্ত বিজয়ের বর্ণনা থাকবে।
No comments